ঢাকা ১২:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বন সংরক্ষণ ও পুনরুদ্ধারে স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করতে হবে -পরিবেশমন্ত্রী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৫৩:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ অক্টোবর ২০২১
  • ১৬৬ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো: শাহাব উদ্দিন বলেছেন, টেকসই বন ও জীবিকা (সুফল) প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারি বনজ সম্পদ ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন এবং বন সংরক্ষণ ও পুনরুদ্ধারে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করা হবে। বনের ওপর সরাসরি নির্ভরশীলতা হ্রাসসহ বনজ সম্পদ উজাড় রোধে স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করা হবে। এতে বনাচ্ছাদন বৃদ্ধি পাবে, বনের বাহিরে বৃক্ষাচ্ছাদন বৃদ্ধির উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হবে ফলে অচিরেই দেশে বৃক্ষাচ্ছাদনের পরিমাণ শতকরা ২২.৩৭ ভাগ হতে ২৪ ভাগে উন্নীত করা সহজ হবে।

পরিবেশমন্ত্রী আজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে টেকসই বন ও জীবিকা (সুফল) প্রকল্পের আওতায় প্রণীত ‘কমিউনিটি অপারেশনস ম্যানুয়াল’ চূড়ান্তকরণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, সচিব মোঃ মোস্তফা কামাল, এবং টেকসই বন ও জীবিকা (সুফল) প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক গোবিন্দ রায় প্রমুখ।

দেশের ৮ বিভাগের ২৮ জেলার ১৬৭ উপজেলায় অবস্থিত ২৬টি বন বিভাগীয় কার্যালয়ের মাধ্যমে বাস্তবায়নাধীন সুফল প্রকল্পের মাধ্যমে তিন ধরনের ল্যান্ডস্কেপে ৩২ ধরনের বনায়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ তথ্য জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সহযোগিতামূলক বন ব্যবস্থাপনা প্রবর্তনের মাধ্যমে ৫২ হাজার ৭২০ হেক্টর অবক্ষয়িত ও বৃক্ষশূন্য পাহাড়ি ও সমতল বনভূমির ল্যান্ডস্কেপে বনাচ্ছাদন ‍বৃদ্ধি করা হচ্ছে। উপকূলীয় সবুজ বেষ্টনী তৈরিতে উপকূলের ল্যান্ডস্কেপে ২৪ হাজার ৮৮০ হেক্টর ম্যানগ্রোভ বাগান সৃজন করা হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল উন্নয়নে পশুখাদ্য ও ফলদ গাছ রোপণের মাধ্যমে ২০টি রক্ষিত এলাকায় ২ হাজার ৫০০ হেক্টর বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল উন্নয়ন এবং ১ হাজার ৩৩০ হেক্টর করিডোর উন্নয়নের কাজ চলছে।

মন্ত্রী জানান, এ বনায়নের মাধ্যমে বনাচ্ছাদন বৃদ্ধির এ উদ্যোগ সার্থক করার জন্য সহযোগিতামূলক বন ব্যবস্থাপনায় সম্পৃক্ত বননির্ভর মোট ৪০ হাজার পরিবারের প্রত্যেককে সুফল প্রকল্প থেকে ৪২ হাজার টাকা ঘুর্ণায়মান জীবিকা উন্নয়ন তহবিল হিসাবে প্রদান করা হবে। এছাড়া কমিউনিটিভিত্তিক উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য প্রতিটি বন সংরক্ষণ গ্রামে ৪ লক্ষ ২০ হাজার টাকা কমিউনিটি উন্নয়ন তহবিল হিসাবে প্রদান করা হবে। প্রয়োজনীয় সংশোধন সাপেক্ষে অনুমোদন করা চার খণ্ডের কমিউনিটি অপারেশনস ম্যানুয়াল বননির্ভর গ্রাম ও পরিবার নির্বাচন, সহযোগিতামূলক বন ব্যবস্থাপনা সংগঠনের কমিটি ও সাব-কমিটি তৈরি, প্রশিক্ষণ প্রদান এবং জীবিকা উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা এবং বননির্ভর জনগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক উন্নয়নে সঠিক দিকনির্দেশনা প্রদান করবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

বন সংরক্ষণ ও পুনরুদ্ধারে স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করতে হবে -পরিবেশমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ১০:৫৩:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ অক্টোবর ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো: শাহাব উদ্দিন বলেছেন, টেকসই বন ও জীবিকা (সুফল) প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারি বনজ সম্পদ ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন এবং বন সংরক্ষণ ও পুনরুদ্ধারে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করা হবে। বনের ওপর সরাসরি নির্ভরশীলতা হ্রাসসহ বনজ সম্পদ উজাড় রোধে স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করা হবে। এতে বনাচ্ছাদন বৃদ্ধি পাবে, বনের বাহিরে বৃক্ষাচ্ছাদন বৃদ্ধির উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হবে ফলে অচিরেই দেশে বৃক্ষাচ্ছাদনের পরিমাণ শতকরা ২২.৩৭ ভাগ হতে ২৪ ভাগে উন্নীত করা সহজ হবে।

পরিবেশমন্ত্রী আজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে টেকসই বন ও জীবিকা (সুফল) প্রকল্পের আওতায় প্রণীত ‘কমিউনিটি অপারেশনস ম্যানুয়াল’ চূড়ান্তকরণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, সচিব মোঃ মোস্তফা কামাল, এবং টেকসই বন ও জীবিকা (সুফল) প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক গোবিন্দ রায় প্রমুখ।

দেশের ৮ বিভাগের ২৮ জেলার ১৬৭ উপজেলায় অবস্থিত ২৬টি বন বিভাগীয় কার্যালয়ের মাধ্যমে বাস্তবায়নাধীন সুফল প্রকল্পের মাধ্যমে তিন ধরনের ল্যান্ডস্কেপে ৩২ ধরনের বনায়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ তথ্য জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সহযোগিতামূলক বন ব্যবস্থাপনা প্রবর্তনের মাধ্যমে ৫২ হাজার ৭২০ হেক্টর অবক্ষয়িত ও বৃক্ষশূন্য পাহাড়ি ও সমতল বনভূমির ল্যান্ডস্কেপে বনাচ্ছাদন ‍বৃদ্ধি করা হচ্ছে। উপকূলীয় সবুজ বেষ্টনী তৈরিতে উপকূলের ল্যান্ডস্কেপে ২৪ হাজার ৮৮০ হেক্টর ম্যানগ্রোভ বাগান সৃজন করা হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল উন্নয়নে পশুখাদ্য ও ফলদ গাছ রোপণের মাধ্যমে ২০টি রক্ষিত এলাকায় ২ হাজার ৫০০ হেক্টর বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল উন্নয়ন এবং ১ হাজার ৩৩০ হেক্টর করিডোর উন্নয়নের কাজ চলছে।

মন্ত্রী জানান, এ বনায়নের মাধ্যমে বনাচ্ছাদন বৃদ্ধির এ উদ্যোগ সার্থক করার জন্য সহযোগিতামূলক বন ব্যবস্থাপনায় সম্পৃক্ত বননির্ভর মোট ৪০ হাজার পরিবারের প্রত্যেককে সুফল প্রকল্প থেকে ৪২ হাজার টাকা ঘুর্ণায়মান জীবিকা উন্নয়ন তহবিল হিসাবে প্রদান করা হবে। এছাড়া কমিউনিটিভিত্তিক উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য প্রতিটি বন সংরক্ষণ গ্রামে ৪ লক্ষ ২০ হাজার টাকা কমিউনিটি উন্নয়ন তহবিল হিসাবে প্রদান করা হবে। প্রয়োজনীয় সংশোধন সাপেক্ষে অনুমোদন করা চার খণ্ডের কমিউনিটি অপারেশনস ম্যানুয়াল বননির্ভর গ্রাম ও পরিবার নির্বাচন, সহযোগিতামূলক বন ব্যবস্থাপনা সংগঠনের কমিটি ও সাব-কমিটি তৈরি, প্রশিক্ষণ প্রদান এবং জীবিকা উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা এবং বননির্ভর জনগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক উন্নয়নে সঠিক দিকনির্দেশনা প্রদান করবে।