বিজয় দাস,নেত্রকোনা প্রতিনিধিঃ এলাকার জনগণের নিরাপদ জীবন যাপনের জন্য জরুরি। ভেজাল খাদ্য ও মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধের মজুদ ও ক্রয়-বিক্রয়ের বিরুদ্ধে শাস্তি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ সরকার। সেই সাথে ভেজাল রোধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা। তবুও ঠেকানো যাচ্ছেনা ভেজাল ওষুধের বিস্তার। ভেজাল খাদ্য ও মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষুধ দেদারছে বিক্রি হচ্ছে নেত্রকোনো সদরসহ জেলার দশ উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে।
জানা যায়, সম্প্রতি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পক্ষ হতে বারহাট্টা উপজেলার ফকিরের বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় তম্বী মেডিক্যাল হল নামে এক ঔষধের দোকানেই পাওয়া যায় ৬২ বাক্স মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ। একটি বাক্সের ঔষধের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে ২০১৭ সালে। জেলার সকল বাজের একই অবস্থা।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ শাহ আলম জেলার বিভিন্ন ঔষুধের দোকান, মুদি দোকান ও হোটেল-রেস্তোরায় মেয়াদোত্তীর্ণ ও ভেজাল পণ্য মজুদ রাখা ও বিক্রয়ের কথা স্বীকার করেন। তিনি কালের কন্ঠকে বলেন, ভেজাল রোধে আমরা প্রতিদিনই জেলার কোথাও-না-কোথাও অভিযান পরিচালনা ও দোষীদের জরিমানা করছি। জেলা শহর বা উপজেলা সদরের বাইরে ভেজাল বেশি। ভেজালের মধ্যে জীবন রক্ষাকারী ঔষুধও রয়েছে।
নেত্রকোনার সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ সেলিম মিয়া বলেন, ‘ভেজাল খাদ্য গ্রহণ করলে পেটে বিষক্রিয়ায় কিডনি ড্যামেজ পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে। মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ বিষের নামান্তর।