ঢাকা ০৬:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলনে বিভাগীয় সমাবেশ ও জাতীয় মহাসমাবেশের ঘোষণা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:২৩:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ অক্টোবর ২০২২
  • ১২৯ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলন থেকে বিভাগীয় সমাবেশ ও জাতীয় মহাসমাবেশসহ ৪ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

অন্য দফাগুলো হলো- প্রশাসনের সব গুরুত্বপূর্ণ দফতরে খতমে নবুওয়াতের ফাইল প্রদান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বরাবর স্মারকলিপি  এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে কাদিয়ানি সম্প্রদায়কে অমুসলিম ঘোষণা ও ইসলামের নামে তাদের সব প্রকাশনা প্রচার-প্রচারণা নিষিদ্ধের দাবি।

শনিবার রাজধানীর গুলিস্তান কাজী বশির মিলনায়তনে খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ কমিটি বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির আমির আল্লামা আব্দুল হামিদ (মধুপুরের পীর)। সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দের মুফতি ও মুহাদ্দিস আওলাদে রাসুল (সা.) সায়্যিদ মুফতি সালমান মানসুরপুরী।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন, শোলাকিয়া ঈদগাহের খতিব মাওলানা ফরীদ উদ্দিন মাসউদ ও পাকিস্তান করাচি দারুল উলুমের নায়েবে মুফতি মুফতি আবদুল মান্নান।

সভাপতির বক্তব্য মধুপুরের পীর বলেন, সারা পৃথিবীতে বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ বিভিন্ন জাতি ধর্মের মানুষ এদেশে একসঙ্গে বসবাস করে। বাংলাদেশের অধিকাংশ নাগরিক ইসলাম ধর্মের অনুসারী। সকল ধর্মের অনুসারীরা স্বাধীনভাবে তাদের নিজ নিজ ধর্ম পালন করছে। বাংলাদেশের মহান সংবিধানেও ধর্মীয় স্বাধীনতা সংরক্ষণের কথা সুস্পষ্টভাবে রয়েছে।

তিনি বলেন, মুসলমানদের আমাদের বিশ্বাস হলো হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও রাসুল। তারপরে নতুন করে কেউ নবী রাসুল হিসেবে আগমন করবে না। এটা কুরআন-সুন্নাহ ইজমা-কিয়াসের সর্বসম্মত বক্তব্য। এ বিষয়টি দ্বীন ইসলামের মৌলিক বিশ্বাস। যা অস্বীকার করলে কিংবা সন্দেহ পোষণ করলে ঈমান থাকে না। মক্কা-মদিনাসহ সারা বিশ্বের ইসলামিক স্কলাররা এ বিষয়ে একমত। কাদিয়ানি ইস্যুতে মুসলমানদের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই।

ওলামা মাশায়েখ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন- জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা ইসমাইল নুরপুরী, বাহাদুরপুরের পীর আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ হাসান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ইউনুস আহদ, বরিশাল মাহমুদিয়া মাদরাসার মহাপরিচালক মাওলানা উবায়দুর রহমান মাহবুব, ঢালকানগর মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা জাফর আহমদ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী, মহাসচিব মাওলানা মনজুরুল ইসলাম আফিন্দী, বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুর হক, দৈনিক ইনকিলাবের সিনিয়র সহকারী সম্পাদক মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী প্রমুখ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের স্ত্রী ঝর্ণা রায় আর নেই

ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলনে বিভাগীয় সমাবেশ ও জাতীয় মহাসমাবেশের ঘোষণা

আপডেট টাইম : ০৭:২৩:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ অক্টোবর ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলন থেকে বিভাগীয় সমাবেশ ও জাতীয় মহাসমাবেশসহ ৪ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

অন্য দফাগুলো হলো- প্রশাসনের সব গুরুত্বপূর্ণ দফতরে খতমে নবুওয়াতের ফাইল প্রদান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বরাবর স্মারকলিপি  এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে কাদিয়ানি সম্প্রদায়কে অমুসলিম ঘোষণা ও ইসলামের নামে তাদের সব প্রকাশনা প্রচার-প্রচারণা নিষিদ্ধের দাবি।

শনিবার রাজধানীর গুলিস্তান কাজী বশির মিলনায়তনে খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ কমিটি বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির আমির আল্লামা আব্দুল হামিদ (মধুপুরের পীর)। সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দের মুফতি ও মুহাদ্দিস আওলাদে রাসুল (সা.) সায়্যিদ মুফতি সালমান মানসুরপুরী।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন, শোলাকিয়া ঈদগাহের খতিব মাওলানা ফরীদ উদ্দিন মাসউদ ও পাকিস্তান করাচি দারুল উলুমের নায়েবে মুফতি মুফতি আবদুল মান্নান।

সভাপতির বক্তব্য মধুপুরের পীর বলেন, সারা পৃথিবীতে বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ বিভিন্ন জাতি ধর্মের মানুষ এদেশে একসঙ্গে বসবাস করে। বাংলাদেশের অধিকাংশ নাগরিক ইসলাম ধর্মের অনুসারী। সকল ধর্মের অনুসারীরা স্বাধীনভাবে তাদের নিজ নিজ ধর্ম পালন করছে। বাংলাদেশের মহান সংবিধানেও ধর্মীয় স্বাধীনতা সংরক্ষণের কথা সুস্পষ্টভাবে রয়েছে।

তিনি বলেন, মুসলমানদের আমাদের বিশ্বাস হলো হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও রাসুল। তারপরে নতুন করে কেউ নবী রাসুল হিসেবে আগমন করবে না। এটা কুরআন-সুন্নাহ ইজমা-কিয়াসের সর্বসম্মত বক্তব্য। এ বিষয়টি দ্বীন ইসলামের মৌলিক বিশ্বাস। যা অস্বীকার করলে কিংবা সন্দেহ পোষণ করলে ঈমান থাকে না। মক্কা-মদিনাসহ সারা বিশ্বের ইসলামিক স্কলাররা এ বিষয়ে একমত। কাদিয়ানি ইস্যুতে মুসলমানদের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই।

ওলামা মাশায়েখ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন- জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা ইসমাইল নুরপুরী, বাহাদুরপুরের পীর আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ হাসান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ইউনুস আহদ, বরিশাল মাহমুদিয়া মাদরাসার মহাপরিচালক মাওলানা উবায়দুর রহমান মাহবুব, ঢালকানগর মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা জাফর আহমদ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী, মহাসচিব মাওলানা মনজুরুল ইসলাম আফিন্দী, বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুর হক, দৈনিক ইনকিলাবের সিনিয়র সহকারী সম্পাদক মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী প্রমুখ।