ঢাকা ১১:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমরা যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই: প্রধানমন্ত্রী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:৪৭:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ১৭০ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ শান্তি ছাড়া কোনো দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘যুদ্ধ ধ্বংস ডেকে আনে। আমরা যুদ্ধের পথে যেতে চাই না। শান্তি চাই।’

রবিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে ‘নৌ ও বিমান বাহিনীর নির্বাচনি পর্ষদ (প্রথম পর্ব) ২০২১-’এ গণভবন থেকে ঢাকা সেনানিবাসের নৌ ও বিমানবাহিনী সদর দপ্তরে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কেউ যদি আক্রমণ করে, তাদের প্রতিহত করার জন্য দেশ রক্ষার সব প্রস্তুতি আমাদের থাকতে হবে। সেজন্য আমাদের প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জামের আধুনিকায়নের মাধ্যমে আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন হতে হবে।

 

‘সশস্ত্র বাহিনী নিয়ে বাংলাদেশ গর্বিত’ মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ নিয়ে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে বাংলাদেশ চলবে। বাংলাদেশ হবে ভবিষ্যতে উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ।

নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দক্ষ কর্মকর্তাদের বিবেচনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে আমাদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় যারা দক্ষ, তারা প্রমোশন পেয়ে প্রত্যেক বাহিনী পরিচালনার দায়িত্ব পাবেন। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনারা পদোন্নতির জন্য যে পদ্ধতিগুলো নিয়েছেন, টিআরএসিই-ট্রেস (টেবুলেটেড রেকর্ড অ্যান্ড কম্পারেটিভ ইভালুয়েশন) আমি মনে করি, এটা একটা আধুনিক পদ্ধতি। এই পদ্ধতির ভিত্তিতেই আপনাদের জ্ঞান এবং প্রজ্ঞা দিয়ে আপনারা নির্বাচনি পর্ষদ আগামী দিনে যারা দক্ষতার সঙ্গে নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনী পরিচালনা করবেন, তাদের নির্বাচিত করবেন। পাশাপাশি, আমি এটাও বলবো যে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় অনেকে কর্তব্য পালনে অনেক দক্ষতার পরিচয় দিতে পারেন। কাজেই, তারাও যেন অবহেলিত না হন, সেদিকটাও আপনারা বিবেচনা করবেন।

No description available.রাষ্ট্র পরিচালনায় যখনই প্রয়োজন হবে, তখনই সশস্ত্র বাহিনী মানুষের পাশে থাকবে বলে আশা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যেভাবে আপনারা মানুষের সেবা করছেন সেভাবে সেবা করে যাবেন।’

শেখ হাসিনা বলেন, উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বিমান বাহিনীতেও যুক্ত হয়েছে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান, এফ-৭ বিজিআই, মিগ-২৯, ইয়াক-১৩০, সুপরিসর সি-১৩০ পরিবহন বিমান, এমআই-১৭১ এসএইচ হেলিকপ্টার, অত্যাধুনিক অগাস্টা ওয়েস্টল্যান্ড-১৩৯ মেরিটাইম সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ হেলিকপ্টার, উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন আকাশ প্রতিরক্ষা রাডার, ভূমি থেকে আকাশে উৎক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র এবং অত্যাধুনিক প্রশিক্ষণ বিমান। তিনি বলেন, এভাবেই সুসংগঠিত আধুনিক নৌ ও বিমানবাহিনী গঠনে জাতির পিতার সুদূরপ্রসারী স্বপ্ন বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতা বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার অব্যাহত রেখেছে।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে পদ্মাসেতু প্রায় শেষ পর্যায়ে। এরই পাশাপাশি, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল ও মেট্রোরেল নির্মাণ, এলএনজি আমদানি করে দেশের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি শিল্পোন্নয়ন, সারাদেশে একশতটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হয়েছে। যেখানে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ হবে ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।, খাদ্য উৎপাদন বাড়িয়ে জনগণের খাদ্য ও পুষ্টির নিশ্চয়তা বিধানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সূত্র: বাসস

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

আমরা যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ০৭:৪৭:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ শান্তি ছাড়া কোনো দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘যুদ্ধ ধ্বংস ডেকে আনে। আমরা যুদ্ধের পথে যেতে চাই না। শান্তি চাই।’

রবিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে ‘নৌ ও বিমান বাহিনীর নির্বাচনি পর্ষদ (প্রথম পর্ব) ২০২১-’এ গণভবন থেকে ঢাকা সেনানিবাসের নৌ ও বিমানবাহিনী সদর দপ্তরে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কেউ যদি আক্রমণ করে, তাদের প্রতিহত করার জন্য দেশ রক্ষার সব প্রস্তুতি আমাদের থাকতে হবে। সেজন্য আমাদের প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জামের আধুনিকায়নের মাধ্যমে আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন হতে হবে।

 

‘সশস্ত্র বাহিনী নিয়ে বাংলাদেশ গর্বিত’ মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ নিয়ে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে বাংলাদেশ চলবে। বাংলাদেশ হবে ভবিষ্যতে উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ।

নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দক্ষ কর্মকর্তাদের বিবেচনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে আমাদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় যারা দক্ষ, তারা প্রমোশন পেয়ে প্রত্যেক বাহিনী পরিচালনার দায়িত্ব পাবেন। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনারা পদোন্নতির জন্য যে পদ্ধতিগুলো নিয়েছেন, টিআরএসিই-ট্রেস (টেবুলেটেড রেকর্ড অ্যান্ড কম্পারেটিভ ইভালুয়েশন) আমি মনে করি, এটা একটা আধুনিক পদ্ধতি। এই পদ্ধতির ভিত্তিতেই আপনাদের জ্ঞান এবং প্রজ্ঞা দিয়ে আপনারা নির্বাচনি পর্ষদ আগামী দিনে যারা দক্ষতার সঙ্গে নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনী পরিচালনা করবেন, তাদের নির্বাচিত করবেন। পাশাপাশি, আমি এটাও বলবো যে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় অনেকে কর্তব্য পালনে অনেক দক্ষতার পরিচয় দিতে পারেন। কাজেই, তারাও যেন অবহেলিত না হন, সেদিকটাও আপনারা বিবেচনা করবেন।

No description available.রাষ্ট্র পরিচালনায় যখনই প্রয়োজন হবে, তখনই সশস্ত্র বাহিনী মানুষের পাশে থাকবে বলে আশা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যেভাবে আপনারা মানুষের সেবা করছেন সেভাবে সেবা করে যাবেন।’

শেখ হাসিনা বলেন, উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বিমান বাহিনীতেও যুক্ত হয়েছে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান, এফ-৭ বিজিআই, মিগ-২৯, ইয়াক-১৩০, সুপরিসর সি-১৩০ পরিবহন বিমান, এমআই-১৭১ এসএইচ হেলিকপ্টার, অত্যাধুনিক অগাস্টা ওয়েস্টল্যান্ড-১৩৯ মেরিটাইম সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ হেলিকপ্টার, উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন আকাশ প্রতিরক্ষা রাডার, ভূমি থেকে আকাশে উৎক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র এবং অত্যাধুনিক প্রশিক্ষণ বিমান। তিনি বলেন, এভাবেই সুসংগঠিত আধুনিক নৌ ও বিমানবাহিনী গঠনে জাতির পিতার সুদূরপ্রসারী স্বপ্ন বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতা বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার অব্যাহত রেখেছে।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে পদ্মাসেতু প্রায় শেষ পর্যায়ে। এরই পাশাপাশি, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল ও মেট্রোরেল নির্মাণ, এলএনজি আমদানি করে দেশের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি শিল্পোন্নয়ন, সারাদেশে একশতটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হয়েছে। যেখানে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ হবে ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।, খাদ্য উৎপাদন বাড়িয়ে জনগণের খাদ্য ও পুষ্টির নিশ্চয়তা বিধানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সূত্র: বাসস