হাওর বার্তা ডেস্কঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে বেসরকারি উদ্যোগে নির্মাণ করা হচ্ছে ভেষজ হাসপাতাল।
উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের পেরাব গ্রামে আলোচিত ‘বাংলার তাজমহলের’ পাশেই গড়ে উঠছে ব্যতিক্রমী এই হাসপাতাল।
গাছগাছালি ও শারীরিক থেরাপির মাধ্যমে যে কোনো জটিল অসুখের চিকিৎসা প্রদানই এর লক্ষ্য।
বাংলার তাজমহলের প্রতিষ্ঠাতা বিশিষ্ট চলচ্চিত্রকার বীর মুক্তিযোদ্ধা আহসান উল্লাহ মনির তত্ত্বাবধানে হাসপাতালের কার্যক্রম শিগগিরই শুরু হচ্ছে।
পেরাব গ্রামে আহসান উল্লাহ মনির খামারবাড়িতে হাসপাতালটি গড়ে উঠছে। এর পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মনির মেয়ে আশা আহসানকে।
এতে যুক্ত হবেন দেশি-বিদেশি বিখ্যাত চিকিৎসকরা। জানতে চাইলে মুক্তিযোদ্ধা আহসান উল্লাহ মনি জানান, মানুষকে সুস্থ থাকতে হলে প্রাকৃতিক চিকিৎসার বিকল্প নেই।
গাছপালার মধ্যেই রয়েছে নানা ঔষধিগুণ, তাই এ গাছগাছালি ও শারীরিক থেরাপির মাধ্যমে যে কোনো জটিল অসুখেরও চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব।
তাই সোনারগাঁয়ের প্রাকৃতিক পরিবেশে এ ব্যতিক্রমী হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। বর্তমানে রাজধানীর গুলশানে এমন একটি হাসপাতালের কার্যক্রম চলছে।
মূলত এটিই জামপুর ইউনিয়নে স্থানান্তর করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে হাসপাতালটির জন্য জমি কেনা হয়েছে। এখন ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হবে।
হাসপাতালে প্রথমে শুধু আউটডোর চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকবে, রোগী ভর্তির ব্যবস্থা করা হবে আরও পরে। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে এখানে চিকিৎসা দেওয়া হবে। চিকিৎসার জন্য থাকবেন অভিজ্ঞ চিকিৎসক।
ভেষজ চিকিৎসার ওপর বিদেশ থেকে উচ্চতর ডিগ্রি নেওয়া চিকিৎসকরা রোগীদের সমস্যা চিহ্নিত করে চিকিৎসা দেবেন বলে জানান আহসান উল্লাহ মনি।
এ ব্যাপারে আহসান উল্লাহ মনির মেয়ে আশা আহসান জানান, বিদেশে এ ধরনের ভেষজ চিকিৎসা বেশ জনপ্রিয়। আমাদের দেশে এটি এখনো সেভাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেনি। এখানকার চিকিৎসা পদ্ধতিটি গতানুগতিক চিকিৎসার ব্যতিক্রম হবে।
বিশেষ করে শারীরিক থেরাপিকে গুরুত্ব দিয়েই এ চিকিৎসা করা হবে। আহসান উল্লাহ মনি তাজমহলের পাশেই নির্মাণ করেছেন মিসরের পিরামিডের আদলে ‘বাংলার পিরামিড’।
রয়েছে সিনেমা হল ও পাখির মেলা নামে বিদেশি পাখি প্রদর্শনীর ব্যবস্থা। প্রতিদিনই হাজার হাজার দেশি-বিদেশি পর্যটক এসব অনন্য স্থাপনা দেখতে সোনারগাঁয়ের পেরাব এলাকায় আসছেন।