উদ্ভাবিত হেলমেটের ওজন দুই পাউন্ডের মতো। এটি ৫০ হাজার ডলারেই কেনা যাবে। মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চালন ও ইলেক্ট্রনিক্স ইমপালসের ভিত্তিতে এটি কাজ করবে। কর্নেলের প্রধান নির্বাহী ব্রায়ান জনসন বলেন, ‘আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যেই আমরা হেলমেটটি বাজারে আনব। এটি সহজেই মানুষের মনের ভাষা শনাক্ত করতে পারবে। তাছাড়া এটি মস্তিষ্কের বয়স বেড়ে যাওয়া, মানসিক রোগ বা এর পেছনের কারণ এবং বিভিন্ন মেটাফিজিক্যাল ডিসঅর্ডার শনাক্ত করার কাজ করতে সক্ষম।’
ব্রায়ান জনসন আরও বলেন, হেলমেটটি তৈরি করতে পাঁচ বছরেরও বেশি সময় লেগেছে। ‘এর মাধ্যমে আপনি উচ্চ রক্তচাপ ও কোলেস্টরল স্বাভাবিক আছে কী না সেটি পরীক্ষা করতে পারবেন।’ জনসন বলেন, ‘মানুষের মস্তিষ্ক নিয়ে বিভিন্ন পরীক্ষা করেই এটি তৈরি করা হয়েছে। আগামী ১০ বছরের মধ্যে হেলমেটটি স্মার্টফোন রেঞ্জের ভেতর আনতে চাই।’
মনোবিজ্ঞানী ও চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ নিয়ে জনসন ক্যালিফোর্নিয়ায় স্টার্ট-আপ প্রতিষ্ঠান কর্নেল প্রতিষ্ঠা করেন। কারণ তখন তার মাথায় ঘুরছে এমন একটি হেলমেট বানানোর উচ্চাকাক্সক্ষা যা মানুষের মনের কথা বুঝতে পারবে। এর মাধ্যমে মস্তিষ্কের বয়স বৃদ্ধি, বিভিন্ন মানসিক রোগ কিংবা এর পেছনের কারণসহ আরও নানা কাজ করা সম্ভব।