হাওর বার্তা ডেস্কঃ প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গঠনে সবার নিরলস প্রয়াস অব্যাহত রাখতে হবে। ১০ জানুয়ারি (সোমবার) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। প্রেসিডেন্ট বলেন, ঐতিহাসিক ১০ জানুয়ারি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। দীর্ঘ ৯ মাস ১৪ দিন পাকিস্তানের কারাগারে বন্দিজীবন শেষে ১৯৭২ সালের এই দিনে জাতির পিতা স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেন। তিনি জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। -বাসস
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে ঐতিহাসিক ভাষণে প্রকারান্তরে তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। বজ্রকণ্ঠে তার উচ্চারণ, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাঙালি নিধনযজ্ঞের নীলনকশা ‘অপারেশন সার্চলাইট’ এর মাধ্যমে গণহত্যা শুরু করে। এ প্রেক্ষাপটে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং সর্বস্তরের জনগণকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার ডাক দেন। চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত তিনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান। আবদুল হামিদ বলেন, এরপরই পাকিস্তানি জান্তারা বঙ্গবন্ধুকে তার ধানমন্ডির ৩২ নম্বর রোডের বাসা থেকে গ্রেফতার করে এবং তদানীন্তন পশ্চিম পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি করে রাখে। বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে তাকে নেতৃত্বের আসনে রেখেই মুক্তিযুদ্ধ চলতে থাকে। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাঙালি জাতি চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে।
প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি সদ্যস্বাধীন দেশের মাটিতে পা রেখেই বঙ্গবন্ধু আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে সমবেত লাখো জনতার উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘আমার জীবনের সাধ আজ পূর্ণ হয়েছে। আমার সোনার বাংলা আজ স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র’। পাকিস্তানে বন্দিকালীন তার ফাঁসির হুকুম হয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধু ছিলেন তার লক্ষ্যে অটল ও অবিচল। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘ফাঁসির মঞ্চে যাওয়ার সময় আমি বলব, আমি বাঙালি, বাংলা আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা, জয় বাংলা’। দেশ ও জনগণের প্রতি এমন অকৃত্রিম ভালোবাসার উদাহরণ বিশ্বে বিরল।