হাঁটুর বয়সী নাবালক ছাত্রের সঙ্গে যৌন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ায় এখন পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে টেক্সাসের একটি স্কুলের ইংরেজির শিক্ষিকাকে। যৌন নিগ্রহের অভিযোগে ইতিমধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে টেক্সাস পুলিশ। অভিযোগ প্রমাণ হলে, ২৫ বছরের জেল হতে পারে ওই শিক্ষিকার।
হ্যারিস কাউন্টির স্টোভাল মিডল স্কুলের এই শিক্ষিকা অ্যালেক্সজান্দ্রিয়া ভেরা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ার পরই ছাত্রের সঙ্গে যৌন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। স্কুলের প্রিন্সিপালের কাছে এই সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেননি ২৪ বছরের এই শিক্ষিকা। এর পরই পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তারের তোড়জোড় করায় গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি গাঢাকা দিতে বাধ্য হয়েছেন।
আদালতের নথি থেকে জানা যায়, তিনি যে স্কুলের শিক্ষিকা, সেখানকারই বছর ১৩র এক ছাত্রের সঙ্গে তাঁর শারীরিক সম্পর্ক তৈরি হয়। সেই সম্পর্কের জেরে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন শিক্ষিকা। পুলিশের প্রাথমিক জেরায় অ্যালেক্সজান্দ্রিয়া জানিয়েছিলেন, প্রথম দিকে তিনি ওই ছাত্রটিকে ঠেকানোর চেষ্টা করেছিলেন। যদিও, তদন্তের পর সেই দাবি সত্যি নয় বলেই মনে করছে পুলিশ।
জিগ্যাসাবাদে ওই শিক্ষিকা পুলিশকে জানান, ২০১৫র সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৬র জানুয়ারি পর্যন্ত তাঁদের মধ্যে যৌন সম্পর্ক ছিল। ওই সময়কালে তাঁরা প্রায় প্রতিদিনই শারীরিকভাবে মিলিত হয়েছেন।
অ্যালেক্সজান্দ্রিয়া ভেরার এই স্বীকারোক্তির পরই ছাত্রটি যেহেতু নাবালক, তাই এই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে শিশু যৌন নিগ্রহের অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
স্কুলের প্রিন্সিপাল এলসা রাইট পুলিশকে জানিয়েছেন, ভেরা তাঁর কাছেও এই সম্পর্কের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। এ-ও জানিয়েছেন, ছাত্রটির পরিবার এই সম্পর্ক মেনে নিয়েছে। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবরে তারা উৎফুল্ল। ভেরাকে তাঁরা বাড়িতে আমন্ত্রণও জানিয়েছেন। তা হলেও কিন্তু শাস্তির হাত থেকে নিস্তার পাবেন না এই শিক্ষিকা। কারণ, টেক্সাসের বর্তমান আইন অনুযায়ী, এ ধরনের অপরাধে ২৫ বছর পর্যন্ত জেল হওয়ার বিধান রয়েছে।