বিধিনিষেধ বাড়বে কিনা জানা যাবে ৩ তারিখে : জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

হাওর বার্তা ডেস্কঃ করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে চলমান বিধিনিষেধ ৫ আগস্টের পরও বাড়বে কিনা, তা জানা যাবে আগামী মঙ্গলবার (৩ আগস্ট)। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সুপারিশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সেটি (সুপারিশ) অবশ্যই আমাদের মাথায় আছে। কারণ সবকিছুর সমন্বয় আমাদের করতে হবে। সেজন্য আমরা বলছি যে, একটু সময় নেব। ৩ বা ৪ তারিখে এ বিষয়টি পরিষ্কার করে দেব।

৫ আগস্টের পর বিধিনিষেধ বাড়বে কিনা, জানতে চাইলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন যুগান্তরকে বলেন, ‘৫ আগস্টের পর কী হবে আমরা সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেইনি। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন প্রধানমন্ত্রী। আগামী ৩ আগস্ট সিদ্ধান্ত জানানোর চেষ্টা করব। ওইদিন না হলে ৪ আগস্ট সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেব।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বিধিনিষেধ বাড়ানোর সুপারিশ করেছে-এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘উনারা সুপারিশ করেছেন আমরা জানি। পরিস্থিতি অনুযায়ী আমরা সিদ্ধান্ত নেব। আপাতত রপ্তানিমুখী শিল্প-কলকারখানা খুলে দিচ্ছি। সেটাও সীমিত পরিসরে। সংক্রমণ কমাতে গেলে যেসব বিকল্প আছে, সেগুলো আমরা চিন্তা করছি। যদি কিছু অফিস খুলতে হয়, সেই অফিসের জনবল কী হবে তা নিয়ে চিন্তা করছি। আমরা যতটা এটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে করোনা নিয়ন্ত্রণ করা।’

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানান, সংক্রমণ পরিস্থিতির সঙ্গে অর্থনীতি ও মানুষের জীবিকার বিষয়টিও বিবেচনায় নিতে হচ্ছে সরকারকে। বর্তমান পরিস্থিতিতে বিধিনিষেধ বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। তাই আগামীতে বিধিনিষেধ বাড়ানো হলেও কিছু ক্ষেত্রে শিথিলতার কথাও চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। কোন কোন ক্ষেত্রে শিথিলতা আসছে, তা এখনো চূড়ান্ত নয়। বিষয়টি এখনো আলোচনার পর্যায়ে আছে।

পোশাক কারখানাসহ রপ্তানিমুখী শিল্প-কারখানা আজ (রোববার) থেকে খুলে দিচ্ছে সরকার। গার্মেন্ট খোলার ঘোষণায় শনিবার (৩১ জুলাই) ঢাকামুখী মানুষের ঢল নেমেছে। ঈদের সময় গ্রামে গিয়ে কঠোর বিধিনিষেধে আটকে পড়া হাজার হাজার কর্মী প্রবেশপথগুলো দিয়ে ঢাকায় ঢুকছেন। বাস বন্ধ থাকায় সীমাহীন ভোগান্তি সয়ে তারা আসছেন কর্মস্থলে।

এ প্রসঙ্গে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি গতকালই বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে পরিষ্কার করা হয়েছে। যারা ঢাকা অবস্থান করছেন, বিশেষ করে যারা ঈদে বাড়ি যাননি এবং যারা ২২ জুলাইয়ের মধ্যে ফিরে এসেছেন তাদের নিয়েই তারা (মালিকরা) কারখানা পরিচালনা করবেন। বাইরে থেকে তারা কোনো কর্মীকে নিয়ে আসবেন না। যারা এই পাঁচ দিন কাজ করবে না, যারা বাইরে আছেন-তাদের চাকরিতে কোনো সমস্যা হবে না। তারা ৫ তারিখের পর ধাপে ধাপে আসবেন। তাদের (বিজিএমইএ নেতা) সঙ্গে যখন কারখানা খোলা নিয়ে আমাদের আলোচনা হয়, তখনো বলা হয়েছিল-যারা শুধু ঢাকাতে বা কারখানার আশপাশে অবস্থান করছেন, তারাই যোগ দেবেন। সেটার ভিত্তিতেই এই সিদ্ধান্ত (কারখানা খোলা) নেওয়া হয়েছে।’

ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘কেউ হয়তো মনে করছেন ৫ দিন মিস করব, চলে যাই। অনেকে হয়তো আতঙ্কিত হয়ে ফিরছেন, চাকরি থাকবে কিনা! আমরা সবাইকে বলছি-কারও আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। বিজিএমইএ সভাপতি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তারা দেখবেন, সরকারও বিষয়টি দেখবে। কেউ চাকরি হারাবেন না। এত কষ্ট করে করোনার ঝুঁকি নিয়ে তাদের আসার কোনো প্রয়োজন নেই।’

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর