সহকর্মীদের সঙ্গে সমুদ্র সৈকতে পিকনিকে গিয়েছিলেন এক প্রধান শিক্ষক। একপর্যায়ে সাঁতার কাটতে সমুদ্রে নামেন তিনি। পরে ঢেউয়ের তোড়ে ভেসে যান ওই প্রধান শিক্ষক।
পরে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্রের পুণেতে। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআই।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মৃত ওই শিক্ষকের নাম ধর্মেন্দ্র দেশমুখ (৫৬)। তিনি মহারাষ্ট্রের পুণের মহাত্মা জ্যোতিরাও হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক পদে নিযুক্ত ছিলেন।
শনিবার পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বড়দিন ও বর্ষশেষের ছুটিতে শুক্রবার পুণের হাভেলি তালুকের এক স্কুলের শিক্ষকেরা মিলে মহারাষ্ট্রের রায়গড় জেলার কাশিদ সমুদ্রসৈকতে পিকনিকে গিয়েছিলেন। তাদের দলে ছিলেন মোট ১১ জন শিক্ষক।
একপর্যায়ে তারা সাঁতার কাটতে সমুদ্রে নামেন এবং সেখানেই পানিতে ডুবে মৃত্যু হয় প্রধান শিক্ষক ধর্মেন্দ্র দেশমুখের। শুক্রবার দুপুরে বনভোজনের পর সহকর্মীদের সঙ্গে পানিতে নেমেছিলেন ধর্মেন্দ্র। তখনই দুর্ঘটনাটি ঘটে। পানির তোড়ে ভেসে যান তিনি।
মুরুদ থানার এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দীর্ঘক্ষণ খোঁজাখুঁজির পর শিক্ষক এবং সৈকতে উপস্থিত উদ্ধারকারী দলের যৌথ প্রচেষ্টায় পানি থেকে ধর্মেন্দ্রকে উদ্ধার করা হয়। সহকর্মীরাই তড়িঘড়ি তাকে বোরলির প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাকে আলিবাগ সিভিল হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। সেখানে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এদিকে সমুদ্রের পানিতে ডুবে প্রধান শিক্ষকের মৃত্যুর ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে পুণের ওই স্কুলে। এই ঘটনায় একটি দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। কী ভাবে ওই দুর্ঘটনা ঘটল, সেটিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।