হাওর বার্তা ডেস্কঃ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, ‘বাঙালির ঐক্যের তান হোক সম্প্রীতির বাংলাদেশ। বাঙালির বাংলাদেশে, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। আজকের সমাজ ব্যবস্থায় মানুষরূপী যে অসুর রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে’।
আজ পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে শারদীয় দুর্গা পূজা উপলক্ষ্যে নাজিরপুর উপজেলার দুর্গা মন্দিরের সভাপতি ও সম্পাদকের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়, প্রধানমন্ত্রীর অনুদানের চেক বিতরণ, ব্যক্তিগত অনুদান প্রদান এবং জেলা পরিষদের অনুদান প্রদান উপলক্ষ্যে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। জেলা পরিষদ পিরোজপুর, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট এবং নাজিরপুর পূজা উদ্যাপন পরিষদ যৌথভাবে এ মতিবিনিময় সভা আয়োজন করে।
তিনি আরো বলেন, সকল ধর্মই সৃষ্টির কল্যাণের কথা বলে। সত্যকে গ্রহণ করে অসত্যকে বর্জন করার কথা বলে। পরার্থে নিজেকে বিলীন করার কথা বলে। কোনো ধর্মই উগ্রতাকে প্রশ্রয় দেয় না। কিছু উগ্র ব্যক্তি আছে যারা নিজেদের মতো করে আলাদা ধর্ম রচনা করে। সে ধর্ম দিয়ে সমাজে সম্প্রীতি নষ্ট করে, মানবতার জয়গানে বিঘ্ন সৃষ্টি করে। তারা মানবতার শত্রু, অসাম্প্রদায়িকতার শত্রু। এরা অস্তিত্বের উৎসমূলে আঘাত করে, ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত করে। এদের বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, দুর্গাপূজা এখন আর পূজার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। এটা এখন বাঙালির সর্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে। আমাদের সৌভ্রাতৃত্ব, সহমর্মিতা, ভালোবাসা একটি জায়গায় আবদ্ধ করেছে। সে জায়গা হচ্ছে আমরা সকলে অসাম্প্রদায়িক বাঙালি। যে বাঙালিত্বকে প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের ত্রিশ লাখ শহিদ রক্ত দিয়েছিল, দুই লাখ মা-বোন সম্ভ্রম হারিয়েছিল।
নাজিরপুর উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি সুখরঞ্জন বেপারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক আবু আলী মোঃ সাজ্জাদ হোসেন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেবেকা খান, নাজিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অমূল্য রঞ্জন হালদার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমান, পিরোজপুর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বিমল কৃষ্ণ মন্ডল, সাধারণ সম্পাদক গোপাল বসু, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি সুরঞ্জিত দত্ত লিটু প্রমুখ।
এর আগে মন্ত্রী নাজিরপুর উপজেলা পরিষদের দীঘিতে মাছের পোনা অবমুক্ত করেন এবং নাজিরপুর উপজেলা পরিষদের সম্প্রসারিত প্রশাসনিক ভবন ও হল রুম নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।