নেত্রকোনা জেলা প্রতিনিধিঃ নেত্রকোনার খালিয়াজুরিতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় মো. আরিফুল ইসলাম (২৭) নামের এক লাইনম্যানকে পিটিয়ে অজ্ঞান করেছে গ্রাহক। এ ঘটনায় মদন পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির জোনাল অফিসের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (এজিএম) মো. নাজমুল হাসান বাদি হয়ে বুধবার খালিয়াজুরি থানায় মামলা করেছেন।
পুলিশ অভিযুক্ত গ্রাহক হারুন আলম শাহকে (৩৮) গ্রেপ্তার করে বুধবার আদালতে সোপর্দ করেছে। মঙ্গলবার বিকেলে নেত্রকোনার খালিয়াজুরি উপজেলার নূরপুর গ্রামে এমন ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার খালিয়াজুরি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোকন কুমার সাহা এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান,‘মামলার প্রধান আসামি হারুন আলমকে গ্রেপ্তার করে বুধবার আদালতের পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিরা গা ঢাকা দিয়েছে। তবে তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে।’
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন সূত্রে জানা গেছে, মদন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জোনাল অফিস থেকে খালিয়াজুরি উপজেলার নূরপুর বোয়ালী গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ হয়। গত আট মাস ধরে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করেননি হারুন আলম শাহ। বকেয়া বিল না দেওয়ায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে মঙ্গলবার দুপুরে নূরপুর বোয়ালী গ্রামে যান মদন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির একটি দল। এ দলে এজিএম নাজমুল হাসান, সহকারী জুনিয়র প্রকৌশলী মাসুদ করিম ও লাইনম্যান আরিফুল ইসলামসহ আরও কয়েকজন ছিলেন। সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পর ক্ষোভে লাইনম্যান আরিফুলের ওপর হামলা চালায় হারুন আলম শাহ ও তার চাচাতো ভাই শামীমসহ আরও কয়েকজন। তাদের মারধরে ঘটনাস্থলে অজ্ঞান হয়ে পড়েন লাইনম্যান আরিফুল।
এ সময় অভিযুক্তরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এজিএমসহ অন্যদের ওপর হামলার চেষ্টা চালায়। তবে স্থানীয়রা এসে তাদের থেকে উদ্ধার করে। পরে আহত লাইনম্যানকে উদ্ধার করে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। এ ঘটনায় রাতেই এজিএম নাজমুল হাসান বাদী হয়ে তিন জনের নাম উল্লেখসহ আরও ৫-৬ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে খালিয়াজুরি থানায় মামলা করেন।
মদন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মো. ফিরোজ হোসেন বলেন, গত আট মাসের বিল বাকি হারুন আলম শাহের। বকেয়া পরিশোধ না করায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে গেলে লাইনম্যান আরিফুলের ওপর হামলা চালায় তারা। আরিফুল বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ ঘটনায় মামলা করা হয়েছে।