সেই আফগান নারী এমপির কাছে ক্ষমা চাইল ভারত

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আফগানিস্তান পার্লামেন্টের নারী এমপি রঙ্গিনা কারগারকে দিল্লি থেকে ফেরত পাঠানোর ঘটনাকে অনিচ্ছাকৃত ভুল বলে দাবি করেছে ভারত। কারগারের সঙ্গে যা হয়েছে তার জন্য ক্ষমাও চেয়েছে মোদি সরকার। তাকে দ্রুত আপদকালীন ভিসার জন্য আবেদন করতে বলা হয়েছে।

শুক্রবার ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সর্বদলীয় বৈঠকে কারগারের প্রসঙ্গটি আলোচনা হয়। কেন্দ্র নিজের ভুল বুঝতে পেরে আফগান এমপির কাছে ক্ষমা চায়।

রাজ্যসভায় কংগ্রেস দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে, আনন্দ শর্মা এবং অধীররঞ্জন চৌধুরীরা বিষয়টি সর্বদলীয় বৈঠকে উপস্থাপন করেন।

নেতারা কেন্দ্রীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে জিজ্ঞাসা করেন, একজন প্রতিষ্ঠিত আফগান রাজনীতিবিদের সঙ্গে কেন এমনটা করল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, যেখানে উনি বহুবার ডিপ্লোম্যাটিক পাসপোর্টের মাধ্যমে ভারতে এসেছেন।

এ সময় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, অভিবাসন দপ্তরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল, তালেবানরা কিছু ভারতীয় ভিসাসহ পাসপোর্ট কেড়ে নিয়েছে। ডিপ্লোম্যাটিক পাসপোর্ট নিয়ে কেউ ভারতে ছদ্মবেশে না ঢুকে পড়ে তাই এই ব্যবস্থা করা হয়।

খাড়গে জানিয়েছেন, আমরা বিষয়টি সরকারের কাছে উপস্থাপন করি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, এটা অনিচ্ছাকৃত ভুল হয়ে গেছে। ভবিষ্যতে এমনটা আর হবে না। সরকার ভুল স্বীকার করেছে।

এ বিষয়ে কারগার দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও ইরানবিষয়ক দপ্তরের যুগ্ম সচিব জেপি সিং আমাকে ফোন করেছিলেন। পুরো ঘটনার জন্য তিনি ক্ষমা চেয়েছেন। আর আমাকে আপদকালীন ভিসার জন্য আবেদন করতে বলেছেন।

‘আমি জানতে চেয়েছি, সরকারি পাসপোর্ট কি বৈধ নয়, তিনি তার কোনো উত্তর দেননি। আমি তাকে বলেছি, আমার মেয়ের জন্য ১৯ আগস্ট ই-ভিসার জন্য আবেদন করেছিলাম। কিন্তু তার কোনো খবর আসেনি।’

১১ বছর ধরে আফগানিস্তান পার্লামেন্টের সদস্য রঙ্গিনা কারগার। ফারিয়াব প্রদেশের ওলেসি জিরগার এমপি তিনি। গত ২০ আগস্ট ইস্তানবুল থেকে দুবাইয়ের একটি বিমানে দিল্লি বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। কূটনৈতিক পাসপোর্ট থাকায় ভিসা ছাড়াই ভারতে পৌঁছাতে পারেন তিনি। তবে সেখান থেকেই তাকে আফগানিস্তান ফেরত পাঠানো হয়।

ওই ঘটনায় কারগার জানিয়েছিলেন, আগেও বহুবার ভারতে গিয়েছেন তিনি। সেই একই পাসপোর্ট দিয়ে দিল্লি প্রবেশ করেন তিনি। তবে আগে কোনো সমস্যা না থাকলেও এবার ভারতীয় অভিবাসন কর্মকর্তারা তাকে অপেক্ষা করতে বলেন। পরে উচ্চপদস্থ কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে দুই ঘণ্টা পর একই বিমানে তাকে ইস্তানবুলে ফেরত পাঠানো হয়।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর