হাওর বার্তা ডেস্কঃ নেদারল্যান্ডসকে টাইব্রেকারে হারিয়ে কাতার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনা। এর আগে ২০১৪ সালের বিশ্বকাপেও ডাচদের টাইব্রেকারে হারিয়েছিল লিওনেল মেসির দল।
টাইব্রেকারে ম্যাচ
১২০ মিনিট শেষেও সমতা, টাইব্রেকারে গড়ালো ম্যাচ।
১৫ মিনিট শেষেও দুই দলের সমতা
অতিরিক্ত সময়ের ১৫ মিনিট শেষেও ২-২ গোলে সমতায়। ম্যাচ গড়াচ্ছে ট্রাইবেকারের দিকে। এর আগে প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলকে হারায় ক্রোয়েশিয়া।
শেষ মুহূর্তে ডাচদের সমতা, ম্যাচ গড়ালো অতিরিক্ত সময়ে
যোগ করা সময়ের গোলে ২-২ গোলে সমতা। ম্যাচ গড়ালো অতিরিক্ত সময়ে।
৮৩ মিনিটের ডাচদের গোল
৮৩ মিনিটে নেদারল্যান্ডসের গোল। ২-১ গোলে এগিয়ে আর্জেন্টিনা।
এবার পেনাল্টি থেকে মেসির গোল
৭৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে মেসির গোল। ২-০ গোলে এগিয়ে আর্জেন্টিনা।
১ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে মেসির আর্জেন্টিনা
১ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে মেসির আর্জেন্টিনা। ৩৫ মিনিটে মেসির সহায়তায় গোলটি করেন ডিফেন্ডার মোলিনা। ডিফেন্সিভ খেলার চেষ্টা করছে ডাচরা। বল রাখছে নিজেদের পায়ে পায়ে। এরমধ্যেই আর্জেন্টিনা আক্রমণ করে ৫টি। যারমধ্যে ৩টিই ছিল অনটার্গেট।
৩৫ মিনিটে এগিয়ে আর্জেন্টিনা
৩৫ মিনিটে এগিয়ে আর্জেন্টিনা। মেসির সহায়তায় গোল দেন মোলিনা।
গোলের দেখা পাচ্ছে না আর্জেন্টিনা-নেদারল্যান্ডস
ম্যাচের ৩০ মিনিট পার হয়ে গেলেও আর্জেন্টিনা-নেদারল্যান্ডসের কেউ গোলের দেখা পাচ্ছে না। বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে থাকলেও আর্জেন্টিনার সঙ্গে আক্রমণে পিছিয়ে ডাচরা। আর্জেন্টিনার বিপরীতে মেসিরা শট নিয়েছেন ১টি। ৫৮ শতাংশ সময় ডাচদের পায়ে বল।
ডাচরা প্রতিশোধ নিতে পারবে?
তিন তিনবার ফাইনালে হেরে বিশ্বকাপ ট্রফি জেতা হয়নি নেদারল্যান্ডসের। এর মধ্যে একবার তাদের স্বপ্ন ভেঙেছে আর্জেন্টিনা। ১৯৭৮ সালের ফাইনালে স্বাগতিকদের কাছে ৩-১ গোলে হেরেছিল ডাচরা। ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত তাদের শেষ বিশ্বকাপ ২০১৪-তে এই আর্জেন্টাইনদের কাছে পেনাল্টি শুটআউটে হেরে সেমিফাইনালে নিতে হয় বিদায়।
ডাচদের বিশ্বকাপ যাত্রা
অপেক্ষাকৃত সহজ গ্রুপে সেনেগালকে ২-০ গোলে হারায় নেদারল্যান্ডস। ইকুয়েডরের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র আর শেষ ম্যাচে কাতারকে ২-০ তে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ ষোলোতে ওঠে তারা। রক্ষণাত্মক কৌশলে খেলায় কম সমালোচনা শুনতে হয়নি কোচ লুইস ফন গালকে। নকআউটে যুক্তরাষ্ট্রকে ৩-১ গোলে হারিয়ে সমালোচকদের মন কিছুটা হলেও গলাতে পেরেছে ডাচরা।
আর্জেন্টিনার যাত্রা হয় হারে
অন্যদিকে আর্জেন্টিনা সৌদি আরবের কাছে হেরে গ্রুপ পর্বে বিদায়ের সাইরেন শুনতে পাচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত মেক্সিকো ও পোল্যান্ডকে হারিয়ে মেসির অধরা বিশ্বকাপ ছোঁয়ার মিশন বাঁচিয়ে রাখে আলবিসেলেস্তেরা। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২-১ গোলে জিতলেও সকারুরা গোল শোধ করায় সম্ভবত শেষ কয়েক মিনিট দম বন্ধ হয়ে গিয়েছিল লিওনেল স্কালোনির দলের।
ছাড় দেবে না কেউ কাউকে
সে যাই হোক, দুই দলই একে অন্যের কাছ থেকে পাচ্ছে সমীহ। তবে আলোচনায় মেসিকে থামানোর কী কৌশল অবলম্বন করছেন ফন গাল। ম্যাচের আগের সংবাদ সম্মেলনে সেটি প্রকাশ করে বোকামি করতে চাইলেন না বিশ্বকাপ শেষে ডাচদের দায়িত্ব ছাড়তে যাওয়া কোচ, ‘বোকা নাকি, আমরা আপনাদের কাছে আমাদের ট্যাকটিকস প্রকাশ করবো? (মেসিকে) ব্লক করা এবং পাস লাইন বন্ধ করতেই তো চাইবেন। আমি মনে করি না এনিয়ে বেশি বেশি কথা বলার প্রয়োজন।’
মেসি বনাম ডাচ ডিফেন্ডার
নেদারল্যান্ডসের ডিফেন্ডাররাও মেসি চ্যালেঞ্জের সামনে দাঁড়িয়ে ভীত নয়। সাতবারের ব্যালন ডি’অর জয়ীর মুখোমুখি হওয়ার আগে কাঁপছেন না জুরিয়েন ট্রিম্বার, আরেক ডিফেন্ডার নাথান আকেকে পাশে নিয়ে তিনি বললেন, ‘আমি কি কাঁপছি (মেসির মুখোমুখি হওয়া নিয়ে)? সৌভাগ্যবশত না। তার বিরুদ্ধে খেলা দারুণ চ্যালেঞ্জ। মেসি চমৎকার ফুটবলার। কিন্তু আমরা শুধু মেসির বিপক্ষে খেলবো না। এই সমস্যার সমাধান শুধু আমরা দুজন করবো না। পুরো দল নিয়ে করতে হবে।’
আকে বললেন, ‘তাকে থামানো খুব কঠিন। বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় সম্ভবত সে কিন্তু আমাদের অন্য খেলোয়াড়দের নিয়েও ভাবতে হবে।’ ডাচদের রক্ষণের আরেক গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় ভার্জিল ফন ডাইক, ‘এটা মেসি বনাম আমার কিংবা নেদারল্যান্ডসের নয়, লড়াইটা নেদারল্যান্ডস বনাম আর্জেন্টিনার।’ মেসিকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় কি না প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘দুশ্চিন্তা নেই। কিন্তু আর্জেন্টিনা ম্যাচে কী করতে পারে সেটা নিয়ে সতর্ক। তারা অসাধারণ খেলোয়াড়দের নিয়ে দারুণ একটি দল। ম্যাচের সব বিভাগে আমাদের ভালো করতে হবে।’
মুখোমুখি লড়াই
সব মিলিয়ে দুই দলের দেখা হয়েছে ৯ বার, ৪-৩ এ এগিয়ে ডাচরা। বিশ্বকাপে তো তারা চেনা প্রতিদ্বন্দ্বী, এনিয়ে ষষ্ঠবার মুখোমুখি হচ্ছে দুই দল, যার শুরু ১৯৭৪ সালে। গ্রুপ ম্যাচে ৪-০ গোলে হেরেছিল আর্জেন্টিনা। চার বছর পরের বিশ্বকাপ ফাইনালে ডাচদের হারিয়ে প্রথম বিশ্বকাপ জেতে তারা। আর ৯৮-এর কোয়ার্টার ফাইনালে ২-১ গোলে হেরে স্বপ্ন ভঙ্গ হয় আলবিসেলেস্তেদের। এরপর বিশ্বমঞ্চে শেষ দুইবারের দেখায় নির্ধারিত সময় হয়েছে ড্র। ২০০৬ সালে গ্রুপ পর্বে গোলশূন্য ড্র হয়। ২০১৪-তে গোলশূন্য নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময় শেষে পেনাল্টিতে ৪-২ গোলে জেতে আলবিসেলেস্তেরা। এবারের ফল কোনদিকে গড়ায় সেটাই দেখার অপেক্ষা।