ঢাকা ০৪:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঈশ্বরদীতে ৭০ মেগাওয়াট সোলার বিদ্যুৎকেন্দ্র স্হাপন হচ্ছে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০১:০০:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২১
  • ১৯৪ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পাবনার ঈশ্বরদীতে ৭০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন গ্রিড টাইড সোলার বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন হচ্ছে। যৌথভাবে দাইহান গ্রিন এনার্জি কোম্পানি লিমিটেড, হাই কোরিয়া কোম্পানি লিমিটেড এবং পাবনা সোলার পাওয়ার লিমিটেড প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।

সূত্র জানায়, ২০৪১ সালের মধ্যে সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে বিদ্যুৎ বিভাগ কর্তৃক গৃহীত বিদ্যুৎ উৎপাদনের মহাপরিকল্পনায় ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। একইসঙ্গে বিদ্যুৎ উৎপাদনের নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার বৃদ্ধিও পরিকল্পনা গৃহীত হয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

সূত্র জানায়, বেসরকারি বিল্ড অন অপারেট (বিওও) ভিত্তিতে ইন্ডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসার (আইপিপি) হিসেবে যৌথভাবে দাইহান গ্রিন এনার্জি কোম্পানি লিমিটেড, হাই কোরিয়া কোম্পানি লিমিটেড এবং পাবনা সোলার পাওয়ার লিমিটেড পাবনার ঈশ্বরদীতে ১০০ মেগাওয়াট (এসি) ক্ষমতার গ্রিড টাইড সোলার বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে মার্কিন সেন্ট ১৫.৫/কিলোওয়াট ঘণ্টা সমতুল্য বাংলাদেশি মুদ্রায় ১২.৪০টাকা/কিলোওয়াট ঘণ্টা ট‌্যারিফসহ প্রস্তাব দাখিল করে।

স্পন্সরের দাখিলকৃত প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে পরিদর্শন কমিটি সরেজমিনে সাইট পরিদর্শন করে। পরে তারা প্রস্তাবিত ৫৩৯.১৩৬ একর জমির মধ্যে ১৮২.১১ একর জমিতে সোলার বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের সুপারিশ করে। জমি প্রাপ্তির নিশ্চয়তা, প্রকল্প স্থানে ভূমি উন্নয়ন, মালামাল পরিবহন এবং পাওয়ার ইভ্যাকুয়েশন প্রভৃতি বিবেচনা করে ২০২১ সালের ২ জুন সুপারিশসহ প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। দাখিলকৃত প্রস্তাবটি কারিগরি কমিটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আর্থিক, বাণিজ্যিক এং কারিগরিভাবে বিবেচনাযোগ্য প্রতীয়মান হয়। ২০২১ সালের ১৮ জুলাই ভূমি/সাইট পরিদর্শন কমিটির প্রস্তাবিত ১৮২.১১ একর জমিতে ৭০ মেগাওয়াট ক্ষমতার সোলার বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা যায় মর্মে প্রতিবেদন দেওয়া হয়।

প্রস্তাবিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাওয়ার ইভ্যাকুয়েশনের বিষয়ে পিজিসিবি গত ২৯ জুন তারিখের চিঠিতে জানায়,স্পন্সরের নিজ খরচে ঈশ্বরদী ২৩০/১২/৩৩ কেভি এয়ার ইনস্যুরেটেড সাবস্টেশন (এআইএস) ‘বে’ নির্মাণের মাধ্যমে প্রস্তাবিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাওয়ার ইভ্যাকুয়েশন করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদিত বিদ্যুৎ পরিমাপের জন্য স্থাপিতব্য এনার্জি মিটার টি সঞ্চালন লাইনের ঈশ্বরদী ২৩০/১৩২/৩৩ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্র প্রান্তে স্থাপন করতে হবে।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) গত ৯ আগস্ট ১৯০৬ তম সাধারণ সভায় উদ্যোক্তা কনসোর্টিয়াম কর্তৃক পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলায় ৭০ মেগাওয়াট ক্ষমতার গ্রিড ক্ষমতার গ্রিড টাইড সোলার বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের প্রক্রিয়াকরণ কমিটির মাধ্যমে নেগোসিয়েশন করে ট্যারিফ নির্ধারণের সুপারিশসহ ২০২১ সালের ১৭ আগস্ট বিদ্যুৎ বিভাগে প্রস্তাব পাঠায়।

প্রস্তাবটি বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন-২০১০ (সংশোধন ২০২১) আইনের আলোকে স্পন্সরের সঙ্গে নেগোসিয়েশন করে চুক্তি সম্পাদন করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নীতিগত অনুমোদন রয়েছে।

সূত্র জানায়, কারিগরি কমিটির সুপারিশক্রমে প্রস্তাব প্রক্রিয়াকরণ কমিটি কর্তৃক স্পন্সরের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সভায় অভিজ্ঞতা, আর্থিক সক্ষমতা ও কারিগরি যোগ্যতা, জমি সংগ্রহ, প্রকল্প সাইট, প্রকল্পের ইনিশিয়াল এনভায়রনমেন্ট অ্যাসেসমেন্ট (আইইএ), পাওয়ার ইভ্যাকয়েশন, ট্রান্সমিশন লাইন ও সাবস্টেশন সুবিধাদি নির্মাণসহ প্রস্তাব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

আলোচনা শেষে স্পন্সরকে দাখিলকুত ট্র্যারিফ কমানোর জন্য অনুরোধ করা হয়। স্পন্সর কনসোর্টিয়াম প্রাথমিক পর্যায়ের প্রস্তাবিত দর কমিয়ে ইউএস সেন্ট ১০.১৫/কিলোওয়াট ঘণ্টা সমতুল্য টাকা ৮.১২/ কিলোওয়াট ঘণ্টা ট‌্যারিফে ২০২১ সালের ৯ নভেম্বর সর্বশেষ প্রস্তাব দাখিল করে। পরবর্তীতে নেগোসিয়েশন কমিটি এ চুক্তি সম্পাদনের সুপারিশ করে।

সূত্র জানায়, নেগোসিয়েটে ট‌্যারিফ অনুযায়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি থেকে ২০ বছর মেয়াদে ১২ শতাংশ ডিসকাউন্ট ফ্যাক্ট ও ১৮.৫০ শতাংশ প্লান্ট ফ্যাক্টরে প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টা বিদ্যুতের ট‌্যারিফ ৮.১২ টাকা হিসেবে উক্ত কোম্পানিকে আনুমানিক ১৮৪৩ কোটি ২০ লাখ টাকা পরিশোধ করতে হবে।

সংক্রান্ত একটি ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদনের জন্য অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠেয় সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় উপস্থাপন করা হবে বলে সূত্র জানিয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ঈশ্বরদীতে ৭০ মেগাওয়াট সোলার বিদ্যুৎকেন্দ্র স্হাপন হচ্ছে

আপডেট টাইম : ০১:০০:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পাবনার ঈশ্বরদীতে ৭০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন গ্রিড টাইড সোলার বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন হচ্ছে। যৌথভাবে দাইহান গ্রিন এনার্জি কোম্পানি লিমিটেড, হাই কোরিয়া কোম্পানি লিমিটেড এবং পাবনা সোলার পাওয়ার লিমিটেড প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।

সূত্র জানায়, ২০৪১ সালের মধ্যে সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে বিদ্যুৎ বিভাগ কর্তৃক গৃহীত বিদ্যুৎ উৎপাদনের মহাপরিকল্পনায় ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। একইসঙ্গে বিদ্যুৎ উৎপাদনের নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার বৃদ্ধিও পরিকল্পনা গৃহীত হয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

সূত্র জানায়, বেসরকারি বিল্ড অন অপারেট (বিওও) ভিত্তিতে ইন্ডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসার (আইপিপি) হিসেবে যৌথভাবে দাইহান গ্রিন এনার্জি কোম্পানি লিমিটেড, হাই কোরিয়া কোম্পানি লিমিটেড এবং পাবনা সোলার পাওয়ার লিমিটেড পাবনার ঈশ্বরদীতে ১০০ মেগাওয়াট (এসি) ক্ষমতার গ্রিড টাইড সোলার বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে মার্কিন সেন্ট ১৫.৫/কিলোওয়াট ঘণ্টা সমতুল্য বাংলাদেশি মুদ্রায় ১২.৪০টাকা/কিলোওয়াট ঘণ্টা ট‌্যারিফসহ প্রস্তাব দাখিল করে।

স্পন্সরের দাখিলকৃত প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে পরিদর্শন কমিটি সরেজমিনে সাইট পরিদর্শন করে। পরে তারা প্রস্তাবিত ৫৩৯.১৩৬ একর জমির মধ্যে ১৮২.১১ একর জমিতে সোলার বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের সুপারিশ করে। জমি প্রাপ্তির নিশ্চয়তা, প্রকল্প স্থানে ভূমি উন্নয়ন, মালামাল পরিবহন এবং পাওয়ার ইভ্যাকুয়েশন প্রভৃতি বিবেচনা করে ২০২১ সালের ২ জুন সুপারিশসহ প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। দাখিলকৃত প্রস্তাবটি কারিগরি কমিটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আর্থিক, বাণিজ্যিক এং কারিগরিভাবে বিবেচনাযোগ্য প্রতীয়মান হয়। ২০২১ সালের ১৮ জুলাই ভূমি/সাইট পরিদর্শন কমিটির প্রস্তাবিত ১৮২.১১ একর জমিতে ৭০ মেগাওয়াট ক্ষমতার সোলার বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা যায় মর্মে প্রতিবেদন দেওয়া হয়।

প্রস্তাবিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাওয়ার ইভ্যাকুয়েশনের বিষয়ে পিজিসিবি গত ২৯ জুন তারিখের চিঠিতে জানায়,স্পন্সরের নিজ খরচে ঈশ্বরদী ২৩০/১২/৩৩ কেভি এয়ার ইনস্যুরেটেড সাবস্টেশন (এআইএস) ‘বে’ নির্মাণের মাধ্যমে প্রস্তাবিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাওয়ার ইভ্যাকুয়েশন করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদিত বিদ্যুৎ পরিমাপের জন্য স্থাপিতব্য এনার্জি মিটার টি সঞ্চালন লাইনের ঈশ্বরদী ২৩০/১৩২/৩৩ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্র প্রান্তে স্থাপন করতে হবে।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) গত ৯ আগস্ট ১৯০৬ তম সাধারণ সভায় উদ্যোক্তা কনসোর্টিয়াম কর্তৃক পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলায় ৭০ মেগাওয়াট ক্ষমতার গ্রিড ক্ষমতার গ্রিড টাইড সোলার বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের প্রক্রিয়াকরণ কমিটির মাধ্যমে নেগোসিয়েশন করে ট্যারিফ নির্ধারণের সুপারিশসহ ২০২১ সালের ১৭ আগস্ট বিদ্যুৎ বিভাগে প্রস্তাব পাঠায়।

প্রস্তাবটি বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন-২০১০ (সংশোধন ২০২১) আইনের আলোকে স্পন্সরের সঙ্গে নেগোসিয়েশন করে চুক্তি সম্পাদন করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নীতিগত অনুমোদন রয়েছে।

সূত্র জানায়, কারিগরি কমিটির সুপারিশক্রমে প্রস্তাব প্রক্রিয়াকরণ কমিটি কর্তৃক স্পন্সরের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সভায় অভিজ্ঞতা, আর্থিক সক্ষমতা ও কারিগরি যোগ্যতা, জমি সংগ্রহ, প্রকল্প সাইট, প্রকল্পের ইনিশিয়াল এনভায়রনমেন্ট অ্যাসেসমেন্ট (আইইএ), পাওয়ার ইভ্যাকয়েশন, ট্রান্সমিশন লাইন ও সাবস্টেশন সুবিধাদি নির্মাণসহ প্রস্তাব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

আলোচনা শেষে স্পন্সরকে দাখিলকুত ট্র্যারিফ কমানোর জন্য অনুরোধ করা হয়। স্পন্সর কনসোর্টিয়াম প্রাথমিক পর্যায়ের প্রস্তাবিত দর কমিয়ে ইউএস সেন্ট ১০.১৫/কিলোওয়াট ঘণ্টা সমতুল্য টাকা ৮.১২/ কিলোওয়াট ঘণ্টা ট‌্যারিফে ২০২১ সালের ৯ নভেম্বর সর্বশেষ প্রস্তাব দাখিল করে। পরবর্তীতে নেগোসিয়েশন কমিটি এ চুক্তি সম্পাদনের সুপারিশ করে।

সূত্র জানায়, নেগোসিয়েটে ট‌্যারিফ অনুযায়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি থেকে ২০ বছর মেয়াদে ১২ শতাংশ ডিসকাউন্ট ফ্যাক্ট ও ১৮.৫০ শতাংশ প্লান্ট ফ্যাক্টরে প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টা বিদ্যুতের ট‌্যারিফ ৮.১২ টাকা হিসেবে উক্ত কোম্পানিকে আনুমানিক ১৮৪৩ কোটি ২০ লাখ টাকা পরিশোধ করতে হবে।

সংক্রান্ত একটি ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদনের জন্য অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠেয় সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় উপস্থাপন করা হবে বলে সূত্র জানিয়েছে।