খালেদা জিয়ার টার্গেট সব সময় আমি আ.লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী

হাওর বার্তা ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জিয়া, এরশাদ ও খালেদা সবাই ১৫ আগস্ট খুনিদের মদদ দিয়েছেন। তাদের পুনর্বাসন করেছেন। আর খালেদা জিয়ার টার্গেট সব সময় আমি। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, আমি প্রধানমন্ত্রী কেন বিরোধীদলীয় নেতাও হতে পারব না। শত বছরেও ক্ষমতায় আসতে পারব না। এসব ঘোষণার পরই হামলা। গ্রেনেড হামলা!
গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গণভবনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকের শুরুতে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, গরীবের টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করা বিএনপিকে কোন আশায় মানুষ ভোট দেবে?
কিছু মানুষ আওয়ামী লীগকে কীভাবে ক্ষমতা থেকে সরানো যায় সেজন্য মিটিং করছে উল্লেখ করে আ’লীগ সভাপতি বলেন, ‘জনগণের শক্তিই আ’লীগের শক্তি। আমরা জনগণের সেবায় কাজ করে যাচ্ছি।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন বিশ্বের মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে পৌঁছে গেছে। আমরা জনগণের কল্যাণে কাজ করছি। উন্নয়নের ছোঁয়া গ্রাম পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। সব শ্রেণি পেশার মানুষ উন্নয়নের ছোঁয়া পেয়েছে। বিএনপিকে কোন আশায় মানুষ ভোট দেবে? পলাতক আসামি যে দল চালায় জনগণ তাদের কি আশায় ভোট দেবে?’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এরা দেশের গরীবের টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করেছে। বিদেশে বসে আরাম আয়েশে আছে। তাদের এই আয়ের উৎস কী?’ দেশের ব্যাপক উন্নয়নের পরও যারা দেশে-বিদেশে অপপ্রচার চালাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে দলের নেতাকর্মীদের সচেতন হওয়ার আহŸান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘এত উন্নয়নের পরও কিছু মানুষ বিদেশে ও দেশে বসে অপপ্রচার করছে। তাদের বিরুদ্ধে সচেতন হতে হবে, অপপ্রচারের জবাব দিতে হবে।’
তিনি দেশের সুবিধাভোগী স্বার্থান্বেষী মহলের সমালোচনা করে বলেন, ‘কিছু মানুষ আছে যারা হাজার অপরাধকারীকেও অপরাধী হিসেবে দেখে না। দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বললেও তারা দুর্নীতিতে সাজাপ্রাপ্তদের পক্ষ নেয়। যারা হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে, এতিমের টাকা আত্মসাৎ করে সাজাপ্রাপ্ত হয়েছে তাদের জন্যই তারা মায়াকান্না করছে।’
খালেদা জিয়ার টার্গেট সব সময় তিনি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘খালেদা জিয়া ঘোষণা দিয়েছিল যে, আমি প্রধানমন্ত্রী কেন বিরোধী দলীয় নেতাও হতে পারবো না, শত বছরেও ক্ষমতায় আসতে পারবো না। এসব ঘোষণার পরই গ্রেনেড হামলা হয়েছিল।’

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর