ঢাকা ১০:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পঞ্চগড়ে আবারও মৃদু শৈতপ্রবাহ, তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রির ঘরে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:১২:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৫ বার

পঞ্চগড়ে আবারও গত দুইদিন ধরে সূর্যের দেখা মেলেনি। বুধ ও বৃহস্পতিবার দুইদিন আকাশ ছিল মেঘাচ্ছন্ন আর কুয়াশায় ঢাকা। কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশ বিরাজ করলেও তীব্র বাতাস বয়ে যাচ্ছে।

আজ বৃহস্পতিবার বয়ে যাচ্ছে মৃদূ শৈতপ্রবাহ। শীতের চিরচেনা আবহাওয়া শুরু হয়েছে উত্তরের এই জনপদ পঞ্চগড়ে। তাপমাত্রার পারদ আবার ৯ ডিগ্রির ঘরে। তীব্র হিমেল বাতাসে আকষ্মিকভাবে শীতের দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। জনজীবনে দুর্ভোগ বেড়েছে। তাপমাত্রা ৮ থেকে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে উঠানামা করছে।

পঞ্চগড়ের তেতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। গতকাল বুধবার সকাল ৯টায় ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসের আদ্রতা ছিল ৮৭ ভাগ। প্রতি ঘন্টায় বাতাসের গতি ছিল ১৬ কিলোমিটার।

আজ বৃহস্পতিবার এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সূর্যের দেখা পাওয়া যায়নি। সমগ্র এলাকা কুয়াশাচ্ছন্ন। তীব্র শীতে হাট-বাজারগুলোতে লোক সমাগম কমে গেছে। যাত্রী কম হওয়ায় রাস্তায় যানবাহনের সংখ্যাও কম দেখা গেছে। তীব্র শীত ও হিমশীতল বাতাসে রিক্সা-ভ্যানে যাত্রীরা উঠতে চায়না। অনেকে জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হয় না। অনেককেই জীবিকার প্রয়োজনে শীতের মধ্যেও ঘর থেকে বের হয়েছেন। সরকারি ও বেসরকারি ভাবে যে পরিমাণ শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে তা অতি নগন্য। জেলা বা উপজেলা সদরে বেশী শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে। গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র পৌঁছেনি। অনেকেই কম্বল ও গরম কাপড়ের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। এ পর্যন্ত সরকারি বেসরকারিভাবে শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল বিতরণ করা হলেও শিশুদের জন্য কোনো গরম কাপড় বা সুয়েটার বিতরণ করা হয়নি।

পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক মো. সাবেত আলী জানান, শীত মোকাবেলায় সরকারের পক্ষ থেকে প্রস্তুতি রয়েছে। এ পর্যন্ত পঞ্চগড় জেলায় ৪৫ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

পঞ্চগড়ে আবারও মৃদু শৈতপ্রবাহ, তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রির ঘরে

আপডেট টাইম : ১১:১২:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৫

পঞ্চগড়ে আবারও গত দুইদিন ধরে সূর্যের দেখা মেলেনি। বুধ ও বৃহস্পতিবার দুইদিন আকাশ ছিল মেঘাচ্ছন্ন আর কুয়াশায় ঢাকা। কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশ বিরাজ করলেও তীব্র বাতাস বয়ে যাচ্ছে।

আজ বৃহস্পতিবার বয়ে যাচ্ছে মৃদূ শৈতপ্রবাহ। শীতের চিরচেনা আবহাওয়া শুরু হয়েছে উত্তরের এই জনপদ পঞ্চগড়ে। তাপমাত্রার পারদ আবার ৯ ডিগ্রির ঘরে। তীব্র হিমেল বাতাসে আকষ্মিকভাবে শীতের দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। জনজীবনে দুর্ভোগ বেড়েছে। তাপমাত্রা ৮ থেকে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে উঠানামা করছে।

পঞ্চগড়ের তেতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। গতকাল বুধবার সকাল ৯টায় ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসের আদ্রতা ছিল ৮৭ ভাগ। প্রতি ঘন্টায় বাতাসের গতি ছিল ১৬ কিলোমিটার।

আজ বৃহস্পতিবার এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সূর্যের দেখা পাওয়া যায়নি। সমগ্র এলাকা কুয়াশাচ্ছন্ন। তীব্র শীতে হাট-বাজারগুলোতে লোক সমাগম কমে গেছে। যাত্রী কম হওয়ায় রাস্তায় যানবাহনের সংখ্যাও কম দেখা গেছে। তীব্র শীত ও হিমশীতল বাতাসে রিক্সা-ভ্যানে যাত্রীরা উঠতে চায়না। অনেকে জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হয় না। অনেককেই জীবিকার প্রয়োজনে শীতের মধ্যেও ঘর থেকে বের হয়েছেন। সরকারি ও বেসরকারি ভাবে যে পরিমাণ শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে তা অতি নগন্য। জেলা বা উপজেলা সদরে বেশী শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে। গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র পৌঁছেনি। অনেকেই কম্বল ও গরম কাপড়ের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। এ পর্যন্ত সরকারি বেসরকারিভাবে শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল বিতরণ করা হলেও শিশুদের জন্য কোনো গরম কাপড় বা সুয়েটার বিতরণ করা হয়নি।

পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক মো. সাবেত আলী জানান, শীত মোকাবেলায় সরকারের পক্ষ থেকে প্রস্তুতি রয়েছে। এ পর্যন্ত পঞ্চগড় জেলায় ৪৫ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।