মাঙ্কিপক্স আতঙ্কে তামিলনাড়ু ও পশ্চিমবঙ্গে বাড়তি সতর্কতা

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মাঙ্কিপক্স ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের ২৩টি দেশে। এসব দেশ ও অঞ্চলে মোট ২৫৭ জন মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এছাড়াও প্রায় ১২০ জন সন্দেহভাজন রোগীর তথ্য পাওয়া গেছে। এদিকে মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ এড়াতে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোতে বিশেষ নির্দেশিকা জারি করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সন্দেহভাজন রোগীদের পরীক্ষার নমুনা ইন্টিগ্রেটেড ডিজিজ সার্ভিল্যান্স প্রোগ্রাম (আইডিএসপি) নেটওয়ার্কের মাধ্যমে পুনের শীর্ষ পরীক্ষাগার এনআইভিতে পাঠাতে হবে। ভারতে এখন পর্যন্ত মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত কোনো রোগী শনাক্ত হয়নি। সাবধানতা অবলম্বনে তামিলনাড়ু এবং পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যগুলো সতর্কতা বাড়িয়েছে।

দেশে মাঙ্কিপক্সের সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেওয়া যায় না বলে উল্লেখ করে তামিলনাড়ুর স্বাস্থ্য বিভাগ মঙ্গলবার রাজ্যের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোকে নজরদারি বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে মাঙ্কিপক্স সংক্রামিত দেশ থেকে আসা, উপসর্গ দেখা যাচ্ছে এমন যাত্রীদের নমুনা সংগ্রহ করার নির্দেশ দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারও রাজ্যের হাসপাতালগুলোতে মাঙ্কিপক্সের লক্ষণসহ বিদেশ থেকে আসা রোগীদের থাকার জন্য আলাদা ব্যবস্থা তৈরি করতে নির্দেশ দিয়েছে। একটি নির্দেশিকায় স্বাস্থ্য বিভাগ হাসপাতালগুলোকে আইসোলেশন বেড প্রস্তুত রাখতে বলেছে। এছাড়াও সংক্রামিত রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করে পুনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিতে পাঠানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

এদিকে মাঙ্কিপক্সের এই প্রাদুর্ভাব মহামারিতে রূপ নেবে না বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। তারা বলছে, আপাতত ডব্লিউইচও এ বিষয়ে উদ্বিগ্নও নয়। ডব্লিউএইচও’র মাঙ্কিপক্স বিষয়ক শীর্ষ বিশেষজ্ঞ বলেছেন, তিনি এমন আশা করেন না যে এখন পর্যন্ত পাওয়া শত শত রোগী থেকে এটি আরেকটি মহামারিতে পরিণত হতে পারে। তবে তিনি স্বীকার করেছেন, রোগটি সম্পর্কে এখনও অনেক কিছুই অজানা রয়ে গেছে। এর মধ্যে রোগটি আসলে ঠিক কীভাবে ছড়ায় এবং কয়েক দশক ধরে গুটিবসন্তের গণটিকা কার্যক্রম বন্ধ রাখায় মাঙ্কিপক্সের বিস্তার বৃদ্ধি পেয়েছে কি না সে বিষয়গুলোও রয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর