ভারতীয় বাংলা সিনেমার এক সময়ের সাড়া জাগানো অভিনেত্রী রূপা গাঙ্গুলির ওপর হামলা হয়েছে। এতে মাথায়, কোমরে ও কনুইয়ে আঘাত পেয়েছেন তিনি। তার গাড়িটিও ভাংচুর করা হয়েছে।
রোববার কাকদ্বীপের সূর্যনগরে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ক্ষমতাসীন বিজেপির দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সভাপতি (পশ্চিম) অভিজিৎ দাসসহ আরও ১০ জন আহত হয়েছেন। তাদের সবাইকে ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় তৃণমূলকে দায়ী করছেন বিজেপি মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী রূপা গাঙ্গুলী।
তিনি বলেন, ‘গ্রামে যাওয়ার কথা আগেই পুলিশকে জানিয়েছিলাম। তবু মাত্র দু’তিনজন পুলিশ এলাকায় মোতায়েন ছিল। মাটিতে ফেলে মারা হয়েছে আমাকে।’
রূপা গাঙ্গুলী বলেন, ‘আমার শাড়ি ছিঁড়ে দিয়েছে। চুলের মুঠি ধরে টেনে একমুঠো চুল ছিঁড়ে নেয়া হয়েছে। প্রায় আধ-ঘণ্টা ধরে হামলা চলে। তার পরে কোনো রকমে পালিয়ে বাঁচি।’
গত বছর কলকাতার গোপালনগরে এবং হাবড়ায় রূপাকে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এ বার সমস্যা হয়েছে আক্রান্তকে দেখতে গিয়ে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, শনিবার সকালে বিজেপির নির্বাচনী এজেন্ট, সূর্যনগর পঞ্চায়েতের মাঝিপাড়ার বাসিন্দা বাসনা মাঝি আহত হন। তার অন্তঃসত্ত্বা বোন ও মা-বাবাকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
গ্রামবাসীরা তাদের কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। ১৭ জন তৃণমূল সমর্থকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। বাসনাকে দেখতে এ দিন নিজেই গাড়ি চালিয়ে কাকদ্বীপ হাসপাতালে যান রূপা।
সেখান থেকে বাসনার বোন দুর্গাকে নিয়ে থানায় গিয়ে ওই পরিবারের জন্য নিরাপত্তার আবেদন জানান তিনি।
এরপরে দুর্গা ও তার মাকে মাঝিপাড়ায় বাড়ি পৌঁছে দিতে গেলে ওই দু’জন পূজা ঘোষ নাম এক স্কুলছাত্রীকে দেখিয়ে রূপাকে বলেন, হামলায় তার পরিবারের লোকজন জড়িত। পূজাকে তখন রূপা মারধর করেন বলে অভিযোগ।
পূজা বাড়ি গিয়ে ঘটনার কথা বললে শুভ্রাংশু কামার ওরফে বাবুসোনার নেতৃত্বে হামলা হয় বলে বিজেপির অভিযোগ। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে ক্ষমতাসীন তৃণমূল। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা