চাকরি পাচ্ছেন ভাতের বিনিময়ে পড়াতে চাওয়া আলমগীর

হাওর বার্তা ডেস্কঃ অবশেষে চাকরি পাচ্ছেন ভাতের বিনিময়ে পড়াতে চাওয়া বগুড়ার সেই আলমগীর হোসাইন। কয়েকটি স্বনামধন্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আলমগীরকে চাকরি দেওয়ার প্রস্তাব করেছে বলে জানিয়েছেন বগুড়ার পুলিশ সুপার (এসপি) সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী।

সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বলেন, আলমগীর হোসাইনকে আমার কার্যালয়ে ডেকে এনে কথা বলেছি। তাকে চাকরি দেওয়ার জন্য সুপার শপ ‘স্বপ্ন’ ও ‘স্কয়ার’সহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান আমার মাধ্যমে যোগাযোগ করেছে। এর মধ্যে ‘স্বপ্ন’ যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি দিতে সাক্ষাৎকারের উদ্যোগ নিয়েছে। তারা আজই আলমগীরের চাকরির বিষয়ে জানাবে। তবে কোনো বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে ছেলেটি এই বিজ্ঞাপন দিয়েছে বলে মনে হয়নি। এছাড়া গোয়েন্দা তথ্যেও তার সম্পর্কে অপরাধের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে তার মুঠোফোনের কলরেকর্ডসহ সবকিছু তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

আলমগীর হোসাইন বলেন, পুলিশ আমাকে খুঁজে পাচ্ছে না, এমন তথ্যে কয়েকটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে বলা হয়। পরে আমি নিজেই পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করি। এরপর এসপিসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কয়েক ঘণ্টা নানা বিষয়ে আমার সঙ্গে কথা বলেন। সব জেনে এসপি স্যার চাকরির প্রস্তাব দেন।

বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর করা আলমগীর হোসাইন ‘দুবেলা ভাতের বিনিময়ে পড়াতে চাই’ ও নিজেকে বেকার পরিচয় দিয়ে শহরের জহুরুলনগরের বাড়ির দেয়াল ও বিদ্যুতের খুঁটিতে কয়েকটি বিজ্ঞাপন সাঁটান। এরপর এগুলো নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়।

আলমগীর হোসাইনের বাড়ি জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের বুড়ইল গ্রামে।  সে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে আজিজুল হক কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে স্নাতকে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অর্জন করেন। পরে স্নাতকোত্তর পরীক্ষাতেও ভালো করেন তিনি। শেষে নানা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও চাকরি পাচ্ছিলেন না।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর