ঢাকা ১২:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থানে না যাওয়ার ব্যাখ্যা দিলেন আসিফ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:১৮:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪
  • ১৭ বার

রাজধানীতে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের সঙ্গে কবি নজরুল সরকারি কলেজ, সোহরাওয়ার্দী কলেজসহ বেশ কয়েকটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মারাত্মক সংঘর্ষ হয়েছে আজ। এরই মধ্যে বেশ কয়েকজনের নিহতের খবর পাওয়া গেছে। এই সংঘর্ষ কেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঠেকাতে পারেনি তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।

আজ সোমবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে আসিফ লিখেছেন, ‘শত চেষ্টার পরেও, বসে সমাধান করার আহ্বান জানানোর পরেও শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে জড়ানো থেকে আটকানো গেল না। এগ্রেসিভনেস (আক্রমণাত্মক মনোভব) ও প্রস্তুতি দেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও স্ট্রিক্ট অ্যাকশনে (কঠোর অবস্থানে) যায়নি। কোনো প্রকার অ্যাকশনে গেলেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং ছাত্রদের মধ্যে সংঘর্ষ ও রক্তপাত হতো।’

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা আসিফ মাহমুদ এই ঘটনায় পদক্ষেপ নেওয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন, ‘সকল পক্ষকে ধৈর্য্য ধরার আহ্বান জানাচ্ছি। একত্রে দেশ গড়ার সময়ে সংঘর্ষের মতো নিন্দনীয় কাজে জড়ানো দুঃখজনক। এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

প্রসঙ্গত, মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের সঙ্গে কবি নজরুল সরকারি কলেজ, সোহরাওয়ার্দী কলেজের সংঘাতের সূত্রপাত হয় গতকাল। ভুল চিকিৎসায় অভিজিৎ হাওলাদার নামের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর অভিযোগের জেরে রবিবার পুরান ঢাকার ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালায় মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীরা। প্রত্যক্ষদর্শী ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আগের দিনের হামলার জের ধরে আজ মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে হামলা চালানো হয়।

সোমবার দুপুর ১২টার দিকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল কলেজের শত শত শিক্ষার্থী গিয়ে মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে হামলা চালায়। ওই সময় মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থী, স্থানীয় জনতা এবং শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ চলে। এর আগে সকাল ১০টা থেকে কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা বাহাদুর শাহ পার্কের সামনে লাঠিসোঁটা নিয়ে জড়ো হতে থাকে।

পুলিশ সদস্যরা জানিয়েছেন, ডেমরার উদ্দেশে রওনা হওয়া কলেজ শিক্ষার্থীদের ঠেকাতে যাত্রাবাড়ীতে ব্যারিকেড দেন তারা। তবে সেই ব্যারিকেড ভেঙেই ডেমরা এলাকায় গিয়ে মোল্লা কলেজে হামলা ও ভাঙচুর চালায় তারা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থানে না যাওয়ার ব্যাখ্যা দিলেন আসিফ

আপডেট টাইম : ০৬:১৮:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

রাজধানীতে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের সঙ্গে কবি নজরুল সরকারি কলেজ, সোহরাওয়ার্দী কলেজসহ বেশ কয়েকটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মারাত্মক সংঘর্ষ হয়েছে আজ। এরই মধ্যে বেশ কয়েকজনের নিহতের খবর পাওয়া গেছে। এই সংঘর্ষ কেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঠেকাতে পারেনি তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।

আজ সোমবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে আসিফ লিখেছেন, ‘শত চেষ্টার পরেও, বসে সমাধান করার আহ্বান জানানোর পরেও শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে জড়ানো থেকে আটকানো গেল না। এগ্রেসিভনেস (আক্রমণাত্মক মনোভব) ও প্রস্তুতি দেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও স্ট্রিক্ট অ্যাকশনে (কঠোর অবস্থানে) যায়নি। কোনো প্রকার অ্যাকশনে গেলেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং ছাত্রদের মধ্যে সংঘর্ষ ও রক্তপাত হতো।’

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা আসিফ মাহমুদ এই ঘটনায় পদক্ষেপ নেওয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন, ‘সকল পক্ষকে ধৈর্য্য ধরার আহ্বান জানাচ্ছি। একত্রে দেশ গড়ার সময়ে সংঘর্ষের মতো নিন্দনীয় কাজে জড়ানো দুঃখজনক। এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

প্রসঙ্গত, মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের সঙ্গে কবি নজরুল সরকারি কলেজ, সোহরাওয়ার্দী কলেজের সংঘাতের সূত্রপাত হয় গতকাল। ভুল চিকিৎসায় অভিজিৎ হাওলাদার নামের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর অভিযোগের জেরে রবিবার পুরান ঢাকার ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালায় মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীরা। প্রত্যক্ষদর্শী ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আগের দিনের হামলার জের ধরে আজ মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে হামলা চালানো হয়।

সোমবার দুপুর ১২টার দিকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল কলেজের শত শত শিক্ষার্থী গিয়ে মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে হামলা চালায়। ওই সময় মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থী, স্থানীয় জনতা এবং শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ চলে। এর আগে সকাল ১০টা থেকে কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা বাহাদুর শাহ পার্কের সামনে লাঠিসোঁটা নিয়ে জড়ো হতে থাকে।

পুলিশ সদস্যরা জানিয়েছেন, ডেমরার উদ্দেশে রওনা হওয়া কলেজ শিক্ষার্থীদের ঠেকাতে যাত্রাবাড়ীতে ব্যারিকেড দেন তারা। তবে সেই ব্যারিকেড ভেঙেই ডেমরা এলাকায় গিয়ে মোল্লা কলেজে হামলা ও ভাঙচুর চালায় তারা।