হাওর বার্তা ডেস্কঃ কুড়িগ্রামে এবার শসার বাম্পার ফলন হয়েছে। ছাড়িয়েছে লক্ষ্যমাত্রা। তবে শীত বেড়ে যাওয়া আর বাজারে শসার চাহিদা না থাকায় দাম নিয়ে হতাশ চাষিরা। বর্তমানে প্রতি মণ শসা ১৫০-২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া খুচরা প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে পাঁচ-সাত টাকায়।
শনিবার বিকেলে সদর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী যাত্রাপুর হাটে প্রতি মণ শসা ১৫০-২০০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে চাষিদের। তবে এখানকার শসা দেশের বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে।
সদরের ঘোগাদহ ইউনিয়ন থেকে যাত্রাপুর হাটে শসা বিক্রি করতে আসা বেলাল হোসেন বলেন, আমি দেড় বিঘা জমিতে শসা আবাদ করেছি। ফলনও ভালো হয়েছে। বাজারে চাহিদা না থাকায় পাইকাররা শসা কিনছেন না।
তিনি বলেন, শসার মণ ১০০ টাকায় দিতে চাই, তাও নেয় না। কোনো উপায় না পেয়ে পাঁচ টাকা কেজিতে খুচরা বিক্রি করছি, তাও মানুষ নিচ্ছে না। কিছু বিক্রি করছি অবশ্য আর বাকিটা বিক্রি না হলে বাড়িতে নিয়ে যাবো। শীতকাল এসেই শসার চাহিদাটা কমে গেছে। কয়েক দিন আগেও ৫০০-৬০০ টাকা মণ বিক্রি করলাম।
পাঁচগাছী ইউনিয়ন থেকে আসা রফিকুল বলেন, আমি এক বিঘা জমিতে শসা আবাদ করেছি। কয়েক দিন আগ পর্যন্ত বাজার ভালো থাকায় আমার আসল টাকা তুলেছি। হাটে চাহিদা না থাকায় আজ হাটে ৫ থেকে ৭ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। কপাল ভালো আগেই আসল টাকা তুলতে পেরেছি। এখন যা আসে আসুক।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন বলেন, বর্তমানে বাজারে শসার উৎপাদন বেশি আর শীতকালে চাহিদা কম থাকায় হয়তোবা দামটা একটু কম। তবে ওই দিকের কৃষকরা শহরে মার্কেটিং করতে না পারা দাম কমের একটা কারণ।