দুই জঙ্গিসহ জড়িত সবাই নজরদারিতে’

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ বলেছেন, আদালত প্রাঙ্গণ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গি সদস্যসহ এ ঘটনায় জড়িতরা সবাই নজরদারিতে রয়েছে। যেকোনো সময় তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।

সোমবার (২১ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজধানীর ডিএমপির মিডিয়া সেন্টার থেকে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, তারা যাতে পালাতে না পারে সেজন্য ইতিমধ্যে পুলিশ প্রধান সারা দেশে রেড এলার্ট জারি করেছেন। ১২ জনের মধ্যে দুজন পালিয়েছে। পালাতে ব্যর্থ দুজনসহ মোট ১০ জনকে পুনরায় ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। তদন্ত চলছে। সারা দেশে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। চেকপোস্ট কড়াকড়ি করা হয়েছে। আমরা সবাই এলার্ট রয়েছি।

তিনি আরও বলেন, যারা জঙ্গি আসামিদের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন তাদের মধ্যে পাঁচ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পাঁচ সদস্যের একটা তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। জঙ্গি আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকে। তবে কাল যেটা ঘটেছে সেটা অনাকাঙ্খিত। কর্তব্য কাজে অবহেলার কারণে পাঁচ পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে। টহল জোরদার ও কঠোরভাবে সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ ও মনিটরিং করা হচ্ছে। জঙ্গি আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রটেকশন বাড়ানো হয়েছে। জঙ্গি আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনায় প্রত্যেক আসামিকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ঘটনার মাস্টারমাইন্ড মেজর (বরখাস্ত) জিয়া।

এক প্রশ্নে ডিবি প্রধান বলেন, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। ডিএমপি কমিশনার নির্দেশনা দিয়েছেন, কোর্টে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, রোববার (২০ নভেম্বর) মোহাম্মদপুর থানার একটি মামলায় মোট ১২ জঙ্গিকে আদালতে নেওয়া হয়। দুপুরে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রধান ফটকের সামনে থেকে পুলিশের মুখে স্প্রে মেরে দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়।  ছিনিয়ে নেওয়া ওই দুই জঙ্গি হলেন, মইনুল হাসান শামীম ও আবু সিদ্দিক সোহেল।
Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর