ঢাকা ০৩:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সত্যকে মুছে ফেলা যায় না, প্রমাণ হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:১৫:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ মার্চ ২০২২
  • ১১৮ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছিলো, কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়েছে। আসলেই ইতিহাস সব সময় প্রতিশোধ নেয়। সত্যকে মুছে ফেলা যায় না, আজকেই সেটাই প্রমাণ হয়েছে।

রোববার (২৭ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এসএসএফের (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) সদরদপ্তরে ‘মুজিব কর্নার’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ ও জয় বাংলা নিষিদ্ধ ছিল। মুক্তিযুদ্ধের কয়েকটি গান ছিল, যে গানগুলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রেরণা দিত, সেগুলো ছিল নিষিদ্ধ। কোথাও বঙ্গবন্ধুর ছবি থাকলে, সেটা হয় কাগজ দিয়ে বন্ধ করা হতো, না হয় আঙুল দিয়ে ঢেকে রাখা হতো। দেশের মূল ইতিহাসটাকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল।

 

তিনি আরও বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর প্রবাসে ছিলাম রিফিউজি হিসেবে, কিন্তু নাম-পরিচয়টা দিতে পারেনি। কারণ, নিরাপত্তার স্বার্থে যে দেশে আশ্রয় নিয়েছিলাম, তাদের এটাই ছিল নির্দেশ।

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, এই শোক-কষ্ট সহ্য করা কতো কঠিন। তারপরও আমার জীবনের একটা প্রতিজ্ঞা ছিল। জীবনে একদিন না একদিন সময় আসবে। কারণ এতো আত্মত্যাগ কোনো দিন বৃথা যেতে পারে না।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

সত্যকে মুছে ফেলা যায় না, প্রমাণ হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ০৬:১৫:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ মার্চ ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছিলো, কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়েছে। আসলেই ইতিহাস সব সময় প্রতিশোধ নেয়। সত্যকে মুছে ফেলা যায় না, আজকেই সেটাই প্রমাণ হয়েছে।

রোববার (২৭ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এসএসএফের (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) সদরদপ্তরে ‘মুজিব কর্নার’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ ও জয় বাংলা নিষিদ্ধ ছিল। মুক্তিযুদ্ধের কয়েকটি গান ছিল, যে গানগুলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রেরণা দিত, সেগুলো ছিল নিষিদ্ধ। কোথাও বঙ্গবন্ধুর ছবি থাকলে, সেটা হয় কাগজ দিয়ে বন্ধ করা হতো, না হয় আঙুল দিয়ে ঢেকে রাখা হতো। দেশের মূল ইতিহাসটাকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল।

 

তিনি আরও বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর প্রবাসে ছিলাম রিফিউজি হিসেবে, কিন্তু নাম-পরিচয়টা দিতে পারেনি। কারণ, নিরাপত্তার স্বার্থে যে দেশে আশ্রয় নিয়েছিলাম, তাদের এটাই ছিল নির্দেশ।

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, এই শোক-কষ্ট সহ্য করা কতো কঠিন। তারপরও আমার জীবনের একটা প্রতিজ্ঞা ছিল। জীবনে একদিন না একদিন সময় আসবে। কারণ এতো আত্মত্যাগ কোনো দিন বৃথা যেতে পারে না।