গ্রীষ্মের দাবদাহ ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। গরমের এই সময়ে সবচেয়ে বড় সমস্যার নাম ঘাম। মানুষের শরীরবৃত্তীয় এই প্রাকৃতিক সমস্যা দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে বলে তা কখনো কখনো বিব্রতকর হয়।
গরমের সময় এ সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে কিছু সহজ টিপস দিয়েছেন জৈব রূপচর্চাবিষয়ক প্রতিষ্ঠান ওর্গানিক হার্ভেস্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাহুল আগারওয়াল। চলুন, জেনে নেয়া যাক টিপসগুলো।
নারকেল তেল: একটি বাটির মধ্যে অল্প পরিমাণে নারকেল তেলের সঙ্গে ১০ গ্রাম কর্পূর মিশিয়ে নিন। ঘাম বেশি নির্গত হয় এমন স্থানগুলোতে গোসলের পর মিশ্রণটি ব্যবহার করুন। ৪৫ থেকে ৬০ মিনিট পর পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
লবণ: অতিরিক্ত ঘাম থেকে বাঁচতে লেবুর রসের সঙ্গে এক টেবিল চা-চামচ লবণ মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি হাতে ব্যবহার করুন। এতে ঘর্মগ্রন্থি থেকে ঘাম নিঃসরণের পরিমাণ কমবে।
চা-গাছের তেল: শরীরের যেসব জায়গা থেকে অতিরিক্ত ঘাম নির্গত হয়, সেসব স্থানে চা-গাছের তেল ব্যবহার করুন। নিয়মিত ব্যবহারে এর উপকারিতা পাবেন। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য এটি দারুণ উপকারী।
আলু: আলু স্লাইস করে কেটে বগলের নিচে এবং অন্যান্য ঘাম-নির্গত স্থানে লাগাতে পারেন। কাপড় পরার আগে লাগানো জায়গাগুলো শুকিয়ে নিন। ঘাম ঝরা কমাতে এটি দারুণ কাজ করে।
টমেটো: প্রতিদিন এক গ্লাস টমেটোর জুস পান অতিরিক্ত ঘাম ঝরা থেকে আপনাকে মুক্তি দিতে পারে।
আঙুর: প্রাকৃতিক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ একটি ফল আঙুর। এটি শরীরের তাপমাত্রার ভারসাম্য রক্ষা করতে সহায়তা করে। তাই অতিরিক্ত ঘাম নিয়ন্ত্রণে প্রতিদিন আঙুর খান।
ভিনেগার বা সিরকা: দুই টেবিল চা-চামচ প্রাকৃতিক ভিনেগার এবং এক চা-চামচ আপেল সিডার ভিনেগারের একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। মিশ্রণটি প্রতিদিন তিনবার ভাত খাওয়ার আগে বা পরে ৩০ মিনিট পরে পান করতে পারেন।
ভূট্টার গুঁড়া বা বেকিং সোডা: এই দুটোর মিশ্রণ বগলের নিচে ব্যবহার করুন। মিশ্রণটি ব্যবহারের পর আধঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন। অতিরিক্ত ঘাম ঝরানো কমাতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে এটি।