ঢাকা ০২:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লকডাউন শিথিল করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরছে মালয়েশিয়া

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:৫১:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ২২৮ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মহামারি করোনাভাইরাস রোধে ১ জুন থেকে টানা মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডারের (এমসিও) কারণে জনজীবনে স্থবিরতা নেমে আসে। দেশটির অর্থনীতিও তলানিতে পৌঁছে।

গণহারে কাজ হারিয়ে মানুষজন মানবেতর জীবনযাপন করছে। এই অবস্থায় স্বাভাবিক পরিস্থিতি পুনরুজ্জীবিত করতে লকডাউনের সব নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি প্রত্যাহার না করে ধীরে ধীরে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়া হচ্ছে।

এর অংশ হিসেবে শুক্রবার থেকে রাজধানীর কুয়ালালামপুর, সেলেঙ্গর ও প্রশাসনিক এলাকা পুত্রাজায়া থেকে কিছু শর্তসাপেক্ষে সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল সাবরী ইয়াকুব লকডাউন শিথিলের ঘোষণা দেন। শুক্রবার থেকে এই ধাপ-১ নির্দেশনা কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

তিনি বলেন, মহামারি ব্যবস্থাপনার বিশেষ কমিটির এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অন্য রাজ্যগুলোকে ধাপ-১-এর আওতায় আনা হবে।

ইসমাইল সাবরি আরো বলেন, ব্যবস্থাপনা কমিটি একটি সাধারণ সংক্রমণ এলাকা হিসেবে সেলাঙ্গোর, কুয়ালালামপুর ও পুত্রজায়াকে একত্রিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাদের মধ্যে স্বাভাবিক চলাচলের অনুমতি দেয়া হয়েছে এবং আর কোনো বাধা থাকবে না, তাদের বাইরে বের হতে পুলিশের কোনো অনুমতির প্রয়োজন নেই। যেসব স্থানে রোডব্লক রয়েছে ওই জায়গাগুলো থেকে তা সরিয়ে নেয়া হবে। ফুল ডোজ টিকা নিয়েছেন এমন দম্পতিরা এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে যেতে পারবেন তাদের সন্তানদের দেখার জন্য।

রাজ্যের খেলাধুলা, বিনোদন কেন্দ্র, বিভিন্ন স্পট ঘুরতে পারবেন, রেস্তোরাঁ, বাণিজ্য ও বিতরণ খাতের ব্যাপারে ইসমাইল সাবরি বলেন, প্রথম পর্বের অধীনে রাজ্যগুলোতে আগামীকাল থেকে ফুল বিক্রেতাদের দোকান, নার্সারি, বহিরাঙ্গন সরঞ্জামের দোকান এবং হাউজিং গ্যালারিগুলো পরিচালনার অনুমতি দেয়া হবে, নাপিত, হেয়ারড্রেসার এবং বিউটি সেলুনের কাজ করার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত নমনীয়তা দেয়া হবে।

এ সমস্ত সুবিধা তাদেরকেই দেয়া হচ্ছে যারা দুই ডোজ টিকাগ্রহণ সম্পন্ন করে ১৪ দিন পার করেছেন। মালয়েশিয়ায় করোনা পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। জাতীয় অর্থনীতি পুনরুদ্ধার ও মানুষের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক করতে সরকার ধাপ-১, ধাপ-২ ও ধাপ-৩ কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। ধাপে ধাপে এগুলো বাস্তবায়ন করে মালয়েশিয়া স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার চেষ্টা করছে।

এ দিকে গত ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৬৩.৭% প্রথম ডোজ এবং ৪৯.৯% ২য় ডোজ ঠিকা সম্পন্ন হয়েছে। এ ছাড়া ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১৯ হাজার ৭৩৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, মোট আক্রান্ত ১,৯০০,৪৬৭ জন, মৃত্যুবরণ করেছেন, ৩৬১ জন, মোট মৃত্যুবরণ করেছেন,১৯ হাজার ১৬৩ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন, ১৬ লাখ ৩২ হাজার ৬৩১ জন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

লকডাউন শিথিল করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরছে মালয়েশিয়া

আপডেট টাইম : ০৯:৫১:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মহামারি করোনাভাইরাস রোধে ১ জুন থেকে টানা মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডারের (এমসিও) কারণে জনজীবনে স্থবিরতা নেমে আসে। দেশটির অর্থনীতিও তলানিতে পৌঁছে।

গণহারে কাজ হারিয়ে মানুষজন মানবেতর জীবনযাপন করছে। এই অবস্থায় স্বাভাবিক পরিস্থিতি পুনরুজ্জীবিত করতে লকডাউনের সব নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি প্রত্যাহার না করে ধীরে ধীরে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়া হচ্ছে।

এর অংশ হিসেবে শুক্রবার থেকে রাজধানীর কুয়ালালামপুর, সেলেঙ্গর ও প্রশাসনিক এলাকা পুত্রাজায়া থেকে কিছু শর্তসাপেক্ষে সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল সাবরী ইয়াকুব লকডাউন শিথিলের ঘোষণা দেন। শুক্রবার থেকে এই ধাপ-১ নির্দেশনা কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

তিনি বলেন, মহামারি ব্যবস্থাপনার বিশেষ কমিটির এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অন্য রাজ্যগুলোকে ধাপ-১-এর আওতায় আনা হবে।

ইসমাইল সাবরি আরো বলেন, ব্যবস্থাপনা কমিটি একটি সাধারণ সংক্রমণ এলাকা হিসেবে সেলাঙ্গোর, কুয়ালালামপুর ও পুত্রজায়াকে একত্রিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাদের মধ্যে স্বাভাবিক চলাচলের অনুমতি দেয়া হয়েছে এবং আর কোনো বাধা থাকবে না, তাদের বাইরে বের হতে পুলিশের কোনো অনুমতির প্রয়োজন নেই। যেসব স্থানে রোডব্লক রয়েছে ওই জায়গাগুলো থেকে তা সরিয়ে নেয়া হবে। ফুল ডোজ টিকা নিয়েছেন এমন দম্পতিরা এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে যেতে পারবেন তাদের সন্তানদের দেখার জন্য।

রাজ্যের খেলাধুলা, বিনোদন কেন্দ্র, বিভিন্ন স্পট ঘুরতে পারবেন, রেস্তোরাঁ, বাণিজ্য ও বিতরণ খাতের ব্যাপারে ইসমাইল সাবরি বলেন, প্রথম পর্বের অধীনে রাজ্যগুলোতে আগামীকাল থেকে ফুল বিক্রেতাদের দোকান, নার্সারি, বহিরাঙ্গন সরঞ্জামের দোকান এবং হাউজিং গ্যালারিগুলো পরিচালনার অনুমতি দেয়া হবে, নাপিত, হেয়ারড্রেসার এবং বিউটি সেলুনের কাজ করার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত নমনীয়তা দেয়া হবে।

এ সমস্ত সুবিধা তাদেরকেই দেয়া হচ্ছে যারা দুই ডোজ টিকাগ্রহণ সম্পন্ন করে ১৪ দিন পার করেছেন। মালয়েশিয়ায় করোনা পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। জাতীয় অর্থনীতি পুনরুদ্ধার ও মানুষের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক করতে সরকার ধাপ-১, ধাপ-২ ও ধাপ-৩ কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। ধাপে ধাপে এগুলো বাস্তবায়ন করে মালয়েশিয়া স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার চেষ্টা করছে।

এ দিকে গত ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৬৩.৭% প্রথম ডোজ এবং ৪৯.৯% ২য় ডোজ ঠিকা সম্পন্ন হয়েছে। এ ছাড়া ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১৯ হাজার ৭৩৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, মোট আক্রান্ত ১,৯০০,৪৬৭ জন, মৃত্যুবরণ করেছেন, ৩৬১ জন, মোট মৃত্যুবরণ করেছেন,১৯ হাজার ১৬৩ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন, ১৬ লাখ ৩২ হাজার ৬৩১ জন।