ঢাকা ০৩:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

একাধিক উপকারিতা মিলবে সুপারফুড পালংশাকে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:১৪:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২১
  • ১৬৯ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ শীতকাল মানেই পুষ্টিগুণে ভরপুর বিভিন্ন শাক-সবজির সমাহার। এখন বাজারে গেলেই দেখা মেলে রঙ-বেরঙের নানান ধরনের শাক-সবজির। যা শীতকাল ছাড়া অন্য মৌসুমে পাওয়া কঠিন। শীতকালে খাওয়া-দাওয়ার আনন্দই আলাদা। এই সময় যেসব ফল ও সবজি পাওয়া যায়, তা শরীরের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী হয়। তেমনি একটি উপকারী শাক হচ্ছে পালংশাক। যাকে সুপারফুডও বলা হয়ে থাকে।

সতেজ, সবুজ পালংশাক পুষ্টিকর উপাদানের ভাণ্ডার। পালকে ২৩ ক্যালোরি থাকে, এতে জল থাকে ৯১ শতাংশ। পালংশাকে প্রোটিনের পরিমাণ ২.৯ গ্রাম, কার্বস থাকে ৩.৬ গ্রাম, ২.২ গ্রাম ফাইবার ও ০.৪ গ্রাম ফ্যাট থাকে। এছাড়াও ভিটামিন এ, সি, কে১, ফোলিক অ্যাসিড, আয়রন ও ক্যালশিয়াম থাকে এই শাকে।

শীতকালে পালংশাক খেলে শরীর কী কী উপকার লাভ করে চলুন জেনে নেয়া যাক-

হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি করে

যে ব্যক্তির হিমোগ্লোবিনের স্তর কম, সেই জাতকদের নিজের খাদ্য তালিকায় অবশ্যই পালংশাক অন্তর্ভূক্ত করা উচিত। লোহিত রক্তকণিকা বৃদ্ধিতে সহায়ক ফোলেট পালংশাকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে উপস্থিত থাকে।

চোখের জন্য উপকারী

জ্যাক্সেন্থিন ও ল্যুটিনে সমৃদ্ধ পালংশাক। এতে উপস্থিত ক্যারোটিনয়েড যা ক্ষতির হাত থেকে চোখকে বাঁচায়। একাধিক সমীক্ষা অনুযায়ী জ্যাক্সেন্থিন ও ল্যুটিন ছানি থেকে চোখকে রক্ষা করে। পালংশাকে উপস্থিত ভিটামিন এ মিউকাস মেমব্রেন বজায় রাখতে সাহায্য করে। চোখের রশ্মির জন্য এটি উপযোগী।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে

শীতকালে সর্দি-কাশির সমস্যা সাধারণ। তাই এ সময় বেশি করে পালংশাক খাওয়া উচিত। কারণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এই শাকটি। বিটা ক্যারোটিনের পাশাপাশি সমস্ত ধরনের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে পালংশাকে। আবার ভিটামিন সি-তে পরিপূর্ণ হওয়ায় সংক্রমণ মোকাবিলায় শরীরকে সাহায্য করে।

উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য উপকারী

পালকে প্রচুর পরিমাণে নাইট্রেট থাকে, যা রক্তচাপের ভারসাম্য বজায় রাখে এবং হৃদরোগ থেকে রক্ষা করে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, পালংশাক খেলে রক্তচাপের স্তর কমতে থাকে, হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখে। এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে ও সোডিয়াম থাকে কম পরিমাণে। তাই উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের পালংশাক খাওয়া উচিত।

ক্যান্সার রোধ করে

পালকে এমজিডিজি ও এসকিউডিজির মতো যৌগ থাকে, যা ক্যান্সার বৃদ্ধির গতিকে আটকে দেয়। সমীক্ষা অনুযায়ী টিউমারের আকৃতি কম করতে এই যৌগ সাহায্য করে থাকে। আবার পুরুষদের প্রস্টেট ক্যান্সারের সম্ভাবনাকেও কম করে পালংশাক। এছাড়াও ব্রেস্ট ক্যান্সার থেকেও রক্ষা করে। পালংশাকে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সার মোকাবিলায় সাহায্য করে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

