ঢাকা ০৫:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কচু চাষে মীরসরাইয়ের কৃষক লাভবান

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:৫৩:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ অগাস্ট ২০২২
  • ১১৫ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ একদিকে কম উৎপাদন খরচ অন্যদিকে ভালো মুনাফা হওয়ায় মীরসরাইয়ে বাড়ছে কচুর চাষ। ধান উৎপাদনে খরচ ও ঝুঁকি বেশি হওয়ায় লাভ হচ্ছে কম। এ কারণে কম খরচে ঝুঁকি ছাড়ায় কচু চাষ করে লভাবান হচ্ছেন কৃষকরা। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ মৌসুমে উপজেলায় এবার ১৫০ একর জমিতে কচুর আবাদ হয়েছে। গত বছরের তুলনায় ৫০ হেক্টর জমিতে বেশি চাষ হয়েছে।

মীরসরাইয়ের আবাদকৃত কচুর যথেষ্ট সুনাম আছে। কচুর সুখ্যাতির জন্যই মীরসরাই উপজেলার দুই ইউনিয়নে ‘কচুয়া’ নামে দুটি ভিন্ন গ্রাম রয়েছে। ১১নং মঘাদিয়া ও ১৪নং হাইতকান্দি ইউনিয়নের এই দুটি গ্রামে এবারো লতিরাজ কচুসহ বিভিন্ন জাতের কচুর ফলনে সাফল্যে হাসি ফুটে উঠেছে কৃষকদের মুখে। আর এই কচু চাষ করে অনেক গ্রামে কচু আবাদ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন শত শত কৃষক।

উপজেলার মঘাদিয়া ইউনিয়নের একটি ও হাইতকান্দি ইউনিয়নের একটি গ্রামের নামই কচুয়া। এই কচুয়া গ্রামের কয়েক শত পরিবার এই শ্রাবণ ভাদ্র মাসের বর্ষার দিনে ব্যস্ত থাকে শুধু বড় বড় বিশালাকার কচু ক্ষেত নিয়ে।

মীরসরাই পৌরসভার কৃষক মো. মোস্তাফা প্রায় ২২ বছর ধরে কচু চাষ করছেন। তার কৃষিজমি নিচু হওয়ায় অন্যান্য সবজির চাষ ভালো না হওয়ায় তিনি দীর্ঘ দিন ধরে কচু চাষ করে আসছেন তিনি।

এ বছরও নিজের ১০০ শতক জমিতে কচু চাষ করেছেন। অন্যের কাছ থেকে চাষকৃত আরও ৭০ শতক আবাদি ক্ষেত কিনেছে হারুন। এরই মধ্যে ১২০ শতক জমির কচু বাজারে বিক্রিও করেছেন। আরও এক মাস ধরে কচু বিক্রি করতে পারবেন তিনি। ১২০ শতকের কচু তিনি ২ লাখ ২০ হাজার টাকা বিক্রি করেছেন।

কচু পরিস্কারে ব্যস্ত কৃষক আবুল হোসেন বলেন, ‘এখন শুধু এই গ্রামে না আসে পাশের সব গ্রামেই অনেক জাগয়া কচুর চাষ হচ্ছে। প্রতিদিন দিনভর কচু পরিস্কার করে বেঁধে নিয়ে সবাই পরদিন সকালে হাটে নিয়ে যায় পাইকারদের কাছে।

মীরসরাই উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কাজী নুরুল আলম বলেন, উপজেলায় এবার ১৫০ একর জমিতে কচু চাষ করা হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চাষ হলেও সর্বোচ্চ চাষ হয় মীরসরাই পৌরসভা ও মঘাদিয়া ইউনিয়নে। এসব এলাকার কৃষকরা কচু চাষ করে লাভবান হচ্ছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

কচু চাষে মীরসরাইয়ের কৃষক লাভবান

আপডেট টাইম : ০৯:৫৩:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ অগাস্ট ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ একদিকে কম উৎপাদন খরচ অন্যদিকে ভালো মুনাফা হওয়ায় মীরসরাইয়ে বাড়ছে কচুর চাষ। ধান উৎপাদনে খরচ ও ঝুঁকি বেশি হওয়ায় লাভ হচ্ছে কম। এ কারণে কম খরচে ঝুঁকি ছাড়ায় কচু চাষ করে লভাবান হচ্ছেন কৃষকরা। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ মৌসুমে উপজেলায় এবার ১৫০ একর জমিতে কচুর আবাদ হয়েছে। গত বছরের তুলনায় ৫০ হেক্টর জমিতে বেশি চাষ হয়েছে।

মীরসরাইয়ের আবাদকৃত কচুর যথেষ্ট সুনাম আছে। কচুর সুখ্যাতির জন্যই মীরসরাই উপজেলার দুই ইউনিয়নে ‘কচুয়া’ নামে দুটি ভিন্ন গ্রাম রয়েছে। ১১নং মঘাদিয়া ও ১৪নং হাইতকান্দি ইউনিয়নের এই দুটি গ্রামে এবারো লতিরাজ কচুসহ বিভিন্ন জাতের কচুর ফলনে সাফল্যে হাসি ফুটে উঠেছে কৃষকদের মুখে। আর এই কচু চাষ করে অনেক গ্রামে কচু আবাদ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন শত শত কৃষক।

উপজেলার মঘাদিয়া ইউনিয়নের একটি ও হাইতকান্দি ইউনিয়নের একটি গ্রামের নামই কচুয়া। এই কচুয়া গ্রামের কয়েক শত পরিবার এই শ্রাবণ ভাদ্র মাসের বর্ষার দিনে ব্যস্ত থাকে শুধু বড় বড় বিশালাকার কচু ক্ষেত নিয়ে।

মীরসরাই পৌরসভার কৃষক মো. মোস্তাফা প্রায় ২২ বছর ধরে কচু চাষ করছেন। তার কৃষিজমি নিচু হওয়ায় অন্যান্য সবজির চাষ ভালো না হওয়ায় তিনি দীর্ঘ দিন ধরে কচু চাষ করে আসছেন তিনি।

এ বছরও নিজের ১০০ শতক জমিতে কচু চাষ করেছেন। অন্যের কাছ থেকে চাষকৃত আরও ৭০ শতক আবাদি ক্ষেত কিনেছে হারুন। এরই মধ্যে ১২০ শতক জমির কচু বাজারে বিক্রিও করেছেন। আরও এক মাস ধরে কচু বিক্রি করতে পারবেন তিনি। ১২০ শতকের কচু তিনি ২ লাখ ২০ হাজার টাকা বিক্রি করেছেন।

কচু পরিস্কারে ব্যস্ত কৃষক আবুল হোসেন বলেন, ‘এখন শুধু এই গ্রামে না আসে পাশের সব গ্রামেই অনেক জাগয়া কচুর চাষ হচ্ছে। প্রতিদিন দিনভর কচু পরিস্কার করে বেঁধে নিয়ে সবাই পরদিন সকালে হাটে নিয়ে যায় পাইকারদের কাছে।

মীরসরাই উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কাজী নুরুল আলম বলেন, উপজেলায় এবার ১৫০ একর জমিতে কচু চাষ করা হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চাষ হলেও সর্বোচ্চ চাষ হয় মীরসরাই পৌরসভা ও মঘাদিয়া ইউনিয়নে। এসব এলাকার কৃষকরা কচু চাষ করে লাভবান হচ্ছেন।