হাওর বার্তা ডেস্কঃ কিশোরগঞ্জ করিমগঞ্জ উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের নির্বাচনে ফলাফল ৫ টিতে আওয়ামী লীগ, ১ টিতে জাতীয় পার্টি ও ৪ টিতে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। বাকি একটি ইউনিয়নের এক কেন্দ্রের ভোট স্থগিত রয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী যারা বিজয়ী হয়েছে তাদের মধ্যে বিএনপির তিন জন ও একজন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন।
আওয়ামী লীগের বিজয়ীরা হলেন, গুজাদিয়া ইউনিয়নে সৈয়দ মাসুদ, বারঘরিয়ায় কামরুল আহসান কাঞ্চন, নিয়ামতপুরে মো. হেলিম, গুনধর ইউনিয়নে আবু সায়েম রাসেল ও জাফরাবাদে আবু সাদাৎ মো. সায়েম।
সুতারপাড়া ইউনিয়নের একটি কেন্দ্র স্থগিত থাকায় চুড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হয়নি। তবে গ্রহণকৃত ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী কামাল হোসেন এগিয়ে রয়েছেন।
গুনধর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবু ছায়েম রাসেল (নৌকা) ৫ হাজার ১৫৮ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুল হক কাদের (ঘোড়া) পেয়েছেন ৪ হাজার ৮২১ ভোট।
জাফরাবাদ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের আবু সাদাৎ মো. সায়েম (নৌকা) ২ হাজার ৭৭৮ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান সাইফুদ্দিন ফকির মিলন (চশমা) পেয়েছেন ২ হাজার ১৩৯ ভোট।
গুজাদিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সৈয়দ মাসুদ (নৌকা) ৮ হাজার ৩১১ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী হাফিজুল ইসলাম তুহিন (চশমা) পেয়েছেন ৭ হাজার ৬৮৪ ভোট।
নোয়াবাদ ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোস্তফা কামাল (চশমা) ৪ হাজার ২০৩ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী মাসুদুজ্জামান রতন (লাঙ্গল) পেয়েছেন ৩ হাজার ৩২৪ ভোট।
জয়কা ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী হুমায়ূন কবির (অটোরিকশা) ৩ হাজার ৫৮১ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আশরাফ উদ্দিন (চশমা) পেয়েছেন ৩ হাজার ১৩৭ ভোট।
কাদিরজঙ্গল ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফ উদ্দিন কনক (অটোরিকশা) ৪ হাজার ১২৬ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রিপন (ঘোড়া) পেয়েছেন ৩ হাজার ৬৪৮ ভোট।