এমি জান্নাতঃ নীতি বা অসততা কোনো পেশার গায়ে লাগানো থাকে না, রক্তের রন্ধ্রে মিশে থাকে।
আমরা সবাই যে যেই পেশায় থাকি না কেন, দিনশেষে কোথাও গিয়ে নিজেকে আমজনতার জায়গায় দাঁড় করাতে হয়। আর তখনই আমরা সবচেয়ে বেশি জাজমেন্টাল হয়ে যাই।
সরকারি বা বেসরকারি যেকোনো কাজেই পদ অনুযায়ী তারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জনগণের জন্য নিয়োজিত। তবে ডাক্তার, পুলিশ, সাংবাদিক এবং এডভোকেট একদম সরাসরি জনগণের জন্য নিয়োজিত। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো ওনারাই জনগণের কাছে সবচেয়ে বেশি খারাপ। ডাক্তার কষাই, পুলিশ মানুষ না, সাংবাদিক ভুয়া, আর উকিল মিথ্যা বলে! তাইলে ভাই বিপদে পড়লে বিপদের ধরণ বুঝে এদের কাছেই দৌড়ান কেন?
বলছি না, সবাই ভালো কিংবা সবাই খারাপ। কিন্তু বেশিরভাগ আমজনতার বিচারে এই প্রফেশনগুলোতে যারা আছে তারা সবাই খারাপ। অন্তত বলতে গেলে মুখে ভালো বাক্য খুব কমই শোনা যায়।
তাহলে অসুস্থ হলে সেবা কে দেয়? বাইরে যেটুকু নিরাপত্তাই পেয়ে থাকেন, কে দেয়? জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কলম ধরে কিংবা রোদ-বৃষ্টি, ঝড়, তিরস্কার মাথায় নিয়ে অথবা সংঘাতের তোয়াক্কা না করে কে খবর পৌছে দেয়? আর মিথ্যা বা সত্যি মামলায় অভিযুক্ত হয়ে চারদিক অন্ধকার দেখা কাউকে পেশাগত এথিকস বজায় রেখে কে উদ্ধার করার চেষ্টা করে? মিলবে কী উত্তর?
হ্যাঁ, এখন বলতে পারেন সবাই করেনা। শুরুতেই বলেছি, সবার কথা বলছিও না। কিন্তু জাজ করতে গিয়ে তো সবাইকে এক কাতারেই ফেলা হয়! শুধুমাত্র কিছু সংখ্যক নীতিহীন মানুষের জন্য কেন সবার গায়ে একই তকমা লাগাতে হবে! সকল পেশার ক্ষেত্রেই বলছি, নীতি বা অসততা ব্যাপারটা তো কোনো পেশার গায়ে লাগানো থাকে না, এটা রক্তের রন্ধ্রে মিশে থাকে। তাই যে যেখানেই যাক নিজের স্বরুপেই থাকেন।
জাজমেন্টাল হওয়া ভালো তবে অতি নয়। আর সংবিধানের আর্টিকেল ৩৯ এবং মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণাপত্র অনুযায়ী আর্টিকেল ১৯ এ দেওয়া বাকস্বাধীনতা প্রয়োগ করতে গিয়ে যদি কটুবাক্য প্রয়োগে অধিকারের সীমা লঙ্ঘিত হয়, সেক্ষেত্রে অফ যাওয়াটা বেটার।
এরপরেও কেউ কেউ ঝাঁপিয়ে পড়বেন এটার বিপক্ষে কী কী কটুবাক্য লেখা যায়। “who cares”!
লেখাটি এমি জান্নাত-এর ফেসবুক থেকে নেওয়া (সোশ্যাল মিডিয়া বিভাগের লেখার আইনগত ও অন্যান্য দায় লেখকের নিজস্ব। এই বিভাগের কোনো লেখা সম্পাদকীয় নীতির প্রতিফলন নয়। )