দুই সপ্তাহ পর সেই নারী সার্জেন্টের মামলা নিল পুলিশ

হাওর বার্তা ডেস্কঃ এক বিচারপতির ছেলের প্রাইভেটকারের চাপায় বিজিবির অবসরপ্রাপ্ত সদস্য মনোরঞ্জন হাজং এর পা হারানোর ঘটনায় দ্বারে দ্বারে ঘোরার পর অবশেষে মেয়ে ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট মহুয়া হাজংয়ের মামলা গ্রহণ করেছে বনানী থানা।

বৃহস্পতিবার মামলাটি গ্রহণ করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার মো. আসাদুজ্জামান।তিনি গণমাধ্যমকে জানান, বনানী থানায় মামলাটি গ্রহণ করা হয়েছে।

একজন পুলিশ কর্মকর্তা হয়েও মহুয়া তার বাবার দুর্ঘটনার মামলা দায়ের করতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছিলেন। এ নিয়ে দেশব্যাপী তীব্র সমালোচনার মুখে ঘটনার দুই সপ্তাহ পর মহুয়ার মামলা নিল থানা পুলিশ।

গত ২ ডিসেম্বর মনোরঞ্জন মোটরসাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন বনানী চেয়ারম্যানবাড়ি ইউলুপে।এ সময় একটি প্রাইভেটকার তাকে চাপা দিয়ে চলে যায়।এতে মারাত্মক আহত হন মনোরঞ্জন। হাসপাতালে নেওয়ার পর প্রথমে তার ডান পায়ের গোড়ালি পর্যন্ত এবং পরে সংক্রমণ হওয়ায় হাঁটু পর্যন্ত কেটে ফেলতে হয়েছে।আগে থেকেই হার্টের রোগী অবসরপ্রাপ্ত এই বিজিবি সদস্যকে আইসিইউতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

এদিকে দুর্ঘটনার পরই মামলা করতে বহুবার চেষ্টা করেন মনোরঞ্জনের মেয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্ট মহুয়া হাজং।কিন্তু মামলা নেওয়া হচ্ছিল না। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া, গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন জায়গায় তীব্র সমালোচনা শুরু হয়।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই দুর্ঘটনার পর প্রাইভেটকারের চালক যুবককে আটক করেও পুলিশ ছেড়ে দেয়।মহুয়া মামলার আবেদনে গাড়িচালক যুবকের নাম উল্লেখ করার পর তাকে নামটি বাদ দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় বনানী থানা থেকে। কিন্তু মহুয়া তাতে রাজি হনননি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের গুলশান বিভাগের ডিসি আসাদুজ্জামান যুগান্তরকে বলেন, ‘মামলার বাদী যেভাবে এজাহার লিখেছেন, সেভাবেই মামলা রেকর্ড করা হচ্ছে।’

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর