পঞ্চগড়ে বুধবার তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও শীতের তীব্রতা কমেনি। কুয়াশায় ঢাকা সমগ্র এলাকা। বইছে উত্তরের হিমশীতল ঝিরঝির বাতাস।
আজ বুধবার সকাল ৯টায় ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এরআগে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ে সারাদেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১০ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে আজ বুধবার বাতাসে আদ্রতা ১০০ শতাংশ এবং ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ ৭ থেকে ৮ কিলোমিটার বেগে প্রবাহিত হচ্ছে।
গত তিনদিন ধরে শীত প্রবন উত্তরের এই জনপদে আবারও বেড়েছে ঘন কুয়াশার দাপট। জেলাজুড়ে অনুভূত হচ্ছে কনকনে শীত। বরফের পাহাড় হিমালয় থেকে বয়ে আসা হিমশীতল বাতাস শীতের তীব্রতা বাড়িয়ে দিয়েছে। পৌষের হাড় কাঁপানো শীতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় জানান, গত তিন দিন ধরে পঞ্চগড়ে কুয়াশা বেড়েছে। উপর আকাশে মেঘ আর ঘন কুয়াশার কারণে ভূপৃষ্ঠে সূর্যের তীব্রতা ছড়াতে পারছে না। এছাড়া উত্তরের হিমেল বাতাস অব্যাহত থাকায় বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। জানুয়ারির মাসে আরও শীতের তীব্রতা বেড়ে যাবে এবং একাধিক শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
তিনি জানান, এর আগে সোমবার সন্ধ্যার পর থেকেই হিমালয়ের কোলঘেঁষা এই জনপদে বাড়তে থাকে শীতের তীব্রতা। রাতভর ঝিরিঝিরি হিমেল বাতাসের সঙ্গে ঝরতে থাকে কুয়াশা। এদিকে বুধবার কুয়াশার দাপট আরও বেড়ে যায়। বেলা বাড়লেও কুয়াশার কারণে দেখা যাচ্ছিল না সূর্য। দুপুরের দিকে কুয়াশা ভেদ করে সূর্য উঁকি দিলেও রোদের তীব্রতা ছড়াতে না পারায় দিনের বেলাতেও তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে । এদিকে গত শনিবার পর্যন্ত টানা পাঁচ দিন উত্তরের জনপদ পঞ্চগড়ের ওপর দিয়ে বয়ে যায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। এ সময় ৯ ডিগ্রীর ঘরে তাপমাত্রা বিরাজ করে।
তিনি আরও জানান, রবিবার হঠাৎ করে তাপমাত্রা বেড়ে যায়। ওই দিন সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা ১২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সোমবার আবারও তাপমাত্রা পারদ ৯ ডিগ্রীর ঘরে নেমে আসে। ওই দিন সকাল ৯ টায় ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।
বুধবার সকালে বাড়ি থেকে জেলার নাশির মন্ডল হাট যাওয়ার পথে ভ্যান চালক মিজানুর রহমান বলেন, ‘ খুব ঠান্ডা করছে। হাত-পা অবশ হয়ে গেছে। এই শীতে লোকজন ভ্যানে উঠতে চায় না। যাত্রী নাই,তাই আয় ইনকাম কম, সংসার চালাইতে অনেক কষ্ট হচ্ছে।’