হাওর বার্তা ডেস্কঃ আসমার জন্য কিছুকাল আগেও তার সঙ্গীর সঙ্গে সউদী আরবের সমুদ্র সৈকতে একটি দিন কাটানো কল্পনাতীত ছিল। এখন, ৩২ বছর বয়সী আসমা তার সাথীর সঙ্গে লাল সাগরের তীরে সাদা বালিতে নাচছে, লাউডস্পিকারে সংগীত বাজছে। এটি সউদীতে চলমান পরিবর্তনের একটি ছোট্ট অনুস্মারক, যা আধুনিকীকরণ অভিযানে তার কিছু কঠোর সামাজিক কঠোরতাকে সহজ করার চেষ্টা করছে।
সূর্য ডুবে যাওয়ার সাথে সাথে, শিল্পীরা আলোকিত মঞ্চে সংগীতের সাথে সাথে নাচেন। জেদ্দার সিটি সেন্টার থেকে প্রায় ১২৫ কিলোমিটার (প্রায় ৮০ মাইল) উত্তরে কিং আব্দুল্লাহ ইকোনমিক সিটিতে বিশুদ্ধ সৈকত।
মিসরীয় হাদিল ওমর বলেন, ‘আমি এখানে বড় হয়েছি এবং কয়েক বছর আগেও আমাদের গান শোনার অনুমতি ছিল না’।
উপসাগরীয় রাষ্ট্রটির সামাজিক সংস্কারগুলো তার তেলনির্ভর অর্থনীতিকে বৈচিত্র্যময় করার আকাক্সক্ষায় উদ্দীপিত হয়, যার মধ্যে রয়েছে পর্যটন এবং দেশীয় ব্যয় উদ্দীপিত করা।
২০১৯ পর্যন্ত শুধুমাত্র ব্যবসায়িক ভ্রমণকারীরা এবং মুসলিম হজ্জ-ওমরাযাত্রী যেতে পারলেও পরে সউদী আরব পর্যটক ভিসা দেওয়া শুরু করে। কিং আবদুল্লাহ ইকোনমিক সিটির ইভেন্টের প্রধান বিলাল সউদী বলেন, সৈকতটি নির্মিত ‘স্থানীয় দর্শনার্থী এবং (বিদেশী) পর্যটক উভয়কেই লক্ষ্য করে’।
একজন তরুণ সউদী ব্যবসায়ী দিমা বলেন, ‘আমি অনুভব করি যে, আমাকে আর ভাল সময় কাটানোর জন্য (বিদেশে) ভ্রমণ করতে হবে না, কারণ এখানে সবকিছু আছে’। সূত্র : এএফপি, এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।