ঢাকা ১২:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

তুরস্কে নির্বাচনের আগে মেয়েদের হিজাবের অধিকার দিতে চায়

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৩৬:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২২
  • ১৩৩ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ নির্বাচনের আগে মেয়েদের হেডস্কার্ফ বা হিজাব পরার সাংবিধানিক অধিকার দিতে চায় তুরস্কের ক্ষমতাসীন সরকার৷ এজন্য আগামী সপ্তাহে সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব পার্লামেন্টে পেশ করতে যাচ্ছে তারা ৷

নির্বাচনের মাত্র ছয় মাস আগে হেডস্কার্ফ প্রশ্নে সংবিধান সংশোধন করতে যাচ্ছে প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ানের দল একেপি পার্টি৷ প্রায় একশো বছর আগে আধুনিক তুরস্কের প্রতিষ্ঠাতা মোস্তাফা কামাল আতাতুর্ক হেডস্কার্ফ বিতর্ক সমাধানের চেষ্টা করেন৷ তবে এ নিয়ে তুরস্কের রাজনীতিতে বরাবরই মেরুকরণ ঘটেছে৷

প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্ট হিসেবে ২০ বছর ক্ষমতায় থাকা এর্দোয়ানকে দেশটির রক্ষণশীলরা তাদের নেতা বলে মনে করেন৷ কিন্তু এবার আর এর্দোয়ান নন আতাতুর্কের ধর্মনিরপেক্ষ সিএইচপি পার্টি সংবিধান সংশোধনের এই দাবি সামনে নিয়ে আসে৷ এর্দোয়ানের সমর্থকদের নিজেদের দিকে টানার চেষ্টা করছেন দলটির নেতারা৷

সিএইচপি পার্টির নেতা কেমাল কেলেটশদারোহল মনে করেন অতীতে হেডস্কার্ফের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে তারা ভুল করেছেন৷ এজন্য তিনি ও তার দল এখন স্কুলে ও কর্মক্ষেত্রে নারীদের মাথা ঢেকে রাখার সাংবিধানিক অধিকার দেয়ার পক্ষে৷

তবে এই দাবির প্রেক্ষিতে এর্দোয়ান শুরুতে বলেছিলেন, ‘স্কুলে বা জনপরিসরে মাথা ঢাকা বা না ঢেকে রাখা নারীদের মধ্যে কি কোনো বৈষম্য করা হয়? না৷’ এর্দোয়ান দাবি করেন, ‘এটা আমরাই অর্জন করেছি৷’

উল্লেখ্য, ১৯২৩ সালে আধুনিক তুরস্ক রিপাবলিকের যাত্রা শুরুর পর ধীরে ধীরে স্কুল ও কর্মক্ষেত্রে মাথা ঢেকে রাখা পোশাকের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়৷

২০০৮ সালে বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও চাকরিক্ষেত্রে এই বিধান তুলে দেয় একেপি৷ সেসময় তুরস্কের নারীরা এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানানবলে উল্লেখ করেন দেশটির নারী অধিকার নিয়ে কাজ করা ইতিহাসবিদ বেরিন সনমেৎজ৷ তিনি বলেন, ‘‘রাষ্ট্র হেডস্কার্ফের উপর নিষেধাজ্ঞা অথবা পরতে বাধ্য করলে সেটি নারী অধিকারকে ক্ষুণ্ণ করে৷”

সবশেষ ২০১২ সালের এক জরিপের তথ্য তুলে ধরে তিনি জানান তুরস্কের ৬৫ শতাংশ নারীই হেডস্কার্ফ পরে৷

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

তিতুমীর কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে এক সপ্তাহে কমিটি গঠন

তুরস্কে নির্বাচনের আগে মেয়েদের হিজাবের অধিকার দিতে চায়

আপডেট টাইম : ১১:৩৬:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ নির্বাচনের আগে মেয়েদের হেডস্কার্ফ বা হিজাব পরার সাংবিধানিক অধিকার দিতে চায় তুরস্কের ক্ষমতাসীন সরকার৷ এজন্য আগামী সপ্তাহে সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব পার্লামেন্টে পেশ করতে যাচ্ছে তারা ৷

নির্বাচনের মাত্র ছয় মাস আগে হেডস্কার্ফ প্রশ্নে সংবিধান সংশোধন করতে যাচ্ছে প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ানের দল একেপি পার্টি৷ প্রায় একশো বছর আগে আধুনিক তুরস্কের প্রতিষ্ঠাতা মোস্তাফা কামাল আতাতুর্ক হেডস্কার্ফ বিতর্ক সমাধানের চেষ্টা করেন৷ তবে এ নিয়ে তুরস্কের রাজনীতিতে বরাবরই মেরুকরণ ঘটেছে৷

প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্ট হিসেবে ২০ বছর ক্ষমতায় থাকা এর্দোয়ানকে দেশটির রক্ষণশীলরা তাদের নেতা বলে মনে করেন৷ কিন্তু এবার আর এর্দোয়ান নন আতাতুর্কের ধর্মনিরপেক্ষ সিএইচপি পার্টি সংবিধান সংশোধনের এই দাবি সামনে নিয়ে আসে৷ এর্দোয়ানের সমর্থকদের নিজেদের দিকে টানার চেষ্টা করছেন দলটির নেতারা৷

সিএইচপি পার্টির নেতা কেমাল কেলেটশদারোহল মনে করেন অতীতে হেডস্কার্ফের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে তারা ভুল করেছেন৷ এজন্য তিনি ও তার দল এখন স্কুলে ও কর্মক্ষেত্রে নারীদের মাথা ঢেকে রাখার সাংবিধানিক অধিকার দেয়ার পক্ষে৷

তবে এই দাবির প্রেক্ষিতে এর্দোয়ান শুরুতে বলেছিলেন, ‘স্কুলে বা জনপরিসরে মাথা ঢাকা বা না ঢেকে রাখা নারীদের মধ্যে কি কোনো বৈষম্য করা হয়? না৷’ এর্দোয়ান দাবি করেন, ‘এটা আমরাই অর্জন করেছি৷’

উল্লেখ্য, ১৯২৩ সালে আধুনিক তুরস্ক রিপাবলিকের যাত্রা শুরুর পর ধীরে ধীরে স্কুল ও কর্মক্ষেত্রে মাথা ঢেকে রাখা পোশাকের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়৷

২০০৮ সালে বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও চাকরিক্ষেত্রে এই বিধান তুলে দেয় একেপি৷ সেসময় তুরস্কের নারীরা এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানানবলে উল্লেখ করেন দেশটির নারী অধিকার নিয়ে কাজ করা ইতিহাসবিদ বেরিন সনমেৎজ৷ তিনি বলেন, ‘‘রাষ্ট্র হেডস্কার্ফের উপর নিষেধাজ্ঞা অথবা পরতে বাধ্য করলে সেটি নারী অধিকারকে ক্ষুণ্ণ করে৷”

সবশেষ ২০১২ সালের এক জরিপের তথ্য তুলে ধরে তিনি জানান তুরস্কের ৬৫ শতাংশ নারীই হেডস্কার্ফ পরে৷