ঢাকা ১২:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ০১ জানুয়ারী ২০২৫, ১৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিম্নমানের পণ্য বেশি দামে কেনার যে কারণ জানালেন ভোক্তার ডিজি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:০৬:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৬ বার

জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মোহাম্মদ আলীম আখতার খান বলেছেন, ‘আমদানিগত ত্রুটি ও অব্যবস্থাপনার কারণে নিম্নমানের পণ্যকেও উচ্চদামে এলসির মাধ্যমে আনতে হয়েছে। অন্যান্য দ্রব্যের ক্ষেত্রেও দাম বাড়তির দিকে। আসন্ন রমজানে দ্রব্যমূল্য সহনীয় রাখতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
আজ রবিবার রাজশাহীতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভোক্তার ডিজি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি আমরা দুইটি জিনিসের দাম নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলাম। একটা হলো পেঁয়াজ, আর একটা আলু। আমরা সাধারণভাবে দ্রব্যমূল্যের ধারণা পেয়ে থাকি কৃষি বিপন্ন অধিদপ্তর থেকে। ২৭ টাকার মধ্যে কোল্ডস্টোরগুলোতে (হিমাগার) আলু রাখা হয়েছিল। এর সঙ্গে কোল্ডস্টোরের ভাড়া, পরিবহন ইত্যাদি মিলিয়ে সর্বোচ্চ ৪০ টাকায় বিক্রি করলে এটাকে যৌক্তিক মূল্য বলা হচ্ছে। তারপরেও এটাতে আরও কিছু লাভ ধরে সর্বোচ্চ ৪৫ টাকা করে দিয়েছে কৃষি বিপন্ন অধিদপ্তর। সেই দামে বিক্রির বিষয়ে আমরা আন্তরিক ছিলাম।’

মোহাম্মদ আলীম আখতার খান আরও বলেন, ‘রংপুরের ময়নাকুটির কোল্ডস্টোরেজ থেকে ৪৫ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি করতে বাধ্য করেছে। রাজশাহীতে পবার ইউএনও (উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা) ৪৫ টাকা দরে আলু বিক্রি করতে বাধ্য করেছেন। রাজশাহীতে ৪০টি কোল্ডস্টোরেজ রয়েছে। রাজশাহীর ৯টা উপজেলার মধ্যে একটি মাত্র উপজেলা এমন দামে আলু বিক্রি করতে পারলে, এটাকে আমরা অন্য উপজেলাগুলোর সঙ্গে এক কাতারে বিবেচনা করতে পারি না।’

ডিজি বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে এখনো পুরোনো সংস্কৃতিটা পুরোপুরি পরিবর্তন হয়নি। গত মাসে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদে (স্থলবন্দর) গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে দেখেছি, পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধিতে যে আমদানি হচ্ছে, তারমধ্যে ওয়ান থার্ড (তিনভাগের এক ভাগ) পেঁয়াজ নষ্ট। কিন্তু আমরা তখন পেঁয়াজের ক্রাইসিস মেইনটেইন করা জন্য কিনতে বাধ্য হয়েছি। পেঁয়াজ যে পরিমাণে আমদানি করা হয়েছিল, সেটার ৩০ ভাগ নষ্টের পরও বাকিগুলোর ১০০ করে মূল্য ধরা হয়েছিল। ফলে মূল্য কোনোভাবে কমানো যায়নি। পেঁয়াজগুলো এক অংশ প্রায় ভেজা আসত।’

তিনি আরও বলেন, ‘জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নাগরিক হিসেবে ভোক্তাদের যে অধিকারগুলো থাকে তা সংরক্ষণ করে। যখন সমাজে ভোক্তাদের অধিকার প্রয়োগের ক্ষেত্রে কোনো ব্যত্যয় ঘটে, তখন পৃথকভাবে সেটাকে প্রতিহত করার জন্য এ অধিদপ্তরের সৃষ্টি হয়েছে। ক্যাব নানাভাবে সহযোগিতা করছে।’

ক্যাবের কেন্দ্রীয় সভাপতি জামিল চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মো. আলমগীর রহমান, জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার ও পুলিশ সুপার ফারজানা ইসলাম।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

নিম্নমানের পণ্য বেশি দামে কেনার যে কারণ জানালেন ভোক্তার ডিজি

আপডেট টাইম : ০৬:০৬:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মোহাম্মদ আলীম আখতার খান বলেছেন, ‘আমদানিগত ত্রুটি ও অব্যবস্থাপনার কারণে নিম্নমানের পণ্যকেও উচ্চদামে এলসির মাধ্যমে আনতে হয়েছে। অন্যান্য দ্রব্যের ক্ষেত্রেও দাম বাড়তির দিকে। আসন্ন রমজানে দ্রব্যমূল্য সহনীয় রাখতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
আজ রবিবার রাজশাহীতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভোক্তার ডিজি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি আমরা দুইটি জিনিসের দাম নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলাম। একটা হলো পেঁয়াজ, আর একটা আলু। আমরা সাধারণভাবে দ্রব্যমূল্যের ধারণা পেয়ে থাকি কৃষি বিপন্ন অধিদপ্তর থেকে। ২৭ টাকার মধ্যে কোল্ডস্টোরগুলোতে (হিমাগার) আলু রাখা হয়েছিল। এর সঙ্গে কোল্ডস্টোরের ভাড়া, পরিবহন ইত্যাদি মিলিয়ে সর্বোচ্চ ৪০ টাকায় বিক্রি করলে এটাকে যৌক্তিক মূল্য বলা হচ্ছে। তারপরেও এটাতে আরও কিছু লাভ ধরে সর্বোচ্চ ৪৫ টাকা করে দিয়েছে কৃষি বিপন্ন অধিদপ্তর। সেই দামে বিক্রির বিষয়ে আমরা আন্তরিক ছিলাম।’

মোহাম্মদ আলীম আখতার খান আরও বলেন, ‘রংপুরের ময়নাকুটির কোল্ডস্টোরেজ থেকে ৪৫ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি করতে বাধ্য করেছে। রাজশাহীতে পবার ইউএনও (উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা) ৪৫ টাকা দরে আলু বিক্রি করতে বাধ্য করেছেন। রাজশাহীতে ৪০টি কোল্ডস্টোরেজ রয়েছে। রাজশাহীর ৯টা উপজেলার মধ্যে একটি মাত্র উপজেলা এমন দামে আলু বিক্রি করতে পারলে, এটাকে আমরা অন্য উপজেলাগুলোর সঙ্গে এক কাতারে বিবেচনা করতে পারি না।’

ডিজি বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে এখনো পুরোনো সংস্কৃতিটা পুরোপুরি পরিবর্তন হয়নি। গত মাসে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদে (স্থলবন্দর) গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে দেখেছি, পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধিতে যে আমদানি হচ্ছে, তারমধ্যে ওয়ান থার্ড (তিনভাগের এক ভাগ) পেঁয়াজ নষ্ট। কিন্তু আমরা তখন পেঁয়াজের ক্রাইসিস মেইনটেইন করা জন্য কিনতে বাধ্য হয়েছি। পেঁয়াজ যে পরিমাণে আমদানি করা হয়েছিল, সেটার ৩০ ভাগ নষ্টের পরও বাকিগুলোর ১০০ করে মূল্য ধরা হয়েছিল। ফলে মূল্য কোনোভাবে কমানো যায়নি। পেঁয়াজগুলো এক অংশ প্রায় ভেজা আসত।’

তিনি আরও বলেন, ‘জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নাগরিক হিসেবে ভোক্তাদের যে অধিকারগুলো থাকে তা সংরক্ষণ করে। যখন সমাজে ভোক্তাদের অধিকার প্রয়োগের ক্ষেত্রে কোনো ব্যত্যয় ঘটে, তখন পৃথকভাবে সেটাকে প্রতিহত করার জন্য এ অধিদপ্তরের সৃষ্টি হয়েছে। ক্যাব নানাভাবে সহযোগিতা করছে।’

ক্যাবের কেন্দ্রীয় সভাপতি জামিল চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মো. আলমগীর রহমান, জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার ও পুলিশ সুপার ফারজানা ইসলাম।