হাওর বার্তা ডেস্কঃ আমাদের শরীরের অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ হচ্ছে কিডনি। গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ বলার কারণ হচ্ছে, এটি আমাদের দেহে অনেকটা ছাকনির মতো কাজ করে। অর্থাৎ কিডনি শরীরের অতিরিক্ত তরল নিঃসরণ করে থাকে আমাদের সুস্থ থাকতে সহায়তা করে।
তবে নিজেদের কিছু সাধারণ ভুলের কারণে গুরুত্বপূর্ণ এই অঙ্গটি বিকল হয়ে যেতে পারে। কিডনির সমস্যা শুরুর দিকে টের পাওয়া যায় না। কিন্তু যখন গুরুতর হয় তখন ধরা পড়ে। তাই কিডনির বিষয়ে আগে থেকেই সতর্ক থাকা আমাদের সবার জন্যই অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
চলুন এবার জেনে নেয়া যাক কোন ভুলগুলোর জন্য বিকল হয়ে যেতে পারে আমাদের মূল্যবান কিডনি-
অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ
উচ্চ রক্তচাপ আমাদের পুরো শরীরের জন্যই ক্ষতিকর। আর উচ্চ রক্তচাপ অনিয়ন্ত্রিত হওয়ার কারণে আপনার কিডনির দিকে পরিচালিত রক্তনালিগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
বেশি সাপলিমেন্ট খাওয়া
বিভিন্ন সাপলিমেন্টে কিছু ভিটামিন থাকে, যা আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকারক হিসেবে কাজ করতে পারে। আর সাপলিমেন্টে থাকা অ্যারিস্টোলোকিক অ্যাসিড নামক উদ্ভিদভিত্তিক উপাদানটি কিডনিতে ক্ষত সৃষ্টি করতে পারে।
অতিরিক্ত ওজন
অতিরিক্ত ওজন বেড়ে গেলে সেটি আপনার টাইপ-২ ডায়াবেটিসের আশঙ্কা বাড়িয়ে দিতে পারে। আর এর কারণে আপনার কিড়নি রোগ হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। কারণ টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ইনসুলিনের সমস্যা কিডনিতে প্রদাহ ও ক্ষত সৃষ্টি করে।
প্রক্রিয়াজাত খাবার বেশি খাওয়া
বেশিরভাগ প্রক্রিয়াজাত খাবারেই সোডিয়াম থাকে অনেক বেশি। আর এগুলো হার্টের সমস্যা সৃষ্টি করার পাশাপাশি কিডনিরও অনেক ক্ষতি করে থাকে। শরীরে বেশি পরিমাণে সোডিয়াম গেলে প্রস্রাবের সঙ্গে বেশি ক্যালসিয়াম বের হয়। আর এর ফলে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
তৃষ্ণার্ত অবস্থায় পানি পান না করা
আপনার কিডনিকে ভালো রাখতে হলে সারা দিনে আট গ্লাস পানি পান করতে হবে। তৃষ্ণার্ত থাকার পরও যদি আপনি পানি পান না করেন, তাহলে আপনার শরীর পানিশূন্য হয়ে পড়ে রক্তচাপ কমে যেতে পারে এবং কিডনিতে রক্তপ্রবাহ কমে যেতে পারে। ফলে হতে পারে আপনার কিডনির মারাত্মক ক্ষতি।
বেশি ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়া
এটি আমাদের অনেকেরই জানা যে, ব্যথানাশক ওষুধ শরীরের ক্ষতি করে থাকে। কিন্তু আপনি হয়তো জানেন না যে এটি আপনার কিড়নিকে নষ্ট করে দেওয়ার মতো ক্ষতি করতে পারে। এই ওষুধ এনএসএআইডি নামক প্রদাহবিরোধী, যার মধ্যে রয়েছে আইবুপ্রোফেন ও অ্যাসপিরিন। আর এগুলো কিডনিতে রক্তপ্রবাহ হ্রাস করে এবং দাগ সৃষ্টি করে সরাসরি অঙ্গের জন্য বিষাক্ত হিসেবে কাজ করতে পারে।