হাওর বার্তা ডেস্কঃ মাদক মামলায় গ্রেফতার ছেলে আরিয়ানকে ছাড়িয়ে নিতে সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলিউড অভিনেতা শাহরুখ খান।
নিজের সব শুটিং বাতিল করে মুম্বাইয়ে চরকি পাক কাটছেন। নিয়োগ দিয়েছেন ভারতের সবচাইতে নামি আইনজীবী সতীশ মানেশিন্দেকে। সতীশের ওপর বেশ ভরসা শাহরুখের। কারণ বলিউডে এই আইনজীবী সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়।
বলা হচ্ছে, এই সতীশ মানেশিন্দে নাকি প্রতিটি কেসের জন্য দিনপ্রতি ১০ লাখ রুপি পারিশ্রমিক নেন মক্কেলের কাছ থেকে। শাহরুখের কাছ থেকে এর থেকে বেশি বই কম নিচ্ছেন না।
এতো অর্থ পাওয়া আইনজীবী এখনবধি সফল হননি। ঠেকাতে পারেননি আরিয়ানের জেল। তিনবার জামিন আবেদন করেও হেরে গেছেন।
নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরোর কর্মকর্তাদের (এনসিবি) বুদ্ধিমত্তার কাছে হার মানছেন বারংবার।
আদালতে যুক্তি-তর্ক পরিবেশন করেও জামিনে বের করতে পারেননি আরিয়ান খানকে।
তবে শাহরুখ কেন এতো অর্থ দিয়ে সতীশকে নিযুক্ত করেছেন?
এর একটাই কারণ সতীশ মানেশিন্দের আগের সব রেকর্ড দেখে মুগ্ধ শাহরুখ। এই সেই আইনজীবী যিনি বেশ কয়েক মাস আগে প্রয়াত সুশান্ত সিং রাজপুতের মামলায় অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তীকে জামিন পাইয়ে দিয়েছিলেন এই এনসিবির সঙ্গে লড়েই ।
শাহরুখ-গৌরিসহ বলিউডের অনেকের বিশ্বাস মাদক মামলায় ফেঁসে যাওয়া আরিয়ান খানকেও ছাড়িয়ে আনবেন সতীশ।
কে এই সতীশ মানিশিন্দে?
ভারতের সংবাদমাধ্যমের খবর, কর্নাটকের ধারওয়াড়ের আদি বাসিন্দা সতীশ মানেশিন্দে ১৯৮৩ সালে মুম্বাই আসেন। সেই সময়ে ফৌজদারি মামলার হাইপ্রোফাইল আইনজীবী রাম জেঠমলানির জুনিয়র হিসেবে কাজ শুরু করেন সতীশ। টানা ১০ বছর তার নেতৃত্বে কাজ করার পর নিজেই চেম্বার দিয়ে বসেন।
বলিউডে সতীশের জনপ্রিয়তা বাড়ে ১৯৯৩ সালে। মুম্বাইয়ে ধারাবাহিক বোমা বিস্ফোরণ মামলায় বলিউড তারকা সঞ্জয় দত্তের হয়ে আদালতে দাঁড়ান সতীশ। সতীশের বুদ্ধিদ্বীপ্ত ওকালতিতেই বিস্ফোরণ মামলায় জামিন পেয়ে যান সঞ্জয়।
ওই মামলাটি ছিল সে সময় টক অব দ্য কান্ট্রি। তাতে সফলকাম হয়ে রাতারাতি খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছান সতীশ। কৃষ্ণসার হরিণ শিকার মামলায় বলি ভাইজান সালমান খানকে জামিন এনে দেন সতীশ।
২০০২ সালে এই নায়ককে গাড়ি চালিয়ে মানুষ হত্যার অভিযোগ থেকে রেহাই পাইয়ে দেন সতীশ। আর এ কারণেই বলিউডে তার দাম যেন আকাশছোঁয়া।
তবে শাহরুখ তাকে প্রতিদিন কত দিচ্ছেন তা নিশ্চিত করতে পারেনি ভারতীয় গণমাধ্যম। সেটি যে ১০ লাখ রুপির কম নয় তা অবশ্য নিশ্চিত।
কারণ গত বছর এক সাক্ষাৎকারে সতীশকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, ‘শোনা যায় আপনার পারিশ্রমিক ১০ লাখ টাকা। এটা কি সত্যি?’
সহাস্যে সতীশ জবাব দিয়েছিলেন, ‘যে তথ্যের ওপর ভিত্তি করে আমার পারিশ্রমিক ১০ লাখ টাকা বলছেন, সেটা ১০ বছরের পুরনো কথা! এবার হিসাব করে নিন।’