ঢাকা ০৯:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫, ৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এসএসসি-এইচএসসির বিকল্প পদ্ধতির ঘোষণা ঈদের পর

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:০০:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ জুলাই ২০২১
  • ১৪৯ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ জুলাই মাসে করোনা পরিস্থিতি খারাপ থাকলে ঝুলে থাকা এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে নেওয়া যদি সম্ভব না হয় তবে বিকল্প পদ্ধতিতে মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত আসতে পারে। এ বিষয়ে বিকল্প পদ্ধতি খুঁজছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি। ঈদের পর পর পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের উদ্বেগ দূর করতে পরীক্ষার বিকল্প কী কী হতে পারে তার রোডম্যাপ প্রকাশ করবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, যেহেতু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা যাচ্ছে না, তাই যত বিকল্প পদ্ধতি আছে সেগুলোর প্রস্তুতি শেষ করে রাখছি। যখন যেটা প্রয়োগ করা যায়, সেটাই বাস্তবায়ন করা হবে।

বিকল্প প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এজন্য শিক্ষাবোর্ড ও বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। তারাই পরীক্ষার বিকল্প মতামত দেবেন। আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে, মূল্যায়ন করেই শিক্ষার্থীদের গ্রেড দেওয়া হবে। সেজন্য যত রকম বিকল্প আছে সবগুলো নিয়েই বিশ্লেষণ চলছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসএসসি ৬০ দিন ও এইচএসসি ৮৪ দিন সরাসরি ক্লাস করিয়ে পরীক্ষা নিতে হলে কমপক্ষে আগস্টে মাসের শুরুতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে হবে। কারণ ৬০ দিন ক্লাস করোনার পর পরীক্ষার আগে ১৫ থেকে ২০ দিন সময় দিতে হবে প্রস্তুতির জন্য। আবার পরীক্ষা নিতে কমপক্ষে ২৫ দিন সময় লাগবে। অন্যদিকে এসএসসি পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর ২০ থেকে ২৫ দিন বিরতি দিয়ে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু করতে হবে।

সে হিসাব করলে জুলাই মাসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে না পারলে কোনো অবস্থাতেই সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে চলতি বছর পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব নয়। ইতোমধ্যে জুলাই মাস পুরোটাই ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। আগস্ট-সেপ্টেম্বরে যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা যাবে, তারও কোনো নিশ্চয়তা নেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও সরকারের নীতি নির্ধারকরা বলেছেন, সংক্রমণ ৫ শতাংশের নিচে না নামলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার মতো ঝুঁকিতে তারা যাবে না।

জানা গেছে, কমিটির একাধিক প্রস্তাব আছে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে, রচনামূলক বা সৃজনশীল প্রশ্ন (সিকিউ) বাদ দিয়ে কেবল বহু নির্বাচনী প্রশ্নে (এমসিকিউ) পরীক্ষা নেওয়া। বিষয় ও পূর্ণমান (পরীক্ষার মোট নম্বর) কমিয়ে পরীক্ষা নেওয়া। এক্ষেত্রে প্রতি বিষয়ের দুই পত্র একটিতে একীভূত করা। তবে এবার এই দুটি পাবলিক পরীক্ষার না নিতে পারলেও বিকল্প পদ্ধতিতে গ্রেড দেওয়া হবে। গত বছরের মতো অটো পাস দেওয়া হবে না।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

এসএসসি-এইচএসসির বিকল্প পদ্ধতির ঘোষণা ঈদের পর

আপডেট টাইম : ০৫:০০:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ জুলাই ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ জুলাই মাসে করোনা পরিস্থিতি খারাপ থাকলে ঝুলে থাকা এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে নেওয়া যদি সম্ভব না হয় তবে বিকল্প পদ্ধতিতে মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত আসতে পারে। এ বিষয়ে বিকল্প পদ্ধতি খুঁজছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি। ঈদের পর পর পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের উদ্বেগ দূর করতে পরীক্ষার বিকল্প কী কী হতে পারে তার রোডম্যাপ প্রকাশ করবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, যেহেতু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা যাচ্ছে না, তাই যত বিকল্প পদ্ধতি আছে সেগুলোর প্রস্তুতি শেষ করে রাখছি। যখন যেটা প্রয়োগ করা যায়, সেটাই বাস্তবায়ন করা হবে।

বিকল্প প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এজন্য শিক্ষাবোর্ড ও বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। তারাই পরীক্ষার বিকল্প মতামত দেবেন। আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে, মূল্যায়ন করেই শিক্ষার্থীদের গ্রেড দেওয়া হবে। সেজন্য যত রকম বিকল্প আছে সবগুলো নিয়েই বিশ্লেষণ চলছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসএসসি ৬০ দিন ও এইচএসসি ৮৪ দিন সরাসরি ক্লাস করিয়ে পরীক্ষা নিতে হলে কমপক্ষে আগস্টে মাসের শুরুতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে হবে। কারণ ৬০ দিন ক্লাস করোনার পর পরীক্ষার আগে ১৫ থেকে ২০ দিন সময় দিতে হবে প্রস্তুতির জন্য। আবার পরীক্ষা নিতে কমপক্ষে ২৫ দিন সময় লাগবে। অন্যদিকে এসএসসি পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর ২০ থেকে ২৫ দিন বিরতি দিয়ে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু করতে হবে।

সে হিসাব করলে জুলাই মাসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে না পারলে কোনো অবস্থাতেই সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে চলতি বছর পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব নয়। ইতোমধ্যে জুলাই মাস পুরোটাই ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। আগস্ট-সেপ্টেম্বরে যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা যাবে, তারও কোনো নিশ্চয়তা নেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও সরকারের নীতি নির্ধারকরা বলেছেন, সংক্রমণ ৫ শতাংশের নিচে না নামলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার মতো ঝুঁকিতে তারা যাবে না।

জানা গেছে, কমিটির একাধিক প্রস্তাব আছে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে, রচনামূলক বা সৃজনশীল প্রশ্ন (সিকিউ) বাদ দিয়ে কেবল বহু নির্বাচনী প্রশ্নে (এমসিকিউ) পরীক্ষা নেওয়া। বিষয় ও পূর্ণমান (পরীক্ষার মোট নম্বর) কমিয়ে পরীক্ষা নেওয়া। এক্ষেত্রে প্রতি বিষয়ের দুই পত্র একটিতে একীভূত করা। তবে এবার এই দুটি পাবলিক পরীক্ষার না নিতে পারলেও বিকল্প পদ্ধতিতে গ্রেড দেওয়া হবে। গত বছরের মতো অটো পাস দেওয়া হবে না।