ডিমের দাম মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনার পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে -মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে ডিমের দাম মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে
আসার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
আজ রাজধানীর একটি হোটেলে বিশ্ব ডিমদিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ পরিকল্পনার কথা জানান। প্রাণিসম্পদ
অধিদপ্তর, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও), ওয়ার্ল্ড পোল্ট্রি সায়েন্স
এসোসিয়েশন-বাংলাদেশ শাখা এবং বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল
(বিপিআইসিসি) যৌথভাবে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে।
এ সময় মন্ত্রী জানান, সমৃদ্ধ জাতি গড়তে হলে পরিপূর্ণ পুষ্টিসম্মত খাবার নিশ্চিত
করতে হবে। পুষ্টিসম্মত খাবারের অন্যতম উপাদান ডিম। ডিমের প্রয়োজনীয়তা গ্রামে-
গঞ্জেসহ সকল জায়গায় ছড়িয়ে দিতে হবে। দেশের প্রতিটি মানুষ যেন অনুধাবন করতে পারে,
খাবারের শ্রেষ্ঠতম একটা উপকরণ ডিম। এই খাদ্য উপাদান যেন ব্যয়বহুল না হয় সেদিকে
লক্ষ্য রাখতে হবে। যতটুকু ব্যয় হয় সেটা কীভাবে কমানো যায় সেজন্য সরকারি ও
বেসরকারি উদ্যোগে যৌথ পরিকল্পনা নেয়া হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে ব্যয়ের কারণে ডিম যেন
মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে না যায়। ডিমের উৎপাদন বৃদ্ধি ও সহজলভ্য করার জন্য
মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে, উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করতে হবে, স্বনির্ভর করতে হবে।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গুণগত
উন্নয়নে বিশ্বাস করেন।তিনি দেশের সকল কিছুতে টেকসই উন্নয়নের কথা বলেন।
প্রতিবেশী দেশসমূহের তুলনায় বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ খাতের এগিয়ে যাওয়া বিস্ময়কর। এ
খাতের উন্নয়নে শেখ হাসিনা সরকার ব্যাপক পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছে।
পুষ্টি চাহিদা মেটাতে বেশি বেশি ডিম খেতে হবে। ডিম খাওয়া নিয়ে বিভ্রান্তির
বেড়াজাল থেকে বেরিয়ে এসে মানুষকে সচেতন করতে হবে। পুষ্টি চাহিদা পূরণের মাধ্যমে রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারলে আমাদের আয়ুষ্কাল বাড়বে। আজ দেশের মানুষের গড় আয়ু
বেড়েছে। মাতৃমৃত্যুর হার, শিশু মৃত্যুর হার অনেক কমে গেছে। রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনা ও
বেসরকারি উদ্যোক্তাদের সম্মিলিত প্রয়াসে চাহিদা অনুযায়ী খাদ্যের যোগান ও
স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপনের কারণে এটা সম্ভব হয়েছে-যোগ করেন মন্ত্রী।

 

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর