রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, সেবা, সততা, নিষ্ঠা ও দেশপ্রেম দিয়ে এ সনদের মান সমুজ্জ্বল রাখতে হবে। তোমাদের এ অর্জনে দেশের মানুষের অনেক অবদান রয়েছে। নিজেদের মেধা, মনন ও কর্মের মাধ্যমে তা পরিশোধ করবে। কর্মক্ষেত্রে পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকো না কেন, মাতৃভূমি এবং দেশের জনগণের কথা কখনো ভুলবে না।
তিনি বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে আমাদের উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের পথ রুদ্ধ হয়। বন্ধ হয় মানুষের বাক, মতামত ও চিন্তার স্বাধীনতা। নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে দেশে আজ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত।’
সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) তৃতীয় সমাবর্তনে এসব কথা বললেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এর আগে সমার্বতনকে কেন্দ্র করে চুয়েটের ভিতরে ও বাইরের এলাকায় বিভিন্নভাবে সাজ-সজ্জা করেছেন কর্তৃপক্ষ। রাষ্ট্রপতির জন্য তৈরি করা হয়েছিল ২টি হেলিপ্যাডও।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, এবারের সমাবর্তনে স্নাতকে ১ হাজার ৫৬৪ জন, মাস্টার্সে ৩২ জন, পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা চারজন এবং পিএইচডি’তে তিনজনকে ডিগ্রি দিয়েছে চুয়েট। এর মধ্যে গোল্ড মেডেল পেয়েছে চারজন। সমাবর্তনে এবারই প্রথম পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং (পিএমই) বিভাগ থেকে প্রকৌশল ডিগ্রি দেওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীকে সামনে রেখে একটি তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর জ্ঞানভিত্তিক সুখী সমৃদ্ধ দেশ গঠনে ‘রূপকল্প ২০২১’ ঘোষণা করেছেন। এ রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নে নিরলস প্রচেষ্টা চালাতে হবে। তিনি বলেন, আগামী ২০৫০ বা ২১০০ সালে বাংলাদেশের উন্নয়ন কেমন হওয়া উচিত বা অবস্থান কোন স্তরে পৌঁছাবে তা বিবেচনায় রেখেই উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টিকেও যথাযথভাবে গুরুত্ব দিতে হবে। বিশ্বায়নের এ যুগে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে নিজেদের জ্ঞান ও দক্ষতাকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে হবে।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সমাবর্তন বক্তা সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান, চুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। উপস্থিত ছিলেন চুয়েটের পুরকৌশল অনুষদের ডিন ড. মো. হজরত আলী, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন ড. আশুতোষ সাহা, যন্ত্রকৌশল অনুষদের ডিন ড. মো. মাহবুবুল আলম, তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদের ডিন ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূঁইয়া, স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডিন ড. মোস্তাফা কামাল ও রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী।