ঢাকা ১১:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চীনের উইঘুর মানবাধিকার চরমভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে।

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:৪১:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ নভেম্বর ২০২১
  • ১৬৪ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘৭১-এর গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে শীর্ষক ভাস্কর্যের ভাস্কর রাশা বলেছেন, চীনের উইঘুর মুসলিমদের মানবাধিকার চরমভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে। বাংলাদেশের ধর্ম ব্যবসায়ীরা এ বিষয়ে নীরব কেন? কারণ এরা পাকিস্তান ও চীনের পেইড এজেন্ট। এদের মুখোশ জাতির সামনে উন্মোচিত হয়েছে।’

শুক্রবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিমদের নির্যাতনের প্রতিবাদে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ আয়োজিত এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

১২ নভেম্বর পূর্ব তুর্কিস্তান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে ভাস্কর রাশা বলেন, একাত্তরে চীন পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যাকে সমর্থন দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল। আমরা কিন্তু সেই ইতিহাস ভুলে যায়নি। একাত্তরের পরাজিত অপশক্তি পাকিস্তানকে চীন এখনো সহযোগিতা করে যাচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির বিরুদ্ধে চীন ও পাকিস্তানের ষড়যন্ত্র এখনো চলমান। ১৫ আগস্টে খালেদা জিয়াকে চীন দূতাবাস জন্মদিনের শুভেচ্ছা পাঠিয়ে তা প্রমাণ করেছে। জিনজিয়াং প্রদেশে রাষ্ট্রীয় মদদে উইঘুর মুসলিম নির্যাতন হচ্ছে।

এ সময় পূর্ব তুর্কিস্তানের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতি বাংলাদেশ সরকারের সমর্থন ও সংহতি জানানোরও দাবি জানান রাশা।

সমাবেশে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে বসবাসরত সংখ্যালঘু উইঘুরদের ওপর প্রতিনিয়ত নির্যাতন-নিপীড়ন চালানো হচ্ছে। চীন সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে উইঘুরদের ধর্মীয়, রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে যা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। সম্প্রতি উইঘুরদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ডোপা টুপি ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে যা মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

সাধারণ সম্পাদক মো. আল মামুন বলেন, ১৯৩৩ সালে স্বল্প সময়ের জন্য পূর্ব তুর্কিস্তান নামে স্বাধীন দেশ পেয়েছিল উইঘুররা। পরে তা চীন দখল করে নিয়ে স্বাধীনতাকামী উইঘুরদের ওপর নির্যাতন ও নিপীড়ন শুরু করে, যা এখনো চলছে। জাতিসংঘের দাবি অনুযায়ী, চীনের বন্দিশালায় বর্তমানে নারীসহ ১০ লাখ উইঘুর মুসলমান আটক। চীনে নির্যাতনের শিকার সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিমরা নিজেদের স্বাধীনতার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সাহায্য চেয়েছেন। জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিকট আহ্বান, উইঘুর নির্যাতন বন্ধ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। প্রয়োজনে চীনের ওপর কঠোর চাপ সৃষ্টি করে উইঘুরদের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।

মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন সংগঠনটির সহ-সভাপতি নুর আলম সরদার, শাহীন মাতুব্বর, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট এইউজেড প্রিন্স প্রমুখ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

চীনের উইঘুর মানবাধিকার চরমভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে।

আপডেট টাইম : ০৭:৪১:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ নভেম্বর ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘৭১-এর গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে শীর্ষক ভাস্কর্যের ভাস্কর রাশা বলেছেন, চীনের উইঘুর মুসলিমদের মানবাধিকার চরমভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে। বাংলাদেশের ধর্ম ব্যবসায়ীরা এ বিষয়ে নীরব কেন? কারণ এরা পাকিস্তান ও চীনের পেইড এজেন্ট। এদের মুখোশ জাতির সামনে উন্মোচিত হয়েছে।’

শুক্রবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিমদের নির্যাতনের প্রতিবাদে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ আয়োজিত এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

১২ নভেম্বর পূর্ব তুর্কিস্তান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে ভাস্কর রাশা বলেন, একাত্তরে চীন পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যাকে সমর্থন দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল। আমরা কিন্তু সেই ইতিহাস ভুলে যায়নি। একাত্তরের পরাজিত অপশক্তি পাকিস্তানকে চীন এখনো সহযোগিতা করে যাচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির বিরুদ্ধে চীন ও পাকিস্তানের ষড়যন্ত্র এখনো চলমান। ১৫ আগস্টে খালেদা জিয়াকে চীন দূতাবাস জন্মদিনের শুভেচ্ছা পাঠিয়ে তা প্রমাণ করেছে। জিনজিয়াং প্রদেশে রাষ্ট্রীয় মদদে উইঘুর মুসলিম নির্যাতন হচ্ছে।

এ সময় পূর্ব তুর্কিস্তানের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতি বাংলাদেশ সরকারের সমর্থন ও সংহতি জানানোরও দাবি জানান রাশা।

সমাবেশে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে বসবাসরত সংখ্যালঘু উইঘুরদের ওপর প্রতিনিয়ত নির্যাতন-নিপীড়ন চালানো হচ্ছে। চীন সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে উইঘুরদের ধর্মীয়, রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে যা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। সম্প্রতি উইঘুরদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ডোপা টুপি ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে যা মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

সাধারণ সম্পাদক মো. আল মামুন বলেন, ১৯৩৩ সালে স্বল্প সময়ের জন্য পূর্ব তুর্কিস্তান নামে স্বাধীন দেশ পেয়েছিল উইঘুররা। পরে তা চীন দখল করে নিয়ে স্বাধীনতাকামী উইঘুরদের ওপর নির্যাতন ও নিপীড়ন শুরু করে, যা এখনো চলছে। জাতিসংঘের দাবি অনুযায়ী, চীনের বন্দিশালায় বর্তমানে নারীসহ ১০ লাখ উইঘুর মুসলমান আটক। চীনে নির্যাতনের শিকার সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিমরা নিজেদের স্বাধীনতার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সাহায্য চেয়েছেন। জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিকট আহ্বান, উইঘুর নির্যাতন বন্ধ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। প্রয়োজনে চীনের ওপর কঠোর চাপ সৃষ্টি করে উইঘুরদের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।

মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন সংগঠনটির সহ-সভাপতি নুর আলম সরদার, শাহীন মাতুব্বর, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট এইউজেড প্রিন্স প্রমুখ।