একাধিক উপকারিতা মিলবে সুপারফুড পালংশাকে

আপডেট টাইম : ০৯:১৪:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ শীতকাল মানেই পুষ্টিগুণে ভরপুর বিভিন্ন শাক-সবজির সমাহার। এখন বাজারে গেলেই দেখা মেলে রঙ-বেরঙের নানান ধরনের শাক-সবজির। যা শীতকাল ছাড়া অন্য মৌসুমে পাওয়া কঠিন। শীতকালে খাওয়া-দাওয়ার আনন্দই আলাদা। এই সময় যেসব ফল ও সবজি পাওয়া যায়, তা শরীরের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী হয়। তেমনি একটি উপকারী শাক হচ্ছে পালংশাক। যাকে সুপারফুডও বলা হয়ে থাকে।

সতেজ, সবুজ পালংশাক পুষ্টিকর উপাদানের ভাণ্ডার। পালকে ২৩ ক্যালোরি থাকে, এতে জল থাকে ৯১ শতাংশ। পালংশাকে প্রোটিনের পরিমাণ ২.৯ গ্রাম, কার্বস থাকে ৩.৬ গ্রাম, ২.২ গ্রাম ফাইবার ও ০.৪ গ্রাম ফ্যাট থাকে। এছাড়াও ভিটামিন এ, সি, কে১, ফোলিক অ্যাসিড, আয়রন ও ক্যালশিয়াম থাকে এই শাকে।

শীতকালে পালংশাক খেলে শরীর কী কী উপকার লাভ করে চলুন জেনে নেয়া যাক-

হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি করে

যে ব্যক্তির হিমোগ্লোবিনের স্তর কম, সেই জাতকদের নিজের খাদ্য তালিকায় অবশ্যই পালংশাক অন্তর্ভূক্ত করা উচিত। লোহিত রক্তকণিকা বৃদ্ধিতে সহায়ক ফোলেট পালংশাকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে উপস্থিত থাকে।

চোখের জন্য উপকারী

জ্যাক্সেন্থিন ও ল্যুটিনে সমৃদ্ধ পালংশাক। এতে উপস্থিত ক্যারোটিনয়েড যা ক্ষতির হাত থেকে চোখকে বাঁচায়। একাধিক সমীক্ষা অনুযায়ী জ্যাক্সেন্থিন ও ল্যুটিন ছানি থেকে চোখকে রক্ষা করে। পালংশাকে উপস্থিত ভিটামিন এ মিউকাস মেমব্রেন বজায় রাখতে সাহায্য করে। চোখের রশ্মির জন্য এটি উপযোগী।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে

শীতকালে সর্দি-কাশির সমস্যা সাধারণ। তাই এ সময় বেশি করে পালংশাক খাওয়া উচিত। কারণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এই শাকটি। বিটা ক্যারোটিনের পাশাপাশি সমস্ত ধরনের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে পালংশাকে। আবার ভিটামিন সি-তে পরিপূর্ণ হওয়ায় সংক্রমণ মোকাবিলায় শরীরকে সাহায্য করে।

উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য উপকারী

পালকে প্রচুর পরিমাণে নাইট্রেট থাকে, যা রক্তচাপের ভারসাম্য বজায় রাখে এবং হৃদরোগ থেকে রক্ষা করে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, পালংশাক খেলে রক্তচাপের স্তর কমতে থাকে, হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখে। এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে ও সোডিয়াম থাকে কম পরিমাণে। তাই উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের পালংশাক খাওয়া উচিত।

ক্যান্সার রোধ করে

পালকে এমজিডিজি ও এসকিউডিজির মতো যৌগ থাকে, যা ক্যান্সার বৃদ্ধির গতিকে আটকে দেয়। সমীক্ষা অনুযায়ী টিউমারের আকৃতি কম করতে এই যৌগ সাহায্য করে থাকে। আবার পুরুষদের প্রস্টেট ক্যান্সারের সম্ভাবনাকেও কম করে পালংশাক। এছাড়াও ব্রেস্ট ক্যান্সার থেকেও রক্ষা করে। পালংশাকে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সার মোকাবিলায় সাহায্য করে।