কাবুল বিমানবন্দরে রকেট হামলা

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আফগানিস্তানের কাবুল বিমানবন্দরে রকেট হামলা হয়েছে। সোমবার ভোরে অন্তত পাঁচটি রকেট হামলা হয়, যা বিমানবন্দরে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপনাস্ত্র প্রতিরোধী সিস্টেম ঠেকিয়েছে। মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানায়।|

প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের শেষ দিন ৩১ আগস্ট মঙ্গলবার। ইতোমধ্যে যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশ তাদের সেনাদের সরিয়ে নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রও তাদের আফগান অভিযান আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ করার পথে।

ইয়াহু নিউজ জানায়, কাবুল বিমানবন্দরে বর্তমানে চার হাজারেরও কম সংখ্যক মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছেন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, একটি গাড়ির পেছনের অংশ থেকে এসব রকেট হামলা চালানো হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক মার্কিন কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, এ রকেট হামলায় কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর প্রাথমিকভাবে পাওয়া যায়নি।

হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ‘সেখানে (আফগানিস্তান) আমাদের বাহিনীর সুরক্ষার জন্য যা যা প্রয়োজন, কমান্ডাররা সেটাই করবেন।’ কাবুল বিমানবন্দর থেকে সেনাদের সরিয়ে নেয়ার অভিযান অব্যহতভাবে চলবে বলেও জানান তিনি।

এরইমধ্যে রোববার সন্ধ্যায় কাবুল বিমানবন্দরের কাছে রকেট হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। আত্মঘাতী হামলাকারীকে রুখতেই এ হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।

বিমানবন্দরের উত্তর-পশ্চিম দিকে একটি গাড়ি হামলাকারীকে বহন করছে – এমন সন্দেহ থেকে ওই গাড়ি লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়। এ সময় পাশের একটি বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

মার্কিন এক কর্মকর্তার বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, সন্দেহভাজন ইসলামিক স্টেট খোরাসানের সন্ত্রাসীদের লক্ষ্য করে রকেট হামলা চালানো হয়। ওই হামলায় শিশুসহ অন্তত ৯ বেসামরিক মানুষ নিহত হন। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, ড্রোনের আঘাতে গাড়িতে থাকা হামলাকারিও নিহত হয়েছে।

বিমানবন্দরের ফটকে বোমা হামলার প্রেক্ষিতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে মার্কিন সেনারা। ছবি: বিবিসি

এর আগে গত বৃহস্পতিবার কাবুল বিমানবন্দরে প্রচণ্ড ভিড়ের মধ্যে দুটি আত্মঘাতী বোমা হামলা হয়। এতে ১৩ মার্কিন সেনাসহ ১৭৫ জন নিহত হন। উগ্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসকেপি (ইসলামিক স্ট্যাট অব খোরাসান প্রোভিন্স) ওই হামলার দায় স্বীকার করে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর