রাজবাড়ীতে বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা মামলায় আদালতে জামিন নিতে এসে কারাগারে গেছেন ৩ আওয়ামী লীগ নেতা। তারা হলেন গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, দৌলতদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ মোসারফ হোসেন প্রামানিক, দেবগ্রাম ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য নুরু মোল্যা।
আজ বুধবার দুপুরে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করলে জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেন বিচারক। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজবাড়ী কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মো. আমিনুল ইসলাম।
জানা গেছে, গত ১০ ডিসেম্বর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. শরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মোস্তফা মুন্সি, পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম মন্ডল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব ঘোষসহ ৫৯ জনের নাম উল্লেখ করেন এবং অজ্ঞাতনামা ৩০০-৪০০ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গোয়ালন্দে আন্দোলন চলাকালে গত ৪ আগস্ট দুপুরে আন্দোলনকারীদের ওপর পরিকল্পিত হামলা চালানো হয়।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, আসামীরা বেআইনি অস্ত্রসহ আন্দোলনকারীদের ঘিরে ফেলেন। তাদের ওপর বোমা, আগ্নেয়াস্ত্র, রামদা, লাঠি ও অন্যান্য মারাত্মক অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হয়।
হামলার সময় আন্দোলনকারীরা কোটা না মেধা, স্বৈরাচার নিপাত যাক ইত্যাদি স্লোগান দিচ্ছিলেন।
অভিযোগ অনুযায়ী, হামলাকারীরা আন্দোলনকারীদের মারধর, গুলি বর্ষণ এবং বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গুরুতর আহত করেন। এমনকি আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিতেও বাধা দেওয়া হয়।
অভিযোগে আরও বলা হয়, এ হামলা একটি যৌক্তিক আন্দোলনকে দমনের উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয়েছিল।