ঢাকা ০৫:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দৃষ্টিনন্দন বর্ণচ্ছটায় জারুল ফুল

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:০৮:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ মে ২০১৬
  • ৬১৬ বার

পাঁপড়ির নমনীয় কোমলতায়, দৃষ্টিনন্দন বর্নচ্ছটা নিয়ে প্রকৃতিকে আরো সুন্দর করে সাজিয়ে তোলে জারুল ফুল। বৃক্ষ জাতীয় জারুল ফুলের আদী নিবাস শ্রীলংকা। নীলাভ ও গোলাপী দু’ রংয়ের জারুল ফুল বাংলাদেশের সর্বত্র চোখে পড়ে।

এই পাতাঝরা বৃক্ষ শীতকালে পত্রশূন্য থাকে। বসন্তে গাঢ় নতুন সবুজ পাতা গজায়। জারুলের দৃষ্টিনন্দন রঙ ও রূপ নয়নাভিরাম, ফুল গন্ধহীন, পাপড়ি ছয়টি, ফুলের মাঝখানে হলুদ রঙের পরাগ রয়েছে। গাছ সাধারনত ১০ থেকে ১৫ মিটার উঁচু হয়।

গাছের পাতা সবুজ, পুরু,মধ্য শিরা স্পষ্ট ও বেশ বড়। গাছের শাখা-প্রশাখা ও কান্ড শক্তমানের, শাখা-প্রশাখার অগ্রভাগে দন্ড বোঁটায় অসংখ্য ফুল ফোটে। বোঁটার নিচ থেকে প্রথম ফুল ফোটা শুরু হয়ে বোঁটার সামনের দিকে ধীরে ধীরে ফুল ফোটে।

গ্রীষ্মের শুরুতেই এর ফুল ফুটে এবং শরৎ পর্যন্ত দেখা যায়। ফুল শেষে গাছে বীজ হয়, বীজ দেখতে গোলাকার ও বীজের মাধ্যমে বংশ বিস্তার হয়। জারুল ভারতীয় উপমহাদেশের নিজস্ব বৃক্ষ। বাংলাদেশ ভারত ছাড়াও চীন মালয়েশিয়া প্রভৃতি অঞ্চলে জারুল গাছের দেখা মিলে। নিন্মাঞ্চলের জলাভূমিতেও এটি ভালভাবে বেড়ে উঠতে পারে, তবে শুকনো এলাকাতেও এদের মানিয়ে নিতে সমস্যা হয়না। জারুল কাঠ লালচে রঙের, অত্যান্ত শক্ত ও মূল্যবান। ঘরের কড়ি-বড়গা, লাঙ্গল, আসবাব পত্র ইত্যাদি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। জারুল গাছের ভেষজ গুনাগুন রয়েছে।

এর বীজ, ছাল ও পাতা ডায়াবেটিস রোগের ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এছারাও জ¦র, অনিদ্রা, কাশি ও অজীর্নতায় জারুল উপকারী।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

দৃষ্টিনন্দন বর্ণচ্ছটায় জারুল ফুল

আপডেট টাইম : ১০:০৮:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ মে ২০১৬

পাঁপড়ির নমনীয় কোমলতায়, দৃষ্টিনন্দন বর্নচ্ছটা নিয়ে প্রকৃতিকে আরো সুন্দর করে সাজিয়ে তোলে জারুল ফুল। বৃক্ষ জাতীয় জারুল ফুলের আদী নিবাস শ্রীলংকা। নীলাভ ও গোলাপী দু’ রংয়ের জারুল ফুল বাংলাদেশের সর্বত্র চোখে পড়ে।

এই পাতাঝরা বৃক্ষ শীতকালে পত্রশূন্য থাকে। বসন্তে গাঢ় নতুন সবুজ পাতা গজায়। জারুলের দৃষ্টিনন্দন রঙ ও রূপ নয়নাভিরাম, ফুল গন্ধহীন, পাপড়ি ছয়টি, ফুলের মাঝখানে হলুদ রঙের পরাগ রয়েছে। গাছ সাধারনত ১০ থেকে ১৫ মিটার উঁচু হয়।

গাছের পাতা সবুজ, পুরু,মধ্য শিরা স্পষ্ট ও বেশ বড়। গাছের শাখা-প্রশাখা ও কান্ড শক্তমানের, শাখা-প্রশাখার অগ্রভাগে দন্ড বোঁটায় অসংখ্য ফুল ফোটে। বোঁটার নিচ থেকে প্রথম ফুল ফোটা শুরু হয়ে বোঁটার সামনের দিকে ধীরে ধীরে ফুল ফোটে।

গ্রীষ্মের শুরুতেই এর ফুল ফুটে এবং শরৎ পর্যন্ত দেখা যায়। ফুল শেষে গাছে বীজ হয়, বীজ দেখতে গোলাকার ও বীজের মাধ্যমে বংশ বিস্তার হয়। জারুল ভারতীয় উপমহাদেশের নিজস্ব বৃক্ষ। বাংলাদেশ ভারত ছাড়াও চীন মালয়েশিয়া প্রভৃতি অঞ্চলে জারুল গাছের দেখা মিলে। নিন্মাঞ্চলের জলাভূমিতেও এটি ভালভাবে বেড়ে উঠতে পারে, তবে শুকনো এলাকাতেও এদের মানিয়ে নিতে সমস্যা হয়না। জারুল কাঠ লালচে রঙের, অত্যান্ত শক্ত ও মূল্যবান। ঘরের কড়ি-বড়গা, লাঙ্গল, আসবাব পত্র ইত্যাদি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। জারুল গাছের ভেষজ গুনাগুন রয়েছে।

এর বীজ, ছাল ও পাতা ডায়াবেটিস রোগের ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এছারাও জ¦র, অনিদ্রা, কাশি ও অজীর্নতায় জারুল উপকারী।