হাওর বার্তা ডেস্কঃ দেশজুড়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়ছে। এমতাবস্থায় কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি সারাদেশে ১৪ দিনের পূর্ণ শাটডাউনের সুপারিশ করেছে। এই সুপারিশ বাস্তবায়নে সরকার চিন্তাভাবনা করছে। এতে সরকারি ও বেসরকারি অফিস-আদালত বন্ধ থাকবে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘরের বাইরে চলাচল করতে পারবেন না।
শুক্রবার (২৫ জুন) করোনায় একদিনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১০৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
কঠোরভাবে মানুষের চলাফেরা নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে সরকার চিন্তাভাবনা করছে এমন মন্তব্য করে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন শুক্রবার (২৫ জুন) গণমাধ্যমকে বলেন, প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে যাতে বের হতে না হয় সেজন্য শ্রমজীবী মানুষদের সহযোগিতা করা হবে। সরকারি ও বেসরকারি অফিস-আদালত বন্ধ রাখারও চিন্তাভাবনা আছে।
তিনি আরও বলেন, করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেই সামনে কোরবানির ঈদ আসছে। ঈদের আগেই স্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি হয়, সেজন্য আমরা কাজ করছি।
এছাড়া গতকাল বৃহস্পতিবার কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে গঠিত জাতীয় কারিগরি কমিটির এক সভায় দেশে ১৪ দিনের সম্পূর্ণ শাটডাউনের সুপারিশ করে। এটি না করলে করোনা সংক্রমণ আরও ভয়াবহ হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ সহিদুল্লা বলেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় শাটডাউন মানে জরুরি সেবা ছাড়া সবকিছুই বন্ধ রাখার কথা বোঝানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্তে শুক্রবার (২৫ জুন) গত ২৪ ঘণ্টায় ১০৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ১৩ হাজার ৯৭৬ জন। যা গত দুই মাসে সর্বোচ্চ সংখ্যক রেকর্ড। একই সময়ে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৮৬৯ জন। ফলে করোনায় দেশে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৮ লাখ ৭৮ হাজার ৮০৪ জনে।