ইংরজি নতুন বছরের প্রথম দিন পর্দা উঠছে মাসব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার। এবারের মেলায় থাকছে ‘জুলাই ও ছত্রিশ চত্বর’। প্রথমবারের মতো ই-টিকেটিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বুধবার (১ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর পূর্বাচলে আয়োজিত এ মেলার উদ্বোধন ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) জানিয়েছে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ইপিবির যৌথ উদ্যোগে বুধবার সকালে পূর্বাচলে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে ২৯তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা।
গত বছর নির্বাচনের কারণে ২০ দিন পিছিয়ে শুরু হওয়ায়, প্রস্তুতি কিংবা ব্যবসায় যে ভাটা পড়েছিল, এ বছর তা কাটাতে প্রস্তুতি নিয়েছে মেলায় অংশ নিতে যাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো।
দেশি-বিদেশি মিলে এবার স্টল ও প্যাভিলিয়নের সংখ্যা থাকছে ৩২৭টি। বাংলাদেশ বাদে সাতটি ভিন্ন দেশের মোট ১১টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে এবার। ২০২৫ সালের বাণিজ্য মেলায় যুক্ত হচ্ছে বেশকিছু নতুনত্ব।
তবে অপরিবর্তিত থাকছে প্যাভিলিয়ন, স্টল বা রেস্টুরেন্টের স্পেসের ফ্লোরমূল্য বা ভাড়া। টিকিটের জন্য প্রাপ্তবয়স্কদের গুণতে হবে ৫০ টাকা। ১২ বছরের নিচে হলে টিকিটমূল্য অর্ধেক।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক মাহমুদুল হাসান বলেন, “এ বছর পুরো বরাদ্দ প্রক্রিয়া হয়েছে অনলাইনে। তবে গত বছরের মতো একই ফ্লোরমূল্য বা ভাড়া রাখা হয়েছে এবারও।”
মেলার আয়োজক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর প্রত্যাশা নতুনত্বের ছোঁয়ায় এ বছর আরও আকর্ষণীয় হবে বাণিজ্য মেলা। মাহমুদুল হাসান আরও বলেন, “জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণভাবে মেলার সার্বিক কার্যক্রম সাজানো হয়েছে। প্রথমবারের মতো এবার বাণিজ্যমেলায় প্রবেশের জন্য থাকছে অনলাইনে টিকিট কাটার ব্যবস্থা। শিশুদের জন্য হচ্ছে প্রযুক্তিভিত্তিক শিশু পার্ক।”
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ইপিবির যৌথ উদ্যোগে ১৯৯৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত দেশীয় পণ্যের প্রচার, প্রসার, বিপণন, উৎপাদনে সহায়তার লক্ষ্যে বাণিজ্য মেলা রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে আয়োজন করা হতো। করোনার কারণে ২০২১ সালে মেলা আয়োজন করা হয়নি। আর মহামারির বিধিনিষেধের মধ্যে ২০২২ সালে প্রথমবার মেলা পূর্বাচলে বিবিসিএফইসিতে আয়োজন করা হয়।