মেঘনার চরে মাচায় মাচায় ঝুলছে চিচিংগা

হাওর বার্তা ডেস্কঃ লক্ষ্মীপুরে মেঘনার জেগে ওঠা চরের প্রায় ৫০ একর জমিতে সবজি (চিচিংগা) চাষ করে সবুজ বিপ্লব ঘটালেন স্থানীয় ১২ জন কৃষক। বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে চিচিংগা চাষ করে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন এখন এসব প্রান্তিক কৃষকের।

ফসলের ভালো উৎপাদনের লক্ষ্যে পরিচর্যা ও বাজারজাত করণে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। এই সবজি কীটনাশকমুক্ত ও সুস্বাদু হওয়ায় স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে অন্য জেলায় সরবরাহের আশাবাদী চাষিরা। এদিকে কৃষি উৎপাদন বাড়াতে কৃষকদের প্রয়োজনীয় সব সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় কৃষি বিভাগ।

জানা যায়, মেঘনা উপকূলীয় জেলা লক্ষ্মীপুরের উত্তর চর মেঘায় জেগে ওঠা নতুন চর এটি। সদর উপজেলার চর রমণী মোহনে অবস্থিত এ চর। এই চরে প্রায় ৫০ একর জমিজুড়ে কৃষকরা শীত মৌসুমে শশা, চিচিংগা, শিম, খিরা, মরিচসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি আবাদ করেছেন। চিচিংগা উচ্চফলনশীল, কম খরচ ও স্বল্প সময়ে অধিক লাভজনক ফসল হওয়ায় চাষিরা এই সবজি চাষ করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন। চলতি বছর শুধু চর মেঘায় ৫০ একর জমিতে চিচিংগা চাষ হয়েছে। এ থেকে কোটি টাকা আয়ের স্বপ্ন দেখছেন চাষিরা।

কৃষকরা বলেন, মেঘনার বুকে বেশ কয়েকটি চর জেগেছে। মূল ভূখণ্ড থেকে চরগুলো বিচ্ছিন্ন। মাটি এবং আবহাওয়া সবজি আবাদের জন্য বেশ উপযোগী। গত ৪ বছর ধরে চরের জমিতে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করা হচ্ছে। আমাদের নিজস্ব পদ্ধতিতে চাষাবাদ করে সাফল্য পেয়েছি। প্রত্যেকের প্রায় ৫০ লাখ টাকা করে খরচ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে পুরো মৌসুমে একেকজনের ৭০ থেকে ৮০ লাখ টাকার সবজি বিক্রি হবে।

 লক্ষ্মীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পচিালক ড. জাকির হোসেন বলেন, বিচ্ছিন্ন চরে সবজি আবাদে কৃষকরা সফল হচ্ছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর