রক্তাক্ত ১৫ই আগস্ট স্বার্থক হবে যেদিন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবতা পাবে

ড. গোলসান আরা বেগমঃ বাংলাদেশের হৃদয় কেটে কেটে, পদ্মা মেঘনার অববাহিকা ঘুরে, ইতিহাসের ইতি আদি খুঁড়ে সব জায়গায় বঙ্গবন্ধুকে খুঁজে পাবেন। বাঙালির হাজার বছরের ক্লান্তি ঝরে ফেলে দিয়ে বিশ্বমানচিত্রে বাংলাদেশের জন্ম দিয়েছেন। তিনি হয়েছেন বঙ্গের বন্ধু,বাঙালির আপন স্বজন। তাই বাংলাদেশের প্রতিটি জনপদের ধূলিবালি বলে বাংলাদেশ মানে বঙ্গবন্ধু। “বঙ্গবন্ধু মানে বাংলাদেশ” যতই করো চেষ্টা, কেউ পারবে তা অস্বীকার করতে? তারপরও যা না বললে সত্য রয়ে যাবে অন্ধকারে – বঙ্গবন্ধুকে কেন হত্যা করা হয়েছিলো?

বঙ্গবন্ধু তাঁর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, মেধা, দুরদর্শি চিন্তা,ত্যাগ তিতিক্ষা,  জনসেবা, গর্বময় নেতৃত্বের জন্য হয়েছেন হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙালি। শুধু শ্রম ঘামই ব্যয় করেননি বাঙালির স্বাধীনতা অর্জনের জন্য, রক্ত দিয়ে, জীবন দিয়ে কথা দিয়ে কথার মর্যাদা রক্ষা করেছেন। তিনি বাঙালির ভাগ্যাকাশে উজ্জল ধ্রুব নক্ষত্রের মত উদয় হয়েছিলেন।

মৃত্যু ভয় মাথায় রেখে সারা জীবন রাজনীতি করেছেন টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া পর্যন্ত সাড়ে সাত কোটি বাঙালিকে সাথে নিয়ে। তাঁর প্রধান লক্ষ্য ছিল বাঙালিকে শোষণ মুক্ত করা,দারিদ্র্যতার হাত থেকে রক্ষা করা,বিশ্বের বুকে মর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্টিত করা। রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাবার পরও মৃত্যু ঝুঁকি থেকে রেহাই পাননি। দুই বার ফাঁসির মঞ্চেও গিয়েছিলেন মৃত্যুকে আলিঙ্গন করার প্রস্তুতি নিয়ে। কিন্তু না,মৃত্যু তার কেশাগ্র স্পর্শ করতে পারেনি। ১২ বছর সময় পাড় করেছেন কারাগারের অন্তরালে। কেউ তার গায়ে নকের আঁচড়ও ফেলতে পারেনি। বরং মাথা উচু করে, অত্যান্ত সাহসিকতার সঙ্গেই বাঙালির জাতিসত্ত্বা, বাঙালি জাতীয়বাদ উদ্ধারের লড়াইয়ে ছিলেন অবিচল।

তিনি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহনে ছিলেন খুবই ধীর স্থির স্বভাবের ও দুরদর্শি মেধা সম্পন্ন। তিনি বর্ষিয়ান নেতাদের সাথে যেমন শ্রদ্ধা স্নেহ আদরের সংমিশনে রাজনীতি করেছেন। ঠিক তেমনি তরুণ নেতা ও তৃনমূল পর্যায়ের মানুষের সাথে প্রাণে সঞ্চার ঘটিয়ে একাকার হয়ে দেশ সেবার ব্রত পালণ করেছিলেন। প্রতিটি পদক্ষেপ গ্রহনে ছিলো ধৈর্য, সাহস ও সফল নেতৃত্তের প্রতিফলন। স্বাধীনতার ঘোষনা দেয়ার জন্য সর্ব স্তরের জনগনের আহ্বান থাকলেও নানা বিশ্লেষণে তিনি ছিলেন অনঢ়। ৭ মার্চ লাখো মানুষের জনসমূদ্রে দাঁড়িয়ে কৌশলী যাদুমন্ত্রে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। জনগনও সে ভাবেই প্রস্তুতি নিয়েছিলো জীবন বাজী রেখে স্বাধীকার আদায়ের রণকৌশলের অঙ্গিকারে।

বাঙালি কি চায়, নাড়ীর স্পন্দন কি বলছে, তা তিনি হৃদয় দিয়ে বুঝতেন। বঙ্গবন্ধুর চোখের গভীরে পুর্ব বাংলার মানুষ খোঁজে পেয়েছিলো বাঁচার আশ্রয় ও মুক্তির শীতল ছায়া। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ত্বের প্রতি ছিলো গভীর আস্থা। তাই লড়াই বিপ্লবে বাঙালি হাত খুলে বঙ্গবন্ধু,ছয় দফাকে সমর্থন দিতে কার্পন্য করেনি। ব্ঙ্গবন্ধু তাঁর কোমল হৃদয়ের ভালোবাসা দিয়েই করেছিলেন সাড়ে সাত কোটি জনগনকে ঐক্যবদ্ধ। তাঁর ছিলো অসাধারণ দেশ প্রেমের মোহনীয় অকর্ষণ ক্ষমতা। যেই এসেছে এই নেতার সংস্পর্শে , সেই বিমোহিত হয়ে পরিনত হয়েছিলো দেশ প্রেমের ও মুজিব আদর্শের যোদ্ধা। তাই তো তাঁকে বলা হতো পয়েট অফ পলিট্রিস্ক।

১৯৪৮ এ ছাত্রলীগ প্রতিষ্টার পর আইয়ুব সরকারের রোষানলো পড়ে যান। এরপর শুরু হয় শেখ মুজিবকে কারাগারে অবরুদ্ধ রাখার পালা। ১৯৪৯ এ কারারুদ্ধ থাকা অবস্থায় আওয়ামী মুসলিম লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক, পরবতী পর্যায়ে ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক, সাধারন সম্পাদক, সর্বশেষ সভাপতি নির্বাচিত হন। দলীয় কার্যক্রমে নানা ক্রাইসিসে পরলেও দমে যাননি। ১৯৫৭ সালে মন্ত্রীত্ব ছেড়ে রাজনীতির হাল ধরে ছিলেন।

ছয় দফা দাবীটি ১৯৬৬ সালে উত্থাপনের পর ক্ষমতাসীন সরকারের মাথা গরম হয়ে যায়। পুর্ব বাংলার আনাচে কানাছে ঘুরে ঘুরে বাঙালির মুক্তির মর্মবানী বঙ্গবন্ধু পৌছে দেন তৃণমূল মানুষের মণিকোঠায়। তখন বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে ১৯৬৮ সালে আগরতলা ষঢ়যন্ত্র মামলা দিয়ে ফাঁসির রঙ্গমঞ্চ চুড়ান্ত করে তৎকালিন সরকার। না সফল হতে পারে নাই। উনসত্তরে মুক্তিকামী বাঙালি জনতাগন অভুত্থানের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে উদ্ধার করে। সামরিক আইয়ুব সরকারে পতনের পর আসে এযাহিয়া সরকার। বাঙালিকে দমন নির্যাতনে যুক্ত হয় নব আঙ্গিকের মাত্রিকতা,যঢ়যন্ত্র,কূটকৌশল।

পাকসরকারের সব পায়তারা, বঙবন্ধুর রাজনৈতিক কৌশলের কাছে নত স্বীকার করে। অতঃপর এয়াহিয়া সরকার সত্তরের নির্বাচন দিতে বাধ্য হয়। সে দিন বাঙালি সঠিক সিদ্ধান্ত দিয়ে আওয়ামী নেতৃত্ত্বকে সফলতার চরম শিকড়ে পৌঁছে দেয়। ১৯৭০ এর নির্বাচনে বিরাট জনসমথর্ন অর্জনের পর বাঙালির হাতে বাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ছেড়ে দেয়া পাকিস্তানের সাংবিধানিক দায়িত্ব ছিলো। কিন্তু না, বাঙালিকে মাটিতে মিশিয়ে দেয়ার জন্য পাকিস্থানীরা কূট ষঢ়যন্ত্রে মেতে ওঠে। নানা তালবাহানা করতে থাকে।

৩ মার্চ ১৯৭১ এ পার্লামেন্ট অধিবেশনের ঘোষনা দিয়েও,কোন কারন ছাড়াই বন্ধ করে দেয়। তখন পূর্ব বাংলার জনগণ এক দফা দাবী তথা বাংলাদেশের স্বাধীনতার অঙ্গিকার নিয়ে রাস্তায় নেমে আসে। ৭ মার্চ ঐতিহাসিক ভাষণের মাধ্যমে বঙ্গবাবন্ধু বাঙালির পক্ষে চুড়ান্ত হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন ও ইশারা ইঙ্গিতে মুক্তিযুদ্ধের পট ভুমিকা তৈরী করেন। সেদিন বলছিলেন রক্ত যখন দিয়েছি আরো দেবো বাঙালিকে মুক্ত করে ছাড়বো, ইনশাল্লাহ। তিনি আরো বলে ছিলেন -এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। এই সমস্ত মর্মবানঢ বুকে ধারন করে বঙালি মুক্তিযোদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নেয়।

৭ মার্চের পর বহু গোল টেবিল আলোচনায় বসেন বঙ্গবন্ধু,পাকিস্তানের রাষ্ট্র প্রধান এয়াহিয়া, পাকিস্তানের বিরোধী দলীয় নেতা জুলফিকার আলী ভুট্টো। কিন্তু সমাধানে আসতে পারে না। ১১দফা ও ৬ দফার ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু ছিলেন আফোসহীন। পাকিস্তানীরা চেয়েছিলো কনফেড়ারেল রাষ্ট্র গঠন করতে। আর বঙ্গবন্ধুর দাবি ছিলো পুর্ব বাংলাকে বাংলাদেশ নামক স্বাধীন সার্বভোম রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দিতে হবে। এই নিয়ে দোলাচলের খেলা চলতে থাকে। পাকিস্তান আবারও ২৫ মার্চ অধিবেশন ডাকে। কিন্তু না সেটা ছিলো তাদের ধোকাবাজী। সব আলোচনা পন্ড করে দিয়ে বাঙালিকে রক্তের বন্যায় ডুবিয়ে দেয়ার তান্ডবে মেতে উঠে। যেখানে যাকে পেয়েছে হত্যা করতে থাকে,বাড়ী ঘর জ্বালিয়ে পুড়িয়ে সর্বস্তরের জনগণকে করতে থাকে গৃহহারা।

বাঙালির জীবনে নেমে আসে ২৫ মার্চ ১৯৭১ এ ভয়াল কলো রাত্রি। পাকিস্তান  সরকার পাখির মত বাঙালিকে হত্যা করে রাস্তা ঘাট ভাসিয়ে দেয় রক্ত বন্যায়। নিরাপরাদ মানুষের রক্ত প্রবাহে ছড়িয়ে পড়ে বাঙালির মুক্তির আহাজারি।নপাকিস্তানীদের আচমা আক্রমনে সকল স্তরের মানুষ হত বিহ্বলিত হয়ে পড়ে। যার যা আছে তা নিয়ে প্রতিরোধে রুখে দাঁড়ায় শহর বন্দর, রাস্তায় দুশমনের মুখোমুখী।শুরু হয় মহান মুক্তিযুদ্ধ একাত্তর। ২৬ মার্চ শেখ মুজিবুর রহমান কতৃক স্বাধীনতা ঘোষণা করার পর পাক হানাদার বাহিনী তাঁকে গ্রেফতার করে অজ্ঞাত স্তানে নিয়ে যায়।

দখলদার পাকিস্থানী শক্রদের সঙ্গে নয় মাস ব্যাপি মুক্তিযুদ্ধ হয় বাঙালি মিত্রবাহিনীর । সুগৌরবে ১৯৭১ সালে ১৬ ডিসেম্বর ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে, আড়াই লক্ষ মা বোনের সম্মান হারিয়ে বাঙালি পায় রক্ত স্নাত লাল সবুজের পতাকা হাতে স্বাধীন বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে ১২ জানুয়ারী ১৯৭২ সালে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের শাসন কার্যের দায়িত্ব গ্রহন করেন। মুক্তিযুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্থ দেশটির উন্নয়ন সফলতার সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছিলো। কিন্তু কিছু কুচক্র মহলের পছন্দ হচ্ছিল না। তারা নানা কায়দায় ষঢ়যন্ত্রের জাল বুনতে থাকে।

যাদের সাথে বঙ্গবন্ধু সারা জীবন আর্দশের রাজনীতি করতেন, তাদের কেউ কেউ চলে যায় বিপক্ষ অবস্থানে। তৈরী করে রাজনৈতিক বিভেদ, বৈষম্য,বিভ্রান্তি। একাধিক গ্রোপে বিভক্ত হয়ে পদে পদে প্রতিবন্ধকতা তৈরী করতে থাকে। খুব কাছের পরিচিতরা পরিকল্পনা করে বঙ্গবন্ধুকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করে । একাধিক কর্ণার থেকে বঙ্গবন্ধুকে সতর্ক করা হয়। কারো কথাই তিনি আমলে নেননি। তাঁর দৃঢ় আত্মবিশ্বাস ছিলো বাঙালি তাকে হত্যা করতে পারবে না।

বিশ্বাসের ঘরে লবণ ছিটিয়ে দিয়ে ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট পরিবার পরিজন,কাছের আত্মীয়সহ বঙ্গবন্ধুকে কতিপয় বিপদগামী চত্রান্তকারীরা নিমর্ম ভাবে হত্যা করে। সেই থেকে বাঙলীর ইতিহাসের ধারাবাহিকতা কলঙ্কিত হইতে থাকে। সেই রাতে দেশের বাহিরে থাকা বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা প্রাণে বেঁচে যায়। বাংলাদেশের জনবান্ধব রাষ্ট্রনায়ক  বঙ্গবন্ধুকে কেন হত্যা করেছিলো? ইতিহাস বার বার এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করে যাচ্ছে।

ক্ষতবিক্ষত  ইতিহাস প্রাণ ফিরে পায় ১৯৮১ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনা বাঙলার মাটিতে ফিরে এলে।তিনি এসেই ঘোষনা দিলেন — বাংলার মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে তার বাবার মত জীবন দিতে প্রস্তুত। রাজপথের আন্দোলন  তুলেন ঝড় শ্বৈর শাসনের বিরুদ্ধে। গনতন্ত্রের মুক্তির সনদ হাতে নিয়ে ১৯৯৬ এ প্রধানমন্ত্রীত্ব গ্রহন করেন। ধানমন্ডি থানায় তার বাবা,মা,ভাইসহ নিহতদের বিচার চেয়ে জিডি এন্টি করেন। ইন্ডিমিনিটি আইন বাতিলের পর বিচার প্রক্রিয়াটি ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদলতে বিচার প্রার্থী হয়। বহু তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ পুর্বক ১৫ জনের ফাঁসির আদেশ দিয়ে মামলার রায় চুড়ান্ত হয় ১৯৯৮ সালে।

তারপর সরকারে রদবদল হয়– জামাত- বিএনপি জোট সরকার ক্ষমতায় আসে। মামলাটি থমকে দাঁড়ায়। ২০০৭ এ জেল জুলুমের অত্যাচার সহ্য করে শেখ হাসিনা দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসে ২০০৮ এ। ২০১০ এ রিভিউ আবেদন খারিজ হয়ে , ১২ জনের ফাঁসির আদেশ বহাল থাকে। সে বছর ৫ জনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রায়ের আদেশ কার্যকর করা হয়। ২০২০ এ আরো এক জানকে ফাঁসি দেয়া হয়। দন্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ১ জনের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়। বাকী ৫ জন আসামী এখনও পালিয়ে বেড়াচ্ছে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে।

বঙ্গবন্ধুকে কেন হত্যা করা হয়েছিলো? তার জবাবে
বলবো– বঙ্গবন্ধু ছিলেন বুদ্ধি,মেধা,যোগ্যতায় আনপেরালাল নেতা। তার সমকক্ষ কেউ ছিলো না।তার নেতৃত্বের প্রতিফলন, সুনাম ছড়িয়ে পড়েছিলো দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বহিঃ বিশ্বে। তাঁর কর্মদক্ষতা দিয়ে বিশ্ব নেতায় পরিনত হয়ে ছিলেন। ফলে দেশে বিদেশে উভয় অঙ্গনে ঈর্ষনীয় সফলতার জন্য তৈরী হয়েছিলো দেশী বিদেশী শক্রুতা। চক্রান্তকারীরা তাদের ষঢ়যন্ত্রের নকশা মাকড়সার জালের মত ছড়িয়ে দিয়েছিলো। বঙ্গবন্ধু তা বুঝতে পারেননি।

তার খেসারত দিতে হয়েছে বাঙালিকে। পৃথিবীতে সৃষ্টি হয়েছে কলঙ্কজনক অধ্যায়ের। ১৫ আগস্টের  ক্ষত বয়ে বেড়াতে হচ্ছে সারা জাতিকে। পৃথিবীর সমস্ত মাটি উল্টালেও আর বাংলাদেশের স্থপতি  বঙ্গবন্ধুকে খোঁজে পাবো না। শিশু পুত্র শেখ রাসেলের রক্তের দাগ মুছতে পারবো না।আগস্টের রক্ত ছুঁয়ে ইতিহাসই নরপিশাসদের উচিৎ শিক্ষা দিবে। সত্য বড় কঠিন, সেই সত্য ও কষ্টের সংমিশ্রনেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবতা পাবে। এই প্রত্যাশা বুকে ধারন করেই ১৫ আগস্টের শোককে শক্তিতে রুপান্তিরত করে বাঙালি বাইছে নৌকার বৈঠা।

১৫ আগস্ট উদযাপন করা সেই দিন স্বার্থকতা পারে, যেদিন আমরা সোনার মানুষ গড়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার জন্ম দিতে পারবো। আসুন আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবয়নে স্ব স্ব অবস্থানে নিবেদিত হয়ে কাজ করে যাই।

লেখকঃ উপদেষ্টা- বাংলাদেশ কৃষকলীগ।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর