মরিয়মের আপত্তিকর ছবি! সোশ্যাল মিডিয়ায় নজরদারি শুরু পাকিস্তানে

হাওর বার্তা ডেস্কঃ এবার থেকে পাকিস্তানেও সোশ্যাল মিডিয়ায় নজরদারি শুরু করা হবে। সরকারের পক্ষ থেকেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে এবং আনুষ্ঠানিকভাবে তা ঘোষণাও করা হয়েছে।

পাক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার থেকে দেশের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বিভাগ সোশ্যাল মিডিয়ার উপর নিয়মিত নজর রাখবে। কোনও পোস্টে যদিও কারও বিরুদ্ধে অমাননাকর কোনও মত প্রকাশ করা হয়, তাহলে প্রয়োজনের তাতে কাঁচিও চালাতে পারে পাক সরকার। এমনকী, অভিযুক্তর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপও করা হতে পারে। পাশাপাশি, অশ্লীল বা অশোভন কোনও বিষয়ও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচার করা যাবে না।

 সূত্রের খবর, পাক সরকারের এই পদক্ষেপের নেপথ্যে রয়েছেন PML-N-এর সহ-সভানেত্রী তথা দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের মেয়ে এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের ভাস্তি মারিয়ম নওয়াজ। তার দাবি, সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় তার এমন কিছু ছবি ছড়িয়ে পড়ে, যেগুলি ভুয়ো এবং আপত্তিকর। এই ঘটনা নজরে আসার পরই দেশের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা Federal Investigation Agency (FIA)-এর সঙ্গে যোগাযোগ করেন মারিয়ম। সেখানে তিনি একটি অভিযোগও দায়ের করেন। তারই ভিত্তিতে এবার থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় নজরদারি চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এবং সেই দায়িত্ব দেওয়া হয় FIA-কে।

এই প্রসঙ্গে, মারিয়মকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তাকে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে নিশানা করা হচ্ছে। তিনি বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। এখন তারা কী ব্যবস্থা নেয়, তা দেখার জন্যই অপেক্ষা করছেন প্রধানমন্ত্রীর ভাইঝি।

এই বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ করার জন্য FIA-কে ইতিমধ্যেই একটি নির্দেশ দিয়েছে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সেই নির্দেশিকা হাতে পাওয়ার পরই FIA-এর পক্ষ থেকেও একটি সতর্কবার্তা প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, “সোশ্যাল মিডিয়ায় অসংখ্য ভুয়ো ছবি, ভিডিও প্রকাশ করা হয়। বিষয়টি ইতিমধ্যেই FIA-এর নজরে এসেছে। এর প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করা হয়েছে। যারা এইসব কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে প্রমাণ হাতে এলেই কঠোর পদক্ষেপ করা হবে। তাদের আইন মেনে শাস্তি দেওয়া হবে। এবং মোটা টাকা জরিমানা করা হবে। তাই আমাদের আবেদন, এই ধরনের কাজ থেকে নিজেদের বিরত রাখুন।”

 

তবে, ইতিমধ্যেই এই নির্দেশিকার আওতায় কারও বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়েছে কিনা, সেটা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। অন্যদিকে, সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে সমালোচনাও শুরু হয়ে গিয়েছে। সমালোচক ও বিরোধীদের অভিযোগ, মানুষের কণ্ঠরোধ করতেই এমন ব্যবস্থা শুরু করছে পাক সরকার। সূত্র: টিওআই।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর