হাওর বার্তা ডেস্কঃ করোনা সংক্রমণের হার নিয়ন্ত্রণে থাকায় সরকারি সকল নিয়োগ পরীক্ষা শুরু করা হয়েছে। ডিসেম্বরে উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষা শেষে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা শুরু করতে চায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ ১৭ মাস পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সচল হওয়ায় প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা শুরু করার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে এই নিয়োগের আবেদন কার্যক্রম শেষে তা যাচাই-বাছাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে। বর্তমানে প্রশ্নপত্র তৈরি, ওএমআর (উত্তরপত্র) তৈরির কাজ চলমান রয়েছে। অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের বড় নিয়োগ পরীক্ষা শুরু হাওয়ায় প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা শুরুর চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, শিক্ষক নিয়োগের জন্য ১৩ লাখের বেশি প্রার্থী আবেদন করেছেন। পরীক্ষা আয়োজনে আমরা প্রস্তুত আছি। আগামী বছরের জানুয়ারিতে নিয়োগ পরীক্ষা শুরু করতে প্রস্তুতি শুরু করা হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। সরকারি কর্ম কমিশনের নিয়োগ পরীক্ষাসহ অন্যান্য সরকারি নিয়োগ পরীক্ষাগুলো সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হলে প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা শুরু করা হবে। চলতি অর্থবছরের মধ্যে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা আয়োজন করা হবে। বর্তমানে ওএমআর সিট প্রস্তুতের কাজ চলছে। জাতীয় পরামর্শক কমিটির মতামত নিয়ে পরীক্ষা শুরু করা হবে।
জানা গেছে, করোনা পরিস্থিতি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের কারণে এই নিয়োগ পরীক্ষা শুরু করা সম্ভব হয়নি। এ অবস্থাতেও নিয়োগ সংক্রান্ত টেকনিক্যাল কাজ এগিয়ে রাখা হয়েছে। পরীক্ষার বিষয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সঙ্গে চুক্তিও সম্পন্ন হয়েছে।
আগামী ২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। গত ২৭ সেপ্টেম্বর এই পরীক্ষার সময়সূচির অনুমোদন দেয়। এইচএসসি পরীক্ষায় তত্ত্বীয় বিষয়ের পরীক্ষা ২ ডিসেম্বর শুরু হয়ে শেষ হবে ৩০ ডিসেম্বর।
সময়সূচি অনুযায়ী, সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা এবং দুপুর ২টা থেকে বিকেল সাড়ে তিনটা, দুই শিফটে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
করোনা মহামারির কারণে কারণে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা কক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে। প্রথমে বহুনির্বাচনী ও পরে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। উভয় অংশের মাঝে কোনো বিরতি থাকবে না। প্রতিটি পরীক্ষার জন্য দেড় ঘণ্টা করে সময় দেওয়া হবে